এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > পুরুলিয়া-ঝাড়গ্রাম-বাঁকুড়া > বিজেপি করার ‘অপরাধে’ বদলি হওয়া দুই শিক্ষকের করা মামলায় বড় সিদ্ধান্ত আদালতের

বিজেপি করার ‘অপরাধে’ বদলি হওয়া দুই শিক্ষকের করা মামলায় বড় সিদ্ধান্ত আদালতের


বড় জয় পেলেন রাজ্যের দুই শিক্ষক – কয়েকদিন আগে পুরুলিয়া জেলার বিজেপির সাধারণ সম্পাদক কমলাকান্ত হাঁসদা ও সন্দীপ মন্ডলকে যথাক্রমে পশ্চিম মেদিনীপুর ও পূর্ব মেদিনীপুরের স্কুলে বদলি করা হয়। বদলির কারণ কিছু জানা যায়নি, তবে দুই শিক্ষকের দাবি ছিল যে তাঁদের বিজেপি করার ‘অপরাধে’ রাজ্য সরকারের তোপের মুখে পড়তে হয়েছে।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

——————————————————————————————-

 এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

যদিও এর পরিপ্রেক্ষিতে পুরুলিয়া জেলার তৃণমূল কংগ্রেস জেলা সভাপতি শান্তিরাম মাহাতো জানিয়েছিলেন এটার সঙ্গে রাজনীতির কোনো যোগ নেই। এটা শুধুমাত্র রুটিন বদলি এবং শিক্ষা দপ্তর এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু কমলাকান্তবাবু ও সন্দীপবাবু এই নিয়ে রাজ্য সরকারকে পাল্টা চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টে একটি মামলা দায়ের করেন। গতকাল বিচারপতি শেখর ববি সরাফের এজলাসে সেই মামলার শুনানি ছিল।

সেখানে মামলাকারীদের আইনজীবী বিবেকানন্দ বাউড়ি প্রশ্ন তুলেছিলেন যে রাজ্য সরকার যে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল তাতে বলা হয়েছিল – রাজ্য সরকার মনে করলে যাকে খুশি বদলি করতে পারে। আর তিন দিনের মধ্যে তাঁকে নতুন জায়গায় কাজে যোগ দিতে হবে। কিন্তু ৭২ ঘণ্টার মধ্যে কাউকে এভাবে বদলি করা হলে নতুন স্কুলে যোগ দেওয়া কি সত্যিই আদৌ সম্ভব? এরপর বিচারপতি কমিশনের বদলি নির্দেশিকার উপরে দুসপ্তাহ স্থগিতাদেশ দেন।

আর এই খবর সামনে আসতেই খুশির হাওয়া রাজ্যের শিক্ষক মহলে। তাঁদের মতে, বড় ধরনের জয় পেলেন কমলাকান্তবাবু ও সন্দীপবাবু। প্রসঙ্গত, গত ৫ ই জুলাই উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের তরফে শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মীদের প্রশাসনিক কারণে বিভিন্ন জায়গায় বদলি করা হতে পারে বলে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল। আর তারপরেই কমলাকান্তবাবু সন্দীপবাবুর স্কুলে তাঁদের বদলি সংক্রান্ত নোটিশ আসে।

এই নিয়ে কমলাকান্তবাবুর স্কুলের পড়ুয়ারা আন্দোলনে নেমেছিল। স্কুল অবরোধ করে শিক্ষকদের তালা ঝুলিয়ে রেখে দিয়েছিল – তাদের প্রিয় শিক্ষকের এই ‘অনৈতিক’ বদলির প্রতিবাদে। এমনকি স্কুলের খুদে ছাত্ররা জানিয়েছিল যে, যদি এই বিজ্ঞপ্তি নির্দেশিকা প্রত্যাহার না করে রাজ্য সরকার, তবে তারা আরো বড় আন্দোলনের পথ বেছে নেবে। আর তাই গতকালের আদালতের রায়ের পরে খুশির হাওয়া সেইসব ছোট ছোট ছাত্রদের মধ্যেও বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!