এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > নদীয়া-২৪ পরগনা > মুখ্যমন্ত্রীর উন্নয়নে বড় বাধা! কন্যাশ্রী বিশ্ববিদ্যালয় আটকানো পথে বামেরা – জানুন বিস্তারিত

মুখ্যমন্ত্রীর উন্নয়নে বড় বাধা! কন্যাশ্রী বিশ্ববিদ্যালয় আটকানো পথে বামেরা – জানুন বিস্তারিত

ক্ষমতায় আসার পর থেকে বিভিন্ন সময় রাজ্যের উন্নয়নে বিরোধীরা বাধা দিচ্ছে বলে অভিযোগ করতেন শাসকদলের নেতা মন্ত্রীরা। যদিও বা বিরোধীদের তরফ সেই অভিযোগকে বারবার নস্যাৎ করা হয়েছে। তবে এবার সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের কন্যাশ্রী বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের ব্যাপারে প্রবল বিরোধিতায় নামল রাজ্যের একদা ক্ষমতাসীন দল হিসেবে পরিচিত বামফ্রন্টের বড় শরিক সিপিএম। কিন্তু কেন এই বিশ্ববিদ্যালয় তৈরিতে আপত্তি তুলছেন তাঁরা?

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, নদীয়া জেলায় এই কন্যাশ্রী বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলার ব্যাপারে কিছুদিন আগেই রাজ্য বিধানসভায় একটি বিল পাস করা হয়েছে। জেলা সদর কৃষ্ণনগরে ওই বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে, প্রথমে পুরসভার গোদাডাঙ্গায় জমি দেখা হলেও পরবর্তীতে তা অনুপযুক্ত বলে বাতিল করা হয়। আর এরপরেই ঠিক কোনখানে কন্যাশ্রী বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা যায় সেই ব্যাপারে গত শুক্রবার গভর্নমেন্ট কলেজের মাঠ পরিদর্শন করেন স্বয়ং শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।

আর শিক্ষামন্ত্রীর এই মাঠ পরিদর্শনের পরেই তা নিয়ে প্রবল বিরোধিতার নামে সিপিএম। গভর্নমেন্ট কলেজের মাঠে বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তুললে মাঠ সংকুচিত হয়ে যাবে এই দাবিতে পথে নেমেছে তারা। এদিন এই প্রসঙ্গে সিপিএমের জেলা সম্পাদক সুমিত দে সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “গভর্নমেন্ট কলেজের মাঠ সংকুচিত করে কোনো মতেই বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলা সম্ভব নয়। আমরাও চাই এখানে বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে উঠুক। কিন্তু তা শহরের অন্যত্র স্থাপন করা হোক”।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বিশেষজ্ঞদের মতে, এই গভর্নমেন্ট কলেজের মাঠে সরকারের পক্ষ থেকে কন্যাশ্রী বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হলে তাতে সিপিএমের বিরোধিতার পেছনে এক অন্য কারণ রয়েছে। কেননা বিগত বাম সরকারের আমলে এই গভর্নমেন্ট কলেজের মাঠে “ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ড” করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই সময় তাঁর প্রবল বিরোধিতার নেমেছিল রাজ্যের বর্তমান শাসকদল তৃণমূল ও শহরের কিছু বাসিন্দা। যার ফলে পরে সেই কাজ বন্ধ হয়ে যায়। তাই এখন রাজ্যের বর্তমান শাসকদল তৃণমূলের পক্ষ থেকে এইখানে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হলে ‘প্রতিশোধ’ নিতে গিয়ে তার বিরোধিতায় নেমেছে সিপিএম।

তবে সিপিএম নেতাদের এহেন বিরোধিতায় সরব হয়েছেন এই গভর্মেন্ট কলেজের অধিকাংশ প্রাক্তনী বলে সূত্রের খবর। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের ব্যাপারে সিপিএমের এহেন বিরোধিতা নিয়ে পাল্টা বামেদের কটাক্ষ করেছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলও। এদিন এই প্রসঙ্গে রাজ্যের কারামন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস বলেন, “সিপিএম ট্র্যাক অ্যান্ড করার নামে লক্ষ লক্ষ টাকা নয়ছয় করেছে। এখন আর বাম আমল নেই। সিপিএম নেতারা শীত ঘুম থেকে উঠে আমাদের সরকারের উন্নয়নমূলক প্রকল্পের বিরোধিতা করা শুরু করেছেন। গভর্নমেন্ট কলেজের জমিই বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য উপযুক্ত”।

অন্যদিকে সিপিএমেকে কটাক্ষ করে নদীয়া জেলা তৃণমূলের সভাপতি গৌরীশংকর দত্ত বলেন, “কন্যাশ্রী বিশ্ববিদ্যালয় গড়তে সিপিএম যদি বাধা দেয় তাহলে ওরা আরও অস্তিত্বহীন হয়ে পড়বে। আসলে ক্ষমতায় থাকাকালীন ওরা কৃষ্ণনগরের জন্য কিছুই করতে পারেনি। তাই এখন ওদের গাত্রদাহ হচ্ছে”। সব মিলিয়ে এবার কৃষ্ণনগরের কন্যাশ্রী বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের জায়গা নিয়ে প্রবল টানাপোড়েন শাসক-বিরোধী মধ্যে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!