এখন পড়ছেন
হোম > আন্তর্জাতিক > নেপালের রাজনীতিতে বড়সড় বদল ঘোষণা করল সেদেশের সুপ্রীম কোর্ট

নেপালের রাজনীতিতে বড়সড় বদল ঘোষণা করল সেদেশের সুপ্রীম কোর্ট


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – ভারতের অন্যতম প্রতিবেশী দেশ হল নেপাল। কিন্তু সেই নেপালে দীর্ঘদিন যাবত রাজনৈতিক চাপানউতোর অব্যাহত। নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলিকে নিয়ে ব্যাপক চাপানউতোর তৈরী হয় সেখানকার রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে। শাসকদল কমিউনিস্ট পার্টির যুগ্ম সভাপতি পুষ্প কমল দহল ওরফে প্রচন্ডর সঙ্গে ব্যাপক বিবাদ সামনে আসে। দলের প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলির পাশাপাশি নেপাল কমিউনিস্ট পার্টির বেশিরভাগ শীর্ষ নেতারা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে কেপি শর্মা ওলির অপসারণ চাইছিলেন। কিন্তু এর মধ্যেই গত সপ্তাহে ভোটের জন্য নির্দিষ্ট দিনক্ষণ ঘোষণা হয় নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে।

তার মধ্যেই গত 22 শে মে 275 সদস্যবিশিষ্ট নিম্নকক্ষ ভেঙে দেন নেপালের প্রেসিডেন্ট ভান্ডারী। আর এই নিয়ে আইনি কার্যক্রম শুরু হয় নেপালের সুপ্রিমকোর্টে। সম্প্রতি নেপালের সুপ্রিমকোর্টের পক্ষ থেকে 5 সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ মঙ্গলবারের মধ্যে নেপাল কংগ্রেসের নেতা শের বাহাদুর দেউবাকে প্রধানমন্ত্রী পদে বসানোর নির্দেশ দিয়েছে। পাশাপাশি সংসদের নিম্নকক্ষের অধিবেশন শুরুর কথা বলা হয়েছে। একই সাথে নেপালের সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ মন্তব্য করেছেন, যেভাবে কেপি শর্মা ওলির পরামর্শে প্রেসিডেন্ট বিদ্যাদেবী ভান্ডারী সংসদের নিম্নকক্ষ ভেঙে দিয়েছেন, তার চূড়ান্তভাবে অসাংবিধানিক।

কার্যত এই নিয়ে পাঁচ মাসের মধ্যে দ্বিতীয় বার জনপ্রতিনিধি সভা ভেঙে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ঘোষণা করা হয় 12 ও 19 এ নভেম্বরের মধ্যে অন্তর্বর্তী নির্বাচনের করতে বলা হয়। গত সপ্তাহের নির্দিষ্ট দিনক্ষণ নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়। একই সাথে জানা যায়, নিম্নকক্ষ ভেঙে দেওয়ার বিরুদ্ধে প্রেসিডেন্টের কাছে ত্রিশটি পিটিশন জমা পড়েছিল। তারমধ্যে নেপালি কংগ্রেস যেমন ছিল, তেমনি অন্য একটি পিটিশনে বিরোধী জোটের অন্তত 146 জন নেতা সংসদের নিম্নকক্ষের অধিবেশন ডাকার জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন নেপালের রাষ্ট্রপতির কাছে। কার্যত নেপালের কমিউনিস্ট পার্টির পক্ষ থেকেই প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন কেপি শর্মা ওলি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কিন্তু সময়ের সাথে সাথে কেপি শর্মা ওলির সঙ্গে বিরোধ লাগে দলেরই অন্যান্যদের। তাই 20 ডিসেম্বর প্রেসিডেন্ট ভান্ডারী নেপাল সরকার ভেঙে দেন। 23 শে ফেব্রুয়ারি নেপালের সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে সংসদের নিম্ন কক্ষে অধিবেশন ডাকা হয়। সেসময় আস্থা ভোটে হেরে যান কেপি শর্মা ওলি। এই অবস্থায় কেপি শর্মা ওলি প্রেসিডেন্ট ভান্ডারীর কাছে আবেদন জানান নিম্নকক্ষ ভেঙে দেওয়ার জন্য। প্রেসিডেন্ট নিম্নকক্ষ ভেঙে দেন নেপাল সংসদের নিম্নকক্ষ ভেঙে দেন আর তাই নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয় নেপালের রাজনীতিতে। কার্যত বিরোধী দলনেতা শের বাহাদুর দেওবাকে পেছনে ফেলে নেপালি প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছিলেন কেপি শর্মা ওলি।

কিন্তু বিভিন্ন ক্ষেত্রে নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলির ব্যর্থতা লক্ষ্য করা গিয়েছে। বিশেষ করে করোনা মোকাবিলা থেকে দেশের অর্থনৈতিক  ব্যর্থতা। তার ওপর ক্রমশ চাপ বাড়ছিল। পরিস্থিতি যেভাবে এগোচ্ছে তাতে কেপি শর্মা ওলি শাসিত সরকার যে কোন মুহূর্তে ভেঙে পড়তে পারতো। সেক্ষেত্রে কেপি শর্মা ওলিকে যদি প্রধানমন্ত্রী করা হতো, তাহলে আগামী দিনে আরও বড় আন্দোলন দেখা যেত নেপালে। তাই সব দিক বিচার করে নেপাল কংগ্রেসের নেতা শের বাহাদুর দেওবাকে প্রধানমন্ত্রী পদে বসানো হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। একইসাথে সংসদের নিম্নকক্ষের অধিবেশনও আবার বসতে চলেছে। সব মিলিয়ে নেপালের রাজনৈতিক পরিস্থিতি এখন কোন দিকে মোড় নেয় সে দিকেই নজর বিশেষজ্ঞদের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!