প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- জাতির উদ্দেশ্যে যখনই ভাষণ দেওয়া বা গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয় হয়, তখনই টিভির পর্দায় আসেন প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদী। করোনা পরিস্থিতি থেকে শুরু করে দেশের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বলার জন্য মাঝেমধ্যেই তার এইরকম উদ্যোগ দেখা দিয়েছে। তাই স্বাভাবিকভাবেই লোকসভা নির্বাচনের আগে আবার প্রধানমন্ত্রী যখন দেশবাসীর উদ্দেশ্যে বার্তা দেবেন বলে জানা যাচ্ছে, তখন একাংশ ধরেই নিয়েছেন যে, এবার কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে ঘোষণা করা হতে পারে। আর সেই বিষয়ের মধ্যে যে সিএএ থাকবে, তাতে কার্যত নিশ্চিত একাংশ। ইতিমধ্যেই গোটা দেশজুড়ে গুঞ্জন তৈরি হয়েছে যে, আজকে রাতেই সিএএ নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করতে পারে কেন্দ্রীয় সরকার। তবে তার মাঝেই দেশবাসীর উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রীর বার্তা অত্যন্ত তাৎপর্য পূর্ণ বলেই মনে করছেন একাংশ।

সূত্রের খবর, আর কিছুক্ষণের মধ্যেই জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। লোকসভা নির্বাচনের আগে হঠাৎ করেই তার জাতির উদ্দেশ্যে এই বক্তব্য নিয়ে আলোচনার শেষ নেই। তবে অনেকেই বলছেন যে, সিএএ নিয়েই কিছু একটা বলতে পারেন প্রধানমন্ত্রী। যেভাবে বিরোধীরা এই সিএএকে নিয়ে সাধারণ মানুষকে ভুল বোঝানো এবং তার অযাচিত বিরোধিতা করছে, তার বিরুদ্ধে সঠিক তথ্য তুলে ধরে দেশের মানুষের কাছে সঠিক খবরটা পৌঁছে দিতেই জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী।

বলা বাহুল্য, বিজেপি নির্বাচনে জেতার আগে যে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তার সবকটাই তারা পূরণ করেছে। এখন শুধুমাত্র বাকি সিএএ লাগু করা। এক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকার এবং বিজেপির পক্ষ থেকে বারবার দাবি করা হয়েছে যে, লোকসভা নির্বাচনের আগেই দেশজুড়ে এই সিএএ লাগু করা হবে। পাকিস্তান, আফগানিস্তান এবং বাংলাদেশ থেকে আসা সংখ্যালঘুদের নাগরিকত্ব প্রদান করবে কেন্দ্রীয় সরকার। তাই এই ধরনের একটি বড় উদ্যোগকে দেশবাসীরা সকলেই স্বাগত জানাচ্ছে। তবে বিরোধীরা অনেকেই এই ব্যাপারে বিরোধিতা করার জন্য বিরোধিতা করছে। তাই একটি বড় সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিয়ে সেই বিষয়ে গোটা দেশবাসীকে অবহিত করার জন্যই প্রধানমন্ত্রী এই উদ্যোগ নিচ্ছেন বলেই মনে করছেন একাংশ।

পর্যবেক্ষকদের মতে, এর আগে বড় বড় সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিয়েই সেই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এক্ষেত্রেও কিন্তু তেমনটাই হতে পারে। গোটা দেশবাসী অপেক্ষায় ছিলেন, কবে এই সিএএ লাগু হবে! কবে এই গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তের সাক্ষী হবে দেশের মানুষ! অবশেষে সেই প্রত্যাশা হয়ত পূরণ হতে চলেছে। আর সেই কারণেই দেশবাসীর সঙ্গে এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে নিজের মতামত আদান প্রদান করার পাশাপাশি সরকারের অভিমত স্পষ্ট করে দিতে চান প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু নির্বাচনের আগে কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্ত এবং জাতির উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী এই ভাষণ যে বিরোধীদের আরও চাপে ফেলে দেবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে শেষ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী টিভির পর্দায় এসে কি বার্তা দেন এবং তাতে কি চমক থাকে, সেদিকেই নজর থাকবে গোটা রাজনৈতিক মহলের।