এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > ২০০-এর গন্ডি পেরোলেও একদা তৃণমূলের দূর্গে ভয়াবহ ধ্বস! সামাল দিতে সেনাপতি কে? উৎকন্ঠায় শাসক

২০০-এর গন্ডি পেরোলেও একদা তৃণমূলের দূর্গে ভয়াবহ ধ্বস! সামাল দিতে সেনাপতি কে? উৎকন্ঠায় শাসক


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – লোকসভা নির্বাচনেও যে জেলা দুশ্চিন্তায় রেখেছিল রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলকে, বিধানসভা নির্বাচনেও পরিস্থিতির তেমন কোনো উন্নতি ঘটে নি। ২০০ টি আসনে জয়যাত্রার পরেও উত্তরবঙ্গে একসময় ঘাসফুলের শক্তিশালী গড় বলে পরিচিত কোচবিহার জেলায় আশানুরূপ ফল লাভ সম্ভব হয়নি তৃণমূলের। জেলার ৯ টি আসনের মধ্যে ৭ টি আসনে পরাজয় হয়েছে তৃণমূলের। এবার কার হাতে পড়বে জেলার দায়িত্ব? তা নিয়ে কাটাছেড়া চলছে তৃণমূলের।

কোচবিহার জেলা এক সময় তৃণমূলের গড় বলে পরিচিত ছিল। গত ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে জেলার একটি আসন বাদ দিলে বাকি আটটি আসনে তৃণমূল জয়ী হয়েছিল। পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলও ভালো হয়েছিল। কিন্তু লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির কাছে পরাস্ত হয় তৃণমূল। তারপর থেকে এই জেলায় বারবার ধ্বস নামতে থাকে তৃণমূলের। গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জর্জরিত হয়ে পড়ে তৃণমূল। শেষ পর্যন্ত তৃণমূলের জেলা সভাপতির দায়িত্বে আনা হয় পার্থপ্রতিম রায়কে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এখন তাঁর নেতৃত্ব নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। নিজের নাম গোপন রেখে কোচবিহারের এক তৃণমূল নেতা জানিয়েছেন, আবার নতুন করে দলকে সাজানো প্রয়োজন। নতুন করে সাজাতে পারলে আগামী দিনে জেলায় সফলতা আসবে তৃণমূলের। অনেকে একথা বলছেন যে, দলকে খারাপ অবস্থা থেকে অনেকটা ঠিকঠাক করতে পেরেছেন জেলা সভাপতি। কিন্তু অনেকেই জেলা সভাপতির নেতৃত্ব নিয়ে সন্তুষ্ট নন। বিশেষত নিজেই যেখানে পরাজিত হয়েছেন পার্থ প্রতিম রায়।

শীতলকুচি থেকে লড়াই করেছিলেন পার্থপ্রতিম রায়। ভালো রকম প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও শেষ পর্যন্ত বিজেপির কাছে পরাজিত হয়েছে তৃণমূল। বিধানসভা নির্বাচনে জেলার ৯ টির মধ্যে ৭ টি আসনে পরাজিত হয়েছে তৃণমূল। এরপরই নানা প্রশ্ন করতে শুরু করেছে। গত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির কাছে পরাস্ত হবার পর গোষ্ঠী কোন্দলে জর্জরিত হয়ে পড়ে তৃণমূল। সেসময় জেলা সভাপতি ছিলেন প্রাক্তন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। তাঁকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিয়ে সে স্থলে আনা হয়েছিল বিনয় কৃষ্ণ বর্মনকে। কিন্তু তাতেও সমস্যার কোন সমাধান হয়নি।

এরপর জেলা সভাপতির পদে আসীন হন পার্থপ্রতিম রায়। দলের বেশ কিছু গঠনতন্ত্রতে পরিবর্তন আনা হয়। প্রচুর আলাপ-আলোচনার পর ভেঙে সাজানো হয় দলকে। তারপরও কাঙ্খিত ফলাফল না আসায় দলের মধ্যেই প্রশ্ন ও সমালোচনার মুখে পড়েছেন জেলা সভাপতি। নিজের কেন্দ্রে পরাজয়, নির্বাচনের পর অশান্তি, গন্ডগোল নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। জেলার বিভিন্ন স্থান পরিদর্শনে গেছেন জেলা সভাপতি। তবে দলের গোষ্ঠীকোন্দল এর কথা অস্বীকার করেছেন তিনি। তাঁর কথায়, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মেনে তাঁরা সকলে একসঙ্গে কাজ করছেন। এর আগেও করেছেন। পরাজয় যা হয়েছে, সে বিষয়ে তাঁরা পর্যালোচনা করছেন।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!