শাসকদলের হেভিওয়েট কাউন্সিলরের ওপর হামলার জের কি “কেবল ব্যবসার” দখলদারি নিয়ে? উঠছে প্রশ্ন রাজ্য December 16, 2018 এবার কি শাসকদলের হেভিওয়েট কাউন্সিলরের ওপর হামলার পেছনে রয়েছে ব্যবসা নিয়ে সমস্যা? দুর্গাপুরের কেবল সংযোগ দেওয়া নিয়ে দু’পক্ষের বিবাদের জেরে এখন এমনই এক জল্পনা উঠে আসতে শুরু করেছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই কেবল অপারেটরের ব্যবসাতে বেশ কয়েক বছর ধরে দুর্গাপুরের একটি চক্র সক্রিয় হতে শুরু করেছে। যেখানে একাংশের অভিযোগ যে, এই কেবলের পুরনো সংযোগ কেটে কেউ বা কারা নতুন করে সংযোগ দিতে শুরু করেছে। আর এই নিয়েই তীব্র বিবাদের সৃষ্টি হয়। জানা যায়, পুজোর সময় বামুনারা এলাকায় এক পক্ষের কেবলের তার অন্যপক্ষ কেটে দেয়। যার ফলে উত্তেজনা আরও বৃদ্ধি পায়। পরে অবশ্য স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃত্ব নেতাদের হস্তক্ষেপে গোটা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। কিন্তু এই পরিস্থিতি স্বাভাবিক রূপ নিলেও যে গোড়ায় গলদ রয়েছে তা মানছেন প্রত্যেকেই। সূত্রের খবর, এই দুর্গাপুরের 14 নম্বর ওয়ার্ডে বেশ কয়েক বছর ধরে দুই কেবল অপারেটর গোষ্ঠীর মধ্যে তীব্র দড়ি টানাটানি চলছে। যার জেরে শুক্রবার স্থানীয় কাউন্সিলরের ওপর হামলার ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। ইতিমধ্যেই এই ব্যাপারে স্থানীয় এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রের খবর, ধৃত যুবক জেরায় জানিয়েছে যে, এই এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে সে এই কেবল অপারেটেরের ব্যবসা করত। প্রথমে তার গ্রাহকের সংখ্যা 800 ছুঁইছুঁই হলেও এখন কাউন্সিলারের স্বামীর কাছ থেকেই বেশিরভাগ গ্রাহকেরা সংযোগ নেওয়ায় তার ব্যবসা নিচুতে নামতে শুরু করেছে। আর তার জেরেই এই গন্ডগোল বলে দাবি তার। তবে তার টার্গেট কাউন্সিলর নয়, তাঁর স্বামীই ছিল বলে এদিন দাবি করেছে সেই ধৃত যুবক। কিন্তু এই ভাবে যদি ক্রমশ কেবল অপারেটরের ব্যবসা নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা ছড়াতে থাকে, তাহলে তো ভবিষ্যতে বড়সড় বিপদের সম্মুখীন হবে সকলে! ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে এদিন এই প্রসঙ্গে কেবল অপারেটর সংগঠনের নেতা সুবীর সিনহা বলেন, “যারা পুরনো ব্যবসায়ী তাদের অবস্থা খারাপ হয়ে গিয়েছে। সব জায়গাতেই একটা চক্র সংযোগ দিচ্ছে। আমরা সংগঠনের পক্ষ থেকে অনেকবার অভিযোগ করলেও কোনো সমস্যা মেটেনি।” কবি মিটবে এই সমস্যা? এদিন এই প্রসঙ্গে ডিসিপি অভিষেক মোদী বলেন “বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” সব মিলিয়ে এবার শাসক দলের হেভিওয়েট কাউন্সিলরের উপর হামলার ঘটনায় অন্যতম কারণ হিসেবে উঠে আসলো কেবল ব্যবসার দখলদারি। আপনার মতামত জানান -