এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > বর্ধমান > খোদ বাবুল সুপ্রিয়র খাসতালুকেই চরমে বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব! গেরুয়া শিবিরে বাড়ছে অস্বস্তি

খোদ বাবুল সুপ্রিয়র খাসতালুকেই চরমে বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব! গেরুয়া শিবিরে বাড়ছে অস্বস্তি


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সামনেই 2021 এর বিধানসভা নির্বাচন। বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের পক্ষ থেকে রাজ্য নেতৃত্বকে বার্তা দিয়ে বলা হচ্ছে, এবার ঐক্যবদ্ধভাবে সংগঠনকে শক্তিশালী করতে হবে। সেই মতো করে কাজ করার চেষ্টা করছে রাজ্য বিজেপির নেতা কর্মীরা। কিন্তু এর মাঝেই আসানসোলের বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়র নামে একটি পৃথক টিম গঠনকে কেন্দ্র করে তীব্র চাপানউতোর সৃষ্টি হল‌ গেরুয়া শিবিরের অন্দরমহলে।

যেখানে দলের পক্ষ থেকে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে চলার বার্তা দেওয়া হচ্ছে, সেখানে পৃথকভাবে “টিম বাবুল” গঠন করা হল কেন! তা নিয়ে দলের অন্দরেই উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। জানা গেছে, লকডাউনের সময় ত্রান বিলি থেকে শুরু করে রেশন কার্ড নিয়ে আন্দোলন, সমস্ত কর্মসূচিতেই এই টিমের সদস্যদের দেখা গেছে। অবস্থান-বিক্ষোভ থেকে শুরু করে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া, সমস্ত কিছুতেই ছিল আসানসোলের বিজেপি সাংসদের এই নয়া টিম।

আর যখন “টিম বিজেপি” হয়ে সকলকে কাজ করার নির্দেশ দিচ্ছে ভারতীয় জনতা পার্টি, তখন পৃথকভাবে সাংসদের নামে টিম দলে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব তৈরি করবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। তবে দল হিসেবে বিজেপি যখন ক্ষমতা দখল করতে উদ্যোগী, তখন বিজেপি সাংসদের এই টিম সমস্ত বিক্ষোভ কর্মসূচি করে কি বার্তা দিতে চাইছে? দলের ভেতরেই এই নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। যদিও বা এই ঘটনাতে অস্বাভাবিক কিছুই দেখছেন না বিজেপির রাজ্য সহ সভাপতি তথা বাঁকুড়ার সাংসদ সুভাষ সরকার।

[content_block id=39107

এদিন তিনি বলেন, “সংসদীয় এলাকায় নিজের কাজকর্মের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে আলাদা করে টিম করা যেতেই পারে। ওই দলটি অবশ্যই বিজেপির আঞ্চলিক কমিটির সঙ্গে বোঝাপড়া রেখেই কাজ করবে। আসানসোলে যদি সেটার অভাব হয়ে থাকে, দ্রুত বসে তা মিটিয়ে ফেলা উচিত।” যদিও বা এই টিম কাজ করলেও, তাকে নিজেদের বলে মানতে নারাজ জেলা বিজেপির সভাপতি লক্ষণ ঘোড়ুই। যার ফলে দলের অন্দরে তৈরি হয়েছে বিড়ম্বনা।

অনেকে বলছেন, যেহেতু সাংসদের এই টিম একা কাজ করছে, সেহেতু জেলা নেতৃত্ব তাকে মেনে নিতে পারছে না। যার ফলে জেলা সভাপতির মুখ থেকে এই ধরনের কথা শোনা যাচ্ছে। যদিও বা এই বিষয়ে বাবুল সুপ্রিয়কে ফোন করা হলেও ব্যস্ত আছি বলে তিনি ফোনটি কেটে দেন। তবে গোটা বিষয়ে রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু বলেন, “বিষয়টি শুনেছি। তবে এটা এমন কিছু গুরুতর বিষয় নয় যে, আলোচনা করে মেটানো যাবে না। আমরা উপযুক্ত পদক্ষেপ করছি।”

কিন্তু রাজ্য নেতৃত্ব থেকে জেলা নেতৃত্ব, যে বিজেপি নেতা যে কথাই বলুন না কেন, টিম বিজেপির বদলে বিজেপি সাংসদের টিম লাগাতারভাবে এলাকায় কাজ করায় বিজেপির অনেক নেতা-কর্মীরাই যে ক্ষুব্ধ হতে শুরু করেছেন, তা কার্যত গেরুয়া শিবিরের অন্দরমহলে কান পাতলেই স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ফলে এই পরিস্থিতিতে এখন সংগঠনকে চাঙ্গা করতে বাবুল সুপ্রিয়র নামে পৃথক টিম বন্ধ করার ব্যাপারে বিজেপি উদ্যোগী হয়, নাকি সকলকেই নিজেদের মত করে কাজ করার পরামর্শ দেয়, সেদিকেই নজর থাকবে রাজনৈতিক মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!