প্রভাবশালী তৃণমূল নেত্রীর জন্য আমপানের ক্ষতিপূরণের পাশাপাশি ১০০ দিনের জবকার্ড! অস্বস্তি দলেই তৃণমূল রাজনীতি রাজ্য হাওড়া-হুগলি September 22, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আম্ফান ঝড়ের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া বসত বাড়ি মেরামতের জন্য রাজ্য সরকারের তরফ থেকে যে ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা হয়েছে, সে বিষয়ে দুর্নীতি তথা অস্বচ্ছতার অভিযোগ বারবার উঠে এসেছে বিরোধী দলগুলি থেকে। সম্প্রতি হুগলি জেলার তৃণমূল পরিচালিত গোঘাট-২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ উঠে এলো স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের পক্ষ থেকে। স্থানীয় সংবাদ সূত্রে জানা গেছে গোঘাট-২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অনিমা কাটারির মেয়ে সুজাতার নামে আম্ফান ঝড়ের ক্ষতিপূরণ বাবদ ২০ হাজার টাকা যেমন এসেছে, তেমনি ১০০ দিনের কাজে নতুন করে করে ঘর তৈরীর জন্য মজুরিও এসেছে। তাঁর মেয়ে সুজাতা এ প্রসঙ্গে জানিয়েছেন যে, অম্ফানের ক্ষতিপূরণের ২০ হাজার টাকা ছাড়াও ১৫ দিনের কাজের জন্য তিনি ৩০৬০ টাকা পেয়েছেন। এই বিষয়টি জানাজানি এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। এই বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব সংশ্লিষ্ট বেঙ্গাই পঞ্চায়েত অফিসে বিক্ষভ প্রদর্শন করে। গত শুক্রবার বিজেপি নেতৃত্বের তরফ থেকে পত্র মারফত বিডিওর কাছে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ জানিয়ে তদন্তের দাবি করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে বিজেপির আরামবাগ সাংগঠনিক জেলার উপজাতি মোর্চার সভাপতি সৌমেন হেমব্রম বলেছেন, ‘‘ কিসের ভিত্তিতে সভাপতির মেয়ে ক্ষতিপূরণ এবং বাড়ি নির্মাণে মজুরির জন্য জবকার্ড পেলেন, তার তদন্ত দাবি করছি আমরা। ’’ আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - প্রকৃত ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ ও আর্থিক ভাবে দুর্বল হবার কারণেই তাঁর মেয়ে আর্থিক ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন বলে দাবি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির। এর মধ্যে কোন দুর্নীতি নেই বলেই তাঁর বক্তব্য। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অনিমা কাটারি জানিয়েছেন, তার মেয়ের সুজাতা বিয়ে হয়েছিল বেঙ্গাই গ্রামে। কিন্তু তার স্বামী তার সঙ্গে থাকে না। ৪ বছরের ছেলেকে নিয়ে ইদলবাটি গ্রামে বাপের বাড়িতেই রয়েছেন তিনি গত দু বছর ধরে। এ প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, ” আমাদের জমি-জিরেত নেই। বাড়ির যে অংশে মেয়ের থাকার ব্যবস্থা করেছি, গত জানুয়ারি মাসে তার একাংশ দুষ্কৃতীরা আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছিল। আমপানে ঘরের অ্যাসবেসটসের চাল উড়ে গিয়েছে। সভাপতি বলে কী আমার দুঃস্থ মেয়ে ক্ষতিপূরণ পাওয়ার যোগ্য নয়! এক জন মা তার বাচ্চাকে মানুষ করতে যদি ১০০ দিনের কাজ করেন, তাতেই বা আপত্তি কোথায়?’’ অনিমা কাটারি আরো জানিয়েছেন যে, তাঁদের আর্থিক দুরবস্থার কথা মুখ্যমন্ত্রীও জানেন। তাঁর স্বামী একজন দিনমজুর। তিনি পূর্বে ঝুড়ি বুনতেন। সম্প্রতি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হিসেবে মাসে ৬০০০ টাকা করে ভাতা পাচ্ছেন। তাঁর কন্যাকে ক্ষতিপূরণ দান প্রসঙ্গে তৃণমূল পরিচালিত বেঙ্গাই পঞ্চায়েতের প্রধান মেনকা মালিক জানিয়েছেন, ‘‘ আমাদের পঞ্চায়েত থেকে সভাপতির মেয়ের নাম পাঠানো হয়নি। সরাসরি ব্লক প্রশাসন থেকে হয়ে থাকতে পারে। জবকার্ডের বিষয়টাও আমার জানা নেই।’’ অন্যদিকে এ প্রসঙ্গে সংশ্লিষ্ট ভিডিও অভিজিৎ হালদার জানিয়েছেন, ” অভিযোগপত্র হাতে পাইনি। পেলে খতিয়ে দেখা হবে।’’ আপনার মতামত জানান -