এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > ১৮০ কোটি টাকার উৎস নিয়ে এবার বিপাকে পড়তে চলেছেন দলবদল বিজেপি নেতা, সৌজন্যে তৃণমূল মুখপাত্র!

১৮০ কোটি টাকার উৎস নিয়ে এবার বিপাকে পড়তে চলেছেন দলবদল বিজেপি নেতা, সৌজন্যে তৃণমূল মুখপাত্র!


আপনাদের সুবিধার্থে খবরের শেষে বিধানসভা ২০২১ উপলক্ষে আমাদের করা সর্বশেষ সমীক্ষার প্রতিটির লিঙ্ক দেওয়া আছে।

আপনার মতামত জানান -

প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে প্রায় প্রতিটা রাজনৈতিক দল একে অপরের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ সামনে আনতে শুরু করেছে। এবার একসময়কার তৃণমূল নেতা তথা বর্তমান বিজেপি নেতার টাকার উৎস নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুনাল ঘোষ। জানা গেছে, আয়কর প্রকল্পের সুবিধা নিয়ে হিসাব বহির্ভূত 180 কোটি টাকা সাদা করিয়েছিলেন এক সময়কার এক তৃণমূল নেতা।

বর্তমানে তিনি বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। আর সামনে যখন নির্বাচন এবং বিজেপির পক্ষ থেকে যখন তৃণমূলের বিরুদ্ধে নানা আর্থিক কেলেঙ্কারি নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে, ঠিক তখনই এই ব্যাপার নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করল তৃণমূল কংগ্রেস। যেখানে তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষ এই অর্থের উৎস সন্ধানের আর্জি জানিয়েছেন। স্বভাবতই গোটা ঘটনায় এখন ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।

আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের মুখপাত্র কুনাল ঘোষ অভিযোগ করেন, নোট বন্দির পরে কালো এবং হিসাব বহির্ভূত টাকা সাদা করার জন্য আয়কর দপ্তর একটি বিশেষ প্রকল্প চালু করেছে। যেখানে বলা হয়েছিল, হিসাব বহির্ভূত টাকা আয়কর দপ্তর এর কাছে জমা দিলে তার 40% কেটে নিয়ে বাকি টাকা দেওয়া হবে। সেই সময় অসংখ্য ব্যবসায়ী-শিল্পপতি প্রকল্পের সুবিধা নিয়ে কালো টাকা সাদা করিয়ে নেয়।

এমনকি সেই সময় কলকাতায় আয়কর দপ্তরের সাংবাদিক বৈঠক করে কালো টাকা সাদা করার প্রকল্পের সাফল্যের কথা বলা হয়েছিল। তখন বলা হয়েছিল, বাংলা রাজনৈতিক দলের প্রথম সারির নেতা টাকা সাদা করার জন্য ওই প্রকল্পের 180 কোটি টাকা জমা দিয়েছেন। কিন্তু সেই নেতার নাম তখন জানানো হয়নি।

এবারেও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের পাঠানো চিঠিতে তার নাম উল্লেখ করা হয়নি। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কালো টাকা সাদা করার সময় সেই ব্যক্তি তৃনমূলের নেতা থাকলেও পরবর্তীতে তিনি বিজেপিতে যোগ দেন। আর তারপরেই এই ব্যাপারে একটি চিঠি পাঠান কুনাল ঘোষ। কিন্তু সেই ব্যাপারে আয়কর দপ্তর কোনরূপ সদুত্তর দেয়নি বলে অভিযোগ। আর বর্তমানে এই ব্যাপারে প্রশ্ন তুলে দিয়ে বিজেপির সেই নেতাকে কার্যত চাপে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করলেন তৃণমূলের মুখপাত্র বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে কুনাল ঘোষের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছে এই অর্থের হিসেব চাওয়ার সাথে সাথেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের পক্ষ থেকে গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সিবিআইকে। ইতিমধ্যেই তারা এই ব্যাপারে ডিপার্টমেন্ট অফ পার্সোনাল এন্ড ট্রেনিং বিভাগে একটি চিঠি লিখেছে বলে খবর।

মূলত প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের অধীনেই এই সংস্থা কাজ করে। স্বাভাবিকভাবেই বর্তমানে বিজেপির বিভিন্ন নেতারা যখন সারদা থেকে নারদা বিভিন্ন দুর্নীতির ঘটনায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরব হচ্ছে, তখন পাল্টা তৃণমূলের মুখপাত্র এক সময়কার তৃণমূল নেতা তথা বর্তমান বিজেপি নেতার অর্থনৈতিক উৎস নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন। যার ফলে ভারতীয় জনতা পার্টি অনেকটাই চাপে পড়ে গেল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

একনজরে দেখে নিন আমাদের সর্বশেষ বিধানসভা ২০২১ ওপিনিয়ন পোল –

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – দ্বিতীয় পর্ব – 

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – প্রথম পর্ব – 

# মালদহ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# উত্তর দিনাজপুরে জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# জলপাইগুড়ি ও কালিম্পঙ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# আলিপুরদুয়ার ও দার্জিলিং জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# কুচবিহার জেলার ওপিনিয়ন পোল –

আপনার মতামত জানান -
আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!