এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > এটাই মোদির গ্যারান্টি, সিএএ লাগু হতেই মুখ পুড়লো মমতার! বড় দাবি শুভেন্দুর!

এটাই মোদির গ্যারান্টি, সিএএ লাগু হতেই মুখ পুড়লো মমতার! বড় দাবি শুভেন্দুর!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- গোটা দেশ জুড়ে কেন্দ্রীয় সরকারের একটি পদক্ষেপের ফলে রীতিমতো খুশির হওয়া তৈরি হয়েছে। একেবারে সোমবার সন্ধ্যায় সিএএ নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। আর তারপরেই উচ্ছ্বাসে মেতে উঠতে শুরু করেছেন মতুয়া সমাজ থেকে শুরু করে যারা দীর্ঘদিন ধরে নাগরিকত্ব পাওয়ার আশায় ছিলেন, সেই সমস্ত ব্যক্তিরা। তবে এর মধ্যেও যারা দেশের ভালো দেখতে পারে না, যারা চায় না যে, দেশের এগিয়ে যাক, তারা এর বিরোধিতা করতে শুরু করেছে। যার মধ্যে অন্যতম এই রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস এবং তাদের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সিএএর বিজ্ঞপ্তি জারি হওয়ার আগেই নবান্ন থেকে সাংবাদিক বৈঠক করে তিনি কোনোমতেই এটা বাংলায় হতে দেবেন না বলে বড় বড় কথা বলেছেন এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু তার এই কোথায় যে কারওর কিছু এসে যায় না, তিনি যে মানুষের কাছে প্রত্যাখ্যাত, তা প্রতি পদে পদে প্রমান হচ্ছে। আসলে ভোট রাজনীতির জন্যই যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর বিরোধিতা করছে, সেটা তিনিও খুব ভালো মতো জানেন। তাই কেন্দ্রীয় সরকার তাদের প্রতিশ্রুতি পূরণ করার পর এবং সিএএর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হওয়ার পরেই এমন একটি কথা বললেন এই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা, যার ফলে আরও চুপসে গেল পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল। প্রশ্ন উঠছে যে, কেন্দ্রীয় সরকার তাদের দেওয়া একের পর এক ঐতিহাসিক প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে পারলেও, কেন বাংলার সরকার নির্বাচনের আগে যে সমস্ত প্রতিশ্রতি দিয়েছিল, তা পূরণ করতে পারে না?

প্রসঙ্গত, এদিন সিএএ নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। আর তারপরেই হতচকিত হয়ে পড়ে বিজেপি বিরোধী দলগুলো। সব থেকে বেশি এর বিরোধিতা করে সকলের নজর করার চেষ্টা করেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তার বিরোধীতা যে কিছুই এসে যায় না, সেই সিএএ বিজ্ঞপ্তি লাগুর ফলে যে মতুয়া সমাজ থেকে শুরু করে সকলেই যথেষ্ট খুশি, তা তাদের উচ্ছ্বাসের মধ্যে দিয়েই প্রমাণ হয়ে যায়। আর কেন্দ্র এই ঐতিহাসিক পদক্ষেপ গ্রহণ করার পরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে এটাই মোদীজির গ্যারান্টি বলে দাবি করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। অর্থাৎ এটা নতুন করে বলতে হবে না যে, বিজেপি যে কথা দেয়, সেই কথা রাখার চেষ্টা করে। কিন্তু তৃণমূলের পক্ষ থেকে এতদিন এই সিএএ নিয়ে যে মিথ্যা, কুৎসা অপপ্রচার করা হয়েছিল, এবার বিজেপি দাবি করছে যে, তাদের একবার বিশ্বাস করে দেখুন সাধারন মানুষ। একজনেরও নাগরিকত্ব যাবে না। উল্টে যারা নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য আন্দোলন করেছেন, তাদের এই বিজ্ঞপ্তির পর নাগরিকত্ব দেবে কেন্দ্রীয় সরকার।

পর্যবেক্ষকদের মতে, এর ফলে আর যাই হোক, সব থেকে বড় বিড়ম্বনার মুখে পড়লেন তৃণমূল নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি তো এতদিন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষকে ভুল বুঝিয়ে এই সিএএএর ভয় দেখিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে ভোট দেওয়ানোর চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু এবার কি হবে? বিজ্ঞপ্তি জারি হওয়ার পর এখনোও পর্যন্ত কিন্তু কারওর নাগরিকত্ব যায়নি। ফলে তৃণমূলের সেই সমস্ত কথা যে মিথ্যা, ভ্রান্ত, অপপ্রচার ছাড়া কিছু নয়, তা মানুষের মনেও গেঁথে যেতে শুরু করেছে। তাই ভোট রাজনীতি করা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গঠনমূলক উন্নয়ন যে করেন না, সেই পর্দা যেমন ফাঁস হয়ে গেল, ঠিক তেমনই তার মিথ্যা, কুৎসা, অপপ্রচার নিয়েও বিরক্ত হয়ে উঠছেন সাধারণ মানুষ। যার ফলে কেন্দ্রীয় সরকার এত বড় ঐতিহাসিক পদক্ষেপ গ্রহণ করার পর রাজনৈতিক এবং প্রশাসনিক দুই দিক থেকেই উভয় সংকটে পড়ে গেলেন এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। শুভেন্দু অধিকারী সোশ্যাল মিডিয়ায় মোদিজীর গ্যারান্টি বলে পোস্টের পর কার্যত মুখ পুড়লো পশ্চিমবঙ্গের প্রশাসনিক প্রধানের। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!