এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > শহীদ দিবসকে মোদীর নজরে আনতে মহা-পরিকল্পনা! 24-এর লক্ষ্যে মাস্টারস্ট্রোক মমতার!

শহীদ দিবসকে মোদীর নজরে আনতে মহা-পরিকল্পনা! 24-এর লক্ষ্যে মাস্টারস্ট্রোক মমতার!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –   ব্যাপক বিজেপির হাওয়া থাকা সত্ত্বেও তৃতীয়বারের জন্য বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে রাজ্যের ক্ষমতা দখল করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। আর বাংলার ক্ষমতা দখল করার পরেই আগামী দিনে অর্থাৎ 2024 সালের লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের প্রধান টার্গেট যে দিল্লি, তা ইতিমধ্যেই বুঝিয়ে দিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলীয় সংগঠন চাঙ্গা করার পাশাপাশি দেশের অন্যান্য রাজ্যগুলোতে দলকে বিস্তৃতি লাভ করবার জন্য একাধিক পদক্ষেপ নিতে দেখা গিয়েছে তাকে। সামনেই তৃণমূলের বাৎসরিক বড় কর্মসূচি একুশে জুলাইয়ের শহীদ দিবস।

গতবারের মতো এবারেও ধর্মতলা করে সেই শহীদ দিবস পালন করার সিদ্ধান্ত থেকে বিরত থেকেছে ঘাসফুল শিবির। যার একটাই কারণ, করোনা ভাইরাস। তাই এবারে ভার্চুয়ালি সোশ্যাল মিডিয়া থেকেই এই একুশে জুলাইয়ের সমাবেশে কর্মীদের উদ্দেশ্যে বার্তা দেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে বাংলায় ঘটা করে এই একুশে জুলাই হলেও এবার যাতে দেশের অন্যান্য রাজ্যগুলোতে তা পালন করা যায়, তার জন্য তৃণমূলের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আর সবথেকে বেশি দেশের রাজধানী দিল্লিতে যাতে এই একুশে জুলাইয়ের কর্মসূচি পালন করে ঘাসফুল শিবির, তার জন্য ব্যাপক পরিকল্পনা নিতে শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।

একাংশ বলছেন, তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকদের কাছে এই একুশে জুলাইয়ের কর্মসূচি একটা বড় অনুপ্রেরণা। মূলত তৃণমূল কর্মীরা এই একটি দিনের জন্য অপেক্ষা করে থাকেন। সারা বছর ধরে কি রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড হবে, কিভাবে লড়াই করতে হবে, তা এই একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকেই ঠিক করে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেদিক থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী, সমর্থকদের কাছে একুশে জুলাই ধর্মতলা সমাবেশ বড় আবেগ। কিন্তু গত বছরের মত এই বছরেও করোনা ভাইরাসের কারণে সেভাবে বড় সমাবেশ করা সম্ভব হচ্ছে না। যার ফলে ভার্চুয়ালিই বক্তব্য রাখবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে সেই বক্তব্যের মধ্যে যে আগামী দিনে 2024 সালের লোকসভা নির্বাচনের লড়াই কিভাবে শুরু হবে, সেই বিষয়টি থাকবে, তা বলাই যায়।

তাই শুধুমাত্র বাংলায় সেই বক্তব্য সীমাবদ্ধ রাখা নয়, যাতে দেশের অন্যান্য প্রান্তগুলোতেও বিজেপিকে চাপে রেখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একুশে জুলাইয়ের বক্তব্য ছড়িয়ে দেওয়া যায়, তার জন্য তৃণমূলের পক্ষ থেকে সমস্ত প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। অর্থাৎ একেবারে রাজধানীতে তৃণমূলের পার্টি অফিসের সামনে এবারের শহীদ দিবস পালন করা হবে। যেখানে জায়ান্ট স্ক্রিন লাগিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য শোনানোর পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই বাংলা জয়ের পর একেবারে একুশে জুলাইয়ের ঘটনাকে তুলে ধরে রাজধানীতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য তুলে ধরা এবং একুশে জুলাইকে পালন করে বিজেপির বিরোধিতা যে আরও বেশি করে ছড়িয়ে দিতে চাইছে ঘাসফুল শিবির, সেই বিষয়টিতে নিশ্চিত পর্যবেক্ষকরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলা দখল করতে রীতিমত উঠেপড়ে লেগেছিল ভারতীয় জনতা পার্টি। নরেন্দ্র মোদী থেকে শুরু করে অমিত শাহের মত বিজেপির হাইপ্রোফাইল নেতারা সপ্তাহে সপ্তাহে বাংলায় বিধানসভা নির্বাচনের প্রচার এসে তৃণমূল কংগ্রেসকে চাপে ফেলে দিয়েছিলেন‌। তবে তা সত্ত্বেও বিজেপির পক্ষে বাংলায় ছাপ ফেলা সম্ভব হয়নি। বিরোধী দলের জায়গা গেরুয়া শিবির দখল করলেও, তৃতীয়বারের জন্য রাজ্যের ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। আর তারপরেই বিজেপিকে পাল্টা চ্যালেঞ্জ জানিয়ে এবার যে তাদের লক্ষ্য দেশে পরিবর্তন আনা, তা বুঝিয়ে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

সেই লক্ষ্যে সংগঠনকে নতুন করে সাজাতে শুরু করেছেন তিনি। আর এবার একুশে জুলাইয়ের মত বৃহৎ কর্মসূচিকে বাংলার বাইরে বের করে একেবারে সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে অন্যান্য রাজ্যতে ছড়িয়ে দেওয়ার পাশাপাশি নরেন্দ্র মোদীর খাসতালুক দিল্লিতেও যাতে সেই একুশে জুলাইয়ের কর্মসূচি পালন করা যায়, তার জন্য তৃণমূলের পক্ষ থেকে প্রস্তুতি গ্রহণ যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। অর্থাৎ এই একুশে জুলাইয়ের কর্মসূচি দিল্লির বুকে পালন করে নরেন্দ্র মোদী এবং বিজেপিকে বার্তা দিতে চাইছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেই মত বিশেষজ্ঞদের। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!