এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > মোদিই পারেন, লোকসভার আগে ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের! উচ্ছ্বসিত মতুয়ারা!

মোদিই পারেন, লোকসভার আগে ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের! উচ্ছ্বসিত মতুয়ারা!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- মানুষকে ভুল বোঝানোর ক্ষেত্রে ওস্তাদ দেশের বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। সব থেকে বেশি সিএএর বিরুদ্ধে মানুষকে ভুল বুঝিয়ে এর আগে পশ্চিমবঙ্গকে অশান্তির কেন্দ্রবিন্দুতে নিয়ে গিয়েছিল এই রাজ্যের শাসক দল। এমনকি মতুয়া সমাজ থেকে শুরু করে যারা নাগরিকত্বের দাবিতে আন্দোলন করছিলেন, দীর্ঘদিন ধরে তাদের আবেগে আঘাত দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস বারবার প্রমাণ করেছে যে, সিএএ নাকি নাগরিকত্ব কেড়ে নেবে। কিন্তু এই সমস্ত কিছুকে ফুৎকারে উড়িয়ে দিয়ে লোকসভা নির্বাচনের আগেই নিজেদের প্রতিশ্রুতি পূরণের পথে হাটলো কেন্দ্রীয় সরকার। যে জল্পনা তৈরি হয়েছিল, সেই জল্পনাতে শিলমোহর দিয়ে কেন্দ্রের তরফ থেকে সিএএ নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হতেই রীতিমত উচ্ছ্বাস আনন্দ তৈরি হয়েছে নাগরিকত্বের দাবিতে এতদিন আন্দোলন করা মানুষজনের মধ্যে। সবথেকে বেশি এর ফলে খুশি হয়েছেন মতুয়া সমাজের প্রতিনিধিরা। তারা কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানানোর পাশাপাশি ঢাক ঢোল নিয়ে উচ্ছ্বাস আনন্দ শুরু করে দিয়েছেন। আর কেন্দ্র যখন নির্বাচনের আগে তাদের একের পর এক প্রতিশ্রুতি পূরণ করছে, তার মধ্যে সিএএ নিয়েও তারা পদক্ষেপ গ্রহণ করার ফলে একটা বিষয়ে স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে যে, দেশের উন্নতির জন্য, দেশের মানুষদের পাশে থাকার জন্য, দেশের অসম্ভবকে সম্ভব করার জন্য যদি কেউ ঠিকমত কাজ করতে পারেন, তাহলে তার নাম নরেন্দ্র মোদী।

প্রসঙ্গত, সোমবার সন্ধ্যাতেই নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করে দেওয়া হয়। আর তারপরেই উচ্ছাস আনন্দে ফেটে পড়েন সাধারণ মানুষ। যারা এতদিন নাগরিকত্বের দাবিতে আন্দোলন করছিলেন, সেই সমস্ত মতুয়া সমাজের প্রতিনিধিরা কীর্তন করতে শুরু করেন। শুভেচ্ছা বিনিময় শুরু হয় সকলের মধ্যে। তবে অপর দিক থেকে তৃণমূল কংগ্রেস এর বিরুদ্ধে নানা প্রচার চালাতে শুরু করেছে। আসলে অনেকে বলছেন, তৃণমূলের একটাই ভয়, এর ফলে তাদের সংখ্যালঘু ভোট হাতছাড়া হয়ে যেতে পারে। কারণ তারা এতদিন মানুষকে ভুল বুঝিয়েছিল যে, সংখ্যালঘুদের নাকি নাগরিকত্ব এই সিএএর মধ্যে দিয়ে কেড়ে নেওয়া হবে। কিন্তু বিজেপি এবং মোদীর সরকার গ্যারান্টি দিচ্ছে যে, কারও নাগরিকত্ব যাবে না। উল্টে যারা আফগানিস্তান, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশ থেকে এসেছেন, সেই সমস্ত শরণার্থীদের নাগরিকত্ব এই সিএএর মধ্যে দিয়ে দিয়ে দেবে কেন্দ্রীয় সরকার। আর কেন্দ্র যদি এই কাজ করে, তাহলে তৃণমূলের সংখ্যালঘু ভোটে যে বড় ধ্বস নামবে, এটা তারা খুব ভাল করেই জানে। সেই কারণেই সিএএ নিয়ে একটা মিথ্যা প্রচার তৃণমূলের তরফ থেকে শুরু করা হলেও, মানুষ কিন্তু তাকে বিভ্রান্ত হচ্ছে না। তারা ভাবছেন যে, রাম মন্দির থেকে শুরু করে ৩৭০ ধারা বিলোপ থেকে শুরু করে শেষ পর্যায়ে এসে যেভাবে পিছে নিয়েও বিজ্ঞপ্তি জারি করে দিল কেন্দ্রীয় সরকার, তাতে স্পষ্ট যে, দেশের মানুষকে যদি কেউ রক্ষা করতে পারে, তাহলে বিজেপি এবং নরেন্দ্র মোদীই পারবেন।‌

পর্যবেক্ষকদের মতে, বিজেপির নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ছিল এই সিএএ লাগু করা। বিরোধীদের পক্ষ থেকে নানা সময় নানা কথা বলা হয়েছে। তারা এটাও বলেছেন যে, কেন্দ্রীয় সরকার কোনোমতেই এটা করতে পারবে না। কিন্তু বর্তমান ভারতীয় জনতা পার্টি পরিচালিত কেন্দ্রীয় সরকার বুঝিয়ে দিল যে, মানুষের স্বার্থে তারা সব পদক্ষেপ নিতে পারে। এক্ষেত্রে তারা বিন্দুমাত্র কুণ্ঠাবোধ করে না। আসলে প্রশাসকের চেয়ারে বসে মানুষ কি চায়, সেটা অনুধাবন করার মত একটা মানসিকতা থাকা প্রয়োজন। যেটা তৃণমূল সহ বিজেপি বিরোধী দল গুলোর মধ্যে নেই। তারা সবসময় নিজের পরিবারকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য, তোষণের রাজনীতিকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য এবং ভোট রাজনীতির লক্ষ্যে কাজ করে। তবে বিজেপি সেটা করে না জন্যেই মানুষের একের পর এক চাহিদা এবং প্রতিশ্রুতি তারা পূরণ করতে চলেছে। যার ফলে এখন বিরোধীরা ভোটের রাজনীতিতে কার্যত বিজেপির কাছে দশ শুন্য গোল খেয়ে যাবে। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!