এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > একে একে ছাঁটা হচ্ছে শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ হেভিয়েটেদের, ক্রমশ ব্রাত্য হচ্ছেন মেজো অধিকারী

একে একে ছাঁটা হচ্ছে শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ হেভিয়েটেদের, ক্রমশ ব্রাত্য হচ্ছেন মেজো অধিকারী


আপনাদের সুবিধার্থে খবরের শেষে বিধানসভা ২০২১ উপলক্ষে আমাদের করা সর্বশেষ সমীক্ষার প্রতিটির লিঙ্ক দেওয়া আছে।

আপনার মতামত জানান -

প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – দুয়ারে সরকার কর্মসূচি নিয়ে সাফল্যের পর এবার সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস তথা হলদিয়া বিধানসভা তৃণমূল কংগ্রেসের ডাকে রাজ্যজুড়ে ১১ ডিসেম্বর বঙ্গধ্বনি কর্মসূচি পালনের ডাক দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। আর সেখানে এই কর্মসূচি পালন করতে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে উদ্যোগ নিয়েছেন বলেই জানা যায়। সেইসঙ্গে রাজ্যে ২৯৪টি বিধানসভাতেই এই কর্মসূচি পালিত হবে বলেও জানান হয়েছে।

সেইসঙ্গে বঙ্গধ্বনি কর্মসূচিতে কারা নেতৃত্ব দেবেন তার তালিকাও রাজ্য নেতৃত্বর তরফ থেকে সমস্ত বিধানসভাতে পাঠানো হয়েছে বলে জানা যায়। হলদিয়া বিধানসভাতেও বঙ্গধ্বনিতে নেতৃত্বের নামের তালিকা এসেছে বলেই তথ্য সূত্রে জানা গেছে। আর সেখানেই দেখা গিয়েছে, একাধিক হেভিওয়েট নেতার নাম সেই তালিকাতে নেই।

আর সেখানেই এই ঘটনা নিয়ে দলের অন্দরে ফের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের আভাস পাওয়া গেছে বলেই জানা গেছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বঙ্গধ্বনি কর্মসূচিতে শুক্রবার সুতাহাটার সুবর্ণজয়ন্তী ভবন থেকে মঞ্জুশ্রী ক্ষুদিরাম স্কোয়ার পর্যন্ত মহামিছিল হবে বলে জানা গেছে। আর সেই মিছিলে কারা নেতৃত্ব দেবেন তা নিয়েই ঠিক হয়েছে সেই তালিকা।

আপনার মতামত জানান -

যেখানে নেই দলের একাধিক নেতা মন্ত্রীর নাম। সেখানে হলদিয়া বিধানসভা এলাকায় দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সির সই করা ১৩ জনের নামের তালিকা পাঠানো হয়েছে। সেই তালিকাকে তিনটি দলে ভাগ করা হয়েছে বলে জানা গেছে। সেই ১৩ জনের তালিকায় যেমন বাদ পড়েছে হলদিয়ার পুরপ্রধান শ্যামল কুমার আদকের নাম, তেমনই বিধানসভার কো-অর্ডিনেটর আনন্দময় অধিকারী থেকে শুরু করে সুতাহাটা ব্লকের তৃণমূল যুব সভাপতি মহাপ্রসাদ পাত্রের নাম বাদ গেছে।

অথচ তার বদলে সুতাহাটা ব্লকের দুই যুব তৃণমূল সহ-সভাপতি অভিষেক দাস ও শেখ আব্দুল হাসান-সহ বেশ কিছু আদি তৃণমূল নেতার নাম সেই তালিকায় রয়েছে বলে জানা গেছে। অন্যদিকে, সেই ১৩ জনের কমিটিতে হলদিয়া শহর তৃণমূল সভাপতি সুধাংশু শেখর মণ্ডল, হলদিয়া শহর তৃণমূল সহ-সভাপতি দেবপ্রসাদ মণ্ডল, হলদিয়ার পুর পারিষদ স্বপন নস্কর ও জেলার সাধারণ সম্পাদক তথা প্রাক্তন বিধায়ক তুষার মণ্ডল সহ অন্যান্য নেতৃত্বরা রয়েছেন বলে জানা গেছে।

