এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > দলীয় সংগঠনের কাজ নিয়েই উষ্মা প্রকাশ তৃনমূল মহাসচিবের, জোর জল্পনা

দলীয় সংগঠনের কাজ নিয়েই উষ্মা প্রকাশ তৃনমূল মহাসচিবের, জোর জল্পনা

 

এবার নিজের দলের অধ্যাপক সংগঠন ওয়েবকুপার কাজ নিয়ে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুললেন খোদ তৃণমূল মহাসচিব তথা শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, এদিন ওয়েবকুপার শীতকালীন অধিবেশন আয়োজিত হয়। আর সেখানেই উপস্থিত হন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী। জানা যায়, এদিন প্রথমেই সংগঠনের সভানেত্রী কৃষ্ণকলি বসু এনআরসি এবং সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে নিজেদের কর্মসূচির কথা ঘোষণা করেন। আর এরপরই বক্তব্য রাখতে উঠে দলীয় এই সংগঠনের কর্মসূচি নিয়ে আক্ষেপ প্রকাশ করতে শোনা যায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে।

তিনি বলেন, “ছাত্রছাত্রীরা যেভাবে এই নাগরিকত্ব সংশোধনী বা এনআরসি ইস্যুতে আন্দোলনে সামিল হয়েছেন, অধ্যাপক এবং শিক্ষকদের কিন্তু এখনও তাতে দেখা যায়নি। পেনশন কিংবা পদোন্নতির জন্য আপনারা ছুটি নিয়ে আসেন। মানুষের পাশে দাঁড়াতেও আপনাদের স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে নামতে হবে। শিক্ষক সমাজের দিকে সবাই তাকিয়ে থাকেন। সেখানে অধ্যাপকরা যদি চুপ থাকেন, তাহলে সমাজের কাছে ভালো বার্তা যাবে না।”

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল লাগু হওয়ার পর থেকেই রাস্তায় নেমেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু তাই নয়, তিনি দলের প্রতিটা সংগঠনকে নিজ নিজ ক্ষেত্রে আন্দোলন করার নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু সেইভাবে তৃণমূলের প্রত্যেকটি সংগঠন রাস্তায় নামলেও, অধ্যাপক সংগঠনকে প্রতিবাদ করতে দেখা যায়নি। আর যা নিয়ে এদিন সেই অনুষ্ঠানে এসে প্রশ্ন তুলে দিলেন শিক্ষামন্ত্রী। যা নিঃসন্দেহে তৃণমূলের এই সংগঠনকে অস্বস্তিতে ফেলল বলেই মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। এদিকে ওয়েবকুপার প্রচুর সদস্য সংখ্যা থাকলেও, তারা কাজে আসেন না বলে হতাশ প্রকাশ করেছেন শিক্ষামন্ত্রী।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তিনি বলেন, “শক্তি বাড়ছে বলা হচ্ছে। কিন্তু সবাইকে তো দেখাই যায় না। তাই এখন শক্তি প্রমাণের সময় এসেছে। অন্য সংগঠন কাজ করছে। তাদের কাজ কিন্তু দাগ কাটছে। কিন্তু এই সংগঠন শুধুমাত্র একটি লিফলেট দিয়ে ছেড়ে দিচ্ছে। সরকার ভালো কাজ করেও তার ফসল তুলতে ব্যর্থ হয়েছে। আমার বাড়িতে এক মাওবাদী নেতার পরিবার এসেছিল। আমি তাদের জিজ্ঞেস করলাম, কোথায় সমস্যা! বেশিরভাগই ব্যক্তিগত সমস্যা নিয়ে আসেন। বাকিদের কি অবস্থা, তাদের কোনো অসুবিধা আছে কিনা, বা সমস্যা মিটল কিনা, তা নিয়ে কারও ভ্রুক্ষেপ নেই।”

আর এরপরই ওয়েবকুপার নেতৃত্বকে কড়া ভাষায় সতর্ক করে দিয়ে তৃণমূল মহাসচিব বলেন, “আপনারা ঠিকভাবে দায়িত্ব না পালন করলে ওয়েবকুপা ছেড়ে দিয়ে সদস্যরা অন্য সংগঠনে চলে যাবেন। কেউ যে ওয়েবকুপা করেন, তা তার পাশের লোকটাই জানেন না। কারণ সংগঠনের সদস্যদের মধ্যে কোনো সমন্বয় নেই।সংগঠনের সদস্য 6000 করতে পারি। কিন্তু সবার কাছে যদি পৌছতেই না পারি, তাহলে সংগঠন বড় হবে কি করে!”

এদিকে নিজের দলের অধ্যাপক সংগঠনের বিরুদ্ধে তৃণমূল মহাসচিবের এহেন মন্তব্য এখন প্রবল জল্পনার সৃষ্টি করেছে রাজ্য রাজনীতিতে। অনেকে বলছেন, শিক্ষামন্ত্রী তথা তৃণমূল মহাসচিবের অধ্যাপক সংগঠন নিয়ে এহেন মন্তব্য কিছুটা হলেও সত্যি। কেননা সেইভাবে দলের এই সংগঠনকে রাস্তায় নামতে দেখা যায় না। ফলে নাগরিকত্ব ইস্যুতে যখন গোটা দল বিরোধিতা করছে, তখন অধ্যাপক সংগঠনের রাস্তায় নামা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন তৃণমূল মহাসচিব। তবে শিক্ষামন্ত্রী এই ধরনের প্রশ্ন করলেও, এখন তা দলের অধ্যাপক সংগঠনের হুশ ফেরায় কিনা, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!