প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- সম্প্রতি বিজেপির রাজ্য সভাপতি পদে পরিবর্তন এসেছে। যেখানে দিলীপ ঘোষকে সরিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি করা হয়েছে বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদারকে। আর রাজ্য সভাপতি হওয়ার পর এই প্রথম দিল্লিতে যাচ্ছেন সুকান্তবাবু। স্বাভাবিকভাবেই তার এই দিল্লি সফরকে কেন্দ্র করে রীতিমতো গুঞ্জন তৈরি হয়েছে রাজ্য রাজনীতি থেকে শুরু করে গেরুয়া শিবিরের অন্দরমহলে। তবে শুধু সুকান্ত মজুমদার নয়, দিল্লি থেকে ডেকে পাঠানো হয়েছে বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি তথা দলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি সাংসদ দিলীপ ঘোষকেও।

স্বাভাবিকভাবেই কি কারণে বর্তমান এবং প্রাক্তন রাজ্য সভাপতিকে একসাথে ডাকা হল, তা নিয়ে নানা মহলে গুঞ্জন তৈরি হয়েছে। আর এই পরিস্থিতিতে গোটা বিষয়ে কারণ খোলসা করে চমকে দিলেন দিলীপ ঘোষ। যেখানে সাংগঠনিক বিষয়ের পাশাপাশি ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে আলোচনা হবে বলে জানিয়ে দিলেন তিনি। স্বাভাবিকভাবেই কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব তাহলে কি বর্তমান এবং প্রাক্তন রাজ্য সভাপতিকে দিল্লিতে ডেকে কিভাবে তৃণমূল সরকারকে আরও চাপে ফেলা যায়, সেই ব্যাপারে আলোচনা করবে! দিলীপ ঘোষের মন্তব্যের পর এই প্রশ্নই উঠতে শুরু করেছে।

সূত্রের খবর, আজ সকালে প্রাতঃভ্রমণ করতে বের হন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। আর সেখানেই সুকান্ত মজুমদারের দিল্লি সফর নিয়ে প্রশ্ন করা হয় তাকে। আর সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে দিলীপবাবু বলেন, “বাংলার রাজনীতির ব্যাপারে নিশ্চয়ই কথা হবে। তাই তারা ডেকেছেন। আমাকেও বলা হয়েছে যেতে। তাই আমি যাচ্ছি। আমার মনে হয়, ভোট-পরবর্তী হিংসা, সেই বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। পরবর্তীকালে সংগঠন নতুন ধারা তে কিভাবে চলবে নতুন দায়িত্ব পালন করার জন্য নিশ্চয়ই এই ব্যাপারে আলোচনা হবে।” স্বাভাবিক ভাবেই দিলীপ ঘোষের এই মন্তব্যকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চর্চা শুরু হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।

পর্যবেক্ষকদের মতে, দিলীপবাবু কার্যত বুঝিয়ে দিলেন যে, এবার তৃণমূল সরকারকে আরও বেশি চাপে ফেলাই তাদের প্রধান লক্ষ্য। আর সেই কারণেই কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে নতুন রাজ্য সভাপতির দায়িত্ব পাওয়ার সুকান্ত মজুমদারের বিস্তারিত আলোচনা হতে পারে। আর সেই আলোচনায় তিনিও যে উপস্থিত থাকবেন, তাকেও যে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে ডাকা হয়েছে, তা পরিষ্কার ভাষায় স্পষ্ট করে দিলেন গেরুয়া শিবিরের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।