আর এই ঘটনা নিয়েই তৃণমূলের অন্দরে জল্পনা শুরু হয়েছে বলেই জানা গেছে। সেখানে অনেক রাজনৈতিক মনে করেছেন যে, যাদের নাম বাদ গিয়েছে তারা শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামী হিসেবে পরিচিত ছিলেন। এক সময় দলীয় নেতৃত্বের রাশ ছিল তাদের হাতেই ছিল বলে মনে করছেন তাঁরা। সেখানে কিছুদিন থেকে শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে যে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়েছে, সেই জন্য সেইসব নেতা এই মূহূর্তে দলে ব্রাত্য হয়ে পড়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর সেখানে বর্তমান পরিস্থিতিতে আদি তৃণমূলপন্থীদেরই তৃণমূল নেতৃত্ব তাই প্রচারের মুখ হিসেবে তুলে ধরতে চাইছে বলেই মনে করছেন তাঁরা। সেখানে তাই তাঁদের একের পর এক কর্মসূচির দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। অন্যদিকে, রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে শুভেন্দু অনুসরণকারীদের ওপর তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব আর বিশ্বাস রাখতে চাইছে না।

আর তাই নতুন করে নেতৃত্ব সাজাতে উঠে পড়ে লেগেছে তাঁরা। যদিও এভাবে পরিচিতদের ব্রাত্য করে দেওয়ায় দলে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বাড়বে বলেই মনে করছেন তাঁরা। কারণ শুভেন্দু অধিকারী সহ তাঁর অনুগামীরা এখনও তৃণমূলেই রয়েছেন। তাই যেখানে ইতিমধ্যেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ঘটনা ঘটে চলেছে, সেখানে এই ঘটনা সেই আগুনে ঘি ঢালবে বলেই মনে করছেন তাঁরা।

আর এই ঘটনায় দলে যে ইতিমধ্যেই ক্ষোভ তৈরি হয়ে গেছে তার প্রমাণ পাওয়া গেছে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। সেখানে সুতাহাটা ব্লক যুব তৃণমূল সভাপতি মহাপ্রসাদ পাত্রকে বলতে শোনা গেছে, ‘‘আমার ব্লকের দুই সহ-সভাপতির নাম আছে। আমি সভাপতি আমারই নাম নেই। দলের এই আচরণে চরম অপমানিত বোধ করছি।”

তাঁর কথায়, ২০০৮ সাল থেকে জনপ্রতিনিধি হওয়া সত্ত্বেও যদি এমন অপমান সহ্য করতে হয় তা হলে কিছু বলার নেই। তিনি রাজ্য নেতৃত্বকে বিষয়টি জানাবেন বলেও জানিয়েছেন। অন্যদিকে, এই ঘটনায় জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক তথা প্রাক্তন বিধায়ক তুষার মণ্ডল জানান, এই কর্মসূচিতে কারা নেতৃত্ব দেবেন রাজ্য নেতৃত্বের তরফে সেই তালিকা তাঁদের কাছে পৌঁছেছে।

তাঁর কথায়, রাজ্য নেতৃত্ব বিবেচনা করেই তালিকা তৈরি করেছেন। কে কেন তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন তার কারণ রাজ্য নেতৃত্বই বলতে পারবেন। তবে এখানে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের ধারণা, তৃণমূল যতই এই বিষয়টি হালকা ভাবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করুক না কেন, বিষয়টি নিয়ে যে দলের অন্দরে বেশ ভাল রকম অস্বস্তি শুরু হয়েছে, সেটা বলাই বাহুল্য।

একনজরে দেখে নিন আমাদের সর্বশেষ বিধানসভা ২০২১ ওপিনিয়ন পোল –

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – দ্বিতীয় পর্ব – 

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – প্রথম পর্ব – 

# মালদহ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# উত্তর দিনাজপুরে জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# জলপাইগুড়ি ও কালিম্পঙ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# আলিপুরদুয়ার ও দার্জিলিং জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# কুচবিহার জেলার ওপিনিয়ন পোল –

আপনার মতামত জানান -
আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!