এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম > ধৃত আলকায়দা জঙ্গিরা চালাতেন মাদ্রাসা, তুলতেন ‘উন্নয়নের’ নাম চাঁদা! ঘুম উড়ছে গোয়েন্দাদের!

ধৃত আলকায়দা জঙ্গিরা চালাতেন মাদ্রাসা, তুলতেন ‘উন্নয়নের’ নাম চাঁদা! ঘুম উড়ছে গোয়েন্দাদের!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গত শনিবার এনআইএর তৎপরতায় মুর্শিদাবাদ থেকে ৬ জন আল-কায়েদা জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়েছে। গ্রেফতার হওয়া এই আল-কায়েদা জঙ্গীদের মধ্যে অন্যতম হলো আল মামুন কামাল। জানা গেছে একটি অনুমোদনহীন মাদ্রাসা সে চালাত। শুধু তাই নয় এই মাদ্রাসার উন্নয়নের জন্য কুপন কেটে চাঁদা পর্যন্ত সংগ্রহ করতো সে। শুধু মুর্শিদাবাদ থেকেই নয় কেরল থেকেও চাঁদা তুলত সে। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরই চিন্তার ভাঁজ পড়েছে জেলার বিভিন্ন মহলে।কারণ, মুর্শিদাবাদ জেলার ডোমকলে বেশকিছু মাদ্রাসা উন্নয়নের নাম করে চাঁদা তুলে থাকে।

এ প্রসঙ্গে জলঙ্গি চোঁয়াপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলী প্রধান রাকিবুল ইসলাম বলেছেন, ” ভয় তো সবাই পাচ্ছি। যাকে নিরীহ মানুষ বলে ভাবতাম, তাকেই এনআইএ তুলে নিয়ে গেল জঙ্গি বলে। তাই সব কাজই এখন সন্দেহের চোখে দেখতে হচ্ছে। বিশেষ করে টাকা পয়সার লেনদেন যদি স্বচ্ছ ভাবে না হয়, তা হলে তা উদ্বেগের কারণ। কিন্তু অনেক মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষই কুপন দিয়ে চাঁদা তোলার ক্ষেত্রে কত টাকা পেলেন, তার হিসেব রাখেন না। বাকি টাকা কোথায় গেল, তা-ও জােনন না।’’

পঞ্চায়েত প্রধান রাকিবুল ইসলাম এ প্রসঙ্গে আরও জানিয়েছেন যে, গতকাল মঙ্গলবার বেশকিছু মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ তাঁর কাছে এসেছিলেন। তাঁরাও যথেষ্ট ভীত। কারণ এই জেলায় বেশকিছু মাদ্রাসা রাজ্য শিক্ষা দপ্তরের অনুমোদন ছাড়াই নিজেদের কাজকর্ম চালাচ্ছে। এই অনুমোদনহীন মাদ্রাসা গুলির টাকা-পয়সার হিসাব আদৌ সঠিক কিনা? সে বিষয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে। তাই এ বিষয়ে তাঁর যুক্তি, মাদ্রাসাগুলোর চাঁদা তোলা নিয়ে একাধিক সময়ে একাধিক প্রশ্ন উঠেছে। কিন্তু সেসব প্রশ্নের কোনো সুষ্ঠু মীমাংসা করা সম্ভব হয়নি। মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষর কাছে তিনি অনুরোধ করেছেন, তারা যেন সঠিক অডিট করেন, তাহলেই
কোন প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হবে না তাদের।

অন্যদিকে মুর্শিদাবাদ জেলার ইমাম-মুয়াজ্জিন সংগঠনের জনৈক কর্তা নিজামুদ্দিন বিশ্বাস এ প্রসঙ্গে জানালেন যে, গ্রামে বহু মাদ্রাসা সরকারি অনুমোদন ছাড়াই চলছে। সেই সমস্ত মাদ্রাসা উন্নয়নের নামে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে চাঁদা তোলে। চাঁদার অর্থ তারা উন্নয়নের কাজে ব্যয় করছে, না অন্য কোথাও দিয়ে দিচ্ছে সে বিষয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে। তিনি অভিযোগ করেছেন, অনুমোদনহীন মাদ্রাসাগুলো কখনোই অডিট করায় না। তাই তিনি অডিটের দাবি জানিয়েছেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

মুর্শিদাবাদ জেলার কাটাকোপরা এলাকার এক মাদ্রাসার কমিটির জনৈক সদস্য জান মহম্মদ মন্ডল জানিয়েছেন, ” চাঁদা থেকে পাওয়া টাকার হিসেব যেমন অনেক পুজো কমিটি রাখে না, তেমন অনেক মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষও রাখেন না। তাঁদের মাদ্রাসার নাম ব্যবহার করে ক’টি কুপন ছাপা হয়েছে, তার বিনিময়ে কত টাকা তোলা হয়েছে, তার কোনও হিসেব অনেক ক্ষেত্রেই নেই। তাতেই সন্দেহ গাঢ় হয় যে, কিছু টাকা হয়তো এমন কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে, যা শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ চান না।’’

আবার জলঙ্গীর স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল রশিদ শেখ মাদ্রাসার এই চাঁদা তোলা সম্পর্কে জানিয়েছেন যে, মাদ্রাসার জন্য তোলা চাঁদার অর্থ দিয়ে কেউ যদি কোন অসহায় রোগীকে সাহায্য করেন, বা কোন দরিদ্র পরিবারকে সাহায্যের মত সমাজকল্যাণ মূলক কাজ করেন তাহলে তা নিয়ে কারও আপত্তি থাকতে পারেনা। কিন্তু মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে, কেউ যদি তাদের নাম করে চাঁদা তুলে সেই অর্থ অন্যায় ভাবে ব্যবহার করে। তাহলে তা অবশ্যই শাস্তিযোগ্য।

অন্যদিকে মুর্শিদাবাদ জেলার বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানেরা এ প্রসঙ্গে জানালেন, অনুমোদনহীন মাদ্রাসাগুলিকে অডিটের জন্য পঞ্চায়েত খুব বেশি চাপ দিতে পারেনা। আর কারুর চাঁদা তোলার কাজেও পঞ্চায়েত বাঁধা দিতে পারেনা। মুর্শিদাবাদ জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, এ ব্যাপারে তারা খোঁজ খবর করবেন।

অন্যদিকে এ প্রসঙ্গে ঘোষপাড়া সর্বপল্লি বিদ্যানিকেতনের প্রাক্তন প্রধানশিক্ষক বাইজিদ হোসেন জানালেন, ” কেউ বিশ্বকর্মা পুজো বা দুর্গা পুজোর নাম করে চাঁদা তোলে। কেউ মহরম বা মাদ্রাসার নাম করে চাঁদা তোলে। সেই টাকার উপরে কারও কোনও নজরই নেই। সেই টাকা কোন খাতে ব্যবহৃত হচ্ছে, তা কে বলবে? তাই উদ্বেগ তো হয়ই।’’

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!