এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > দলের মধ্যেই নেত্রীকে ধীরে ধীরে কোণঠাসা করে ফেলতে চাইছেন হেভিওয়েট নেতা? জল্পনা তুঙ্গে

দলের মধ্যেই নেত্রীকে ধীরে ধীরে কোণঠাসা করে ফেলতে চাইছেন হেভিওয়েট নেতা? জল্পনা তুঙ্গে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা রাজনীতিতে কান পাতলেই শোনা যায়, গত লোকসভা নির্বাচনের পর বিজেপিতে যাওয়ার পেছনে বিপ্লব মিত্রের প্রধান কারণ ছিলেন অর্পিতা ঘোষ। পরবর্তীতে তিনি বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে আসার সময় দলকে শর্ত দিয়েছিলেন যে, যেনতেন প্রকারেণ অর্পিতা ঘোষকে সভাপতির পদ থেকে সরাতে হবে। তাহলেই তিনি আবার দলে ফিরবেন। আর সেই মত করে অর্পিতা ঘোষ সভাপতি পদ থেকে সরে যান। আর তাকে জেলা সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দিয়ে গঙ্গারামপুরের বিধায়ক গৌতম দাসকে সভাপতি করে তৃণমূল কংগ্রেস।

আর এর পরেই ভারতীয় জনতা পার্টি ছেড়ে আবার তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন বিপ্লব মিত্র। তবে অর্পিতা ঘোষকে পদ থেকে সরাতে পারলেও, তার অনুগামীরা গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় ছিলেন। তাই বিপ্লববাবু নিজের মত করে চেষ্টা করছিলেন, তাদেরকেও যাতে সম্পূর্ণরূপে নিষ্ক্রিয় করা যায়। আর এবার ধীরে ধীরে সেই কাজই শুরু করে দিলেন বিপ্লব মিত্র। জানা গেছে, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় অর্পিতা ঘোষের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিলেন দেবাশিস মজুমদার, শুভাশিস পাল এবং সুনির্মল জ্যোতি বিশ্বাস। বর্তমানে এই তিন নেতাকেই দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আর এই তিন নেতাকে বহিষ্কারের পেছনে বিপ্লব মিত্রের ভূমিকা রয়েছে বলেই মনে করছেন একাংশ‌। অনেকে আবার বলছেন, এই তিন নেতাকে বহিষ্কার করে অর্পিতা ঘোষের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় প্রভাবকে আরও কোণঠাসা করতে চাইলেন বিপ্লব মিত্র।

একাংশ বলছেন, বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্য এবং জেলা নেতৃত্ব দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় ভালো ফল করতে বিপ্লব মিত্রকে গুরুত্ব দিতে চাইছে। তবে সেই বিপ্লব মিত্র রাজনৈতিক ময়দানে সক্রিয়ভাবে নামলে যাতে অর্পিতা ঘোষ তাঁর পথের কাঁটা না হতে পারেন, তার জন্যই শেষ পর্যন্ত তার অনুগামীদের ডানা ছেঁটে দেওয়া হল বলে মনে করছেন একাংশ। ইতিমধ্যেই শনিবার দলের কোর কমিটির বৈঠকের বেশকিছু নেতার জেলা কমিটি থাকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন বিপ্লববাবু বলে খবর।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে অর্পিতা ঘোষের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ তিন নেতাকে বহিস্কার করে বিপ্লব মিত্র নিজের পথ আরও বেশি করে পরিষ্কার করে রাখতে উদ্যত হয়েছেন বলে দাবি করছেন বিশেষজ্ঞরা। এদিন এই প্রসঙ্গে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূল সভাপতি গৌতম দাস বলেন, “দলের স্বচ্ছ ভাবমূর্তি বজায় রাখতে দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত নেতাদের আমরা দল থেকে বহিষ্কার করেছি। আগামীতে দলে থেকে কেউ দুর্নীতি করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিপ্লবদা আমার গুরুদেব। শনিবার কোর কমিটির বৈঠকে তিনি আমাদের সঙ্গে বসেছিলেন। জেলা কমিটি নিয়ে বিপ্লবদা যে সমস্যাগুলোর কথা বলেছেন, সেসব নিয়ে আলোচনা করে সমাধানের চেষ্টা করছি।”

এদিকে এই ব্যাপারে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূলের প্রাক্তন সভাপতি বিপ্লব মিত্র বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে তৃণমূল করছি। জেলাতে তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা আমার হাত ধরে। লোকসভা নির্বাচনে দলের কাছে আবেদন করেছিলাম, প্রার্থী হওয়া নিয়ে। দল আমার দাবিতে সম্মতি জানায়নি। আমি দলের ভালো সব সময় চাই। একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। আমি আবার দলে ফিরে এসেছি। দলের ভালোর জন্য নেতৃত্বের কাছে কিছু আবেদন করেছি। নেতৃত্ব যদি তা মেনে নেয়, তবে দলেরই ভালো।”

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় বিপ্লব মিত্রের প্রধান কাটা অর্পিতা ঘোষ। তাই দলে সক্রিয় হতে না হতেই সেই অর্পিতা ঘোষ এবং তার অনুগামীদের কার্যত চাপে রাখার প্রক্রিয়া শুরু করে দিলেন বিপ্লব মিত্র। যার ফলস্বরুপ অর্পিতা দেবীর ঘনিষ্ঠ তিন নেতাকে বহিষ্কার করা হল বলে মনে করা হচ্ছে। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!