এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > তৃণমূলের ভোট লুটের স্বপ্নের দফারফা, নির্বাচন ঘোষণা হতেই উচ্ছ্বসিত শুভেন্দু!

তৃণমূলের ভোট লুটের স্বপ্নের দফারফা, নির্বাচন ঘোষণা হতেই উচ্ছ্বসিত শুভেন্দু!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- পশ্চিমবঙ্গে বিগত পঞ্চায়েত নির্বাচনে যে রক্তপাত হয়েছে এক দফায় ভোট হলে বাংলায় কিভাবে সন্ত্রাস হয় এবং যত দফা কম হয়, ততই যে এই রাজ্যের শাসক দল উচ্ছসিত হয়, সেটা নতুন করে বলতে হবে না। কারণ তাদের ক্ষেত্রে দফা কম হলে ভোট লুটের ক্ষেত্রে অনেক সুবিধা হয়। তারা তাদের গুন্ডাদের দিয়ে মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারকে হরণ করে নিয়ে নিজেদের ক্ষমতা ভোগ করবে, এমনটাই তোলামুলের নেতাদের বাসনা। কিন্তু এটা তো আর রাজ্যের নির্বাচন কমিশন নয়। তারা তো দলদাস হয়ে নিজেদের মান-সম্মান সব খুইয়ে নিয়েছে। কিন্তু কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন মাথা উঁচু করে শিরদাঁড়া সোজা রেখে কাজ করে। তারা কোনো রাজনৈতিক দলের কথা শোনে না। তাই দেশের লোকসভা নির্বাচনের ঘোষণা হওয়ার পর তৃণমূল সাত দফাতেই বাংলার ভোট নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন তুলতেই পারে। কিন্তু নির্বাচন কমিশন যে একেবারে সঠিক পদক্ষেপ নিয়েছে এবং বাংলার গণতান্ত্রিক পদ্ধতিকে সম্মান জানিয়ে এবং ভোট লুট বন্ধ করতেই যে তাদের এই পদক্ষেপ, সেই নিয়ে দ্বিমত নেই কারও মধ্যেই।আর এই পরিস্থিতিতে নির্বাচন কমিশনের এই ঘোষণা যে অত্যন্ত সুখকর, বাংলার স্বার্থে তা জানিয়ে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এক্ষেত্রে একটি বড়পর্দা ফাঁস করলেন তিনি। শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত তৃণমূল কিভাবে এক দফায় ভোট চাইছিল এবং কিভাবে লোকসভা ভোটকেও তারা প্রহসনে পরিণত করতে চাইছিল, তা নিয়ে একটি গোপন কথা প্রকাশ্যে জানিয়ে দিলেন এই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। কিন্তু কি বললেন তিনি?

প্রসঙ্গত, নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার আগে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে বিভিন্ন সময় সর্বদলীয় বৈঠক হয়। এবারেও সেটা হয়েছে। কিন্তু সেই সর্বদলীয় বৈঠকে বিজেপির পক্ষ থেকে বাংলায় যাতে রক্তপাতহীন নির্বাচন করা হয়, সেই দাবি জানানো হয়েছে। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে যারা প্রতিনিধি ছিলেন, তারা সেখানে দফা কমানোর দাবি করেছিলেন। তারা চাইছিলেন যাতে এক বা দুই দফাতে ভোট হয় এবং তারা পঞ্চায়েতের মত গোটা রাজ্যে সন্ত্রাস করে মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারকে হরণ করতে পারে। কিন্তু তৃণমূলের সেই গোপন ফন্দী ধরে ফেলেছিল কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন। তাই তারা বাংলাতে রক্তপাতহীন নির্বাচন করানোর জন্য সাত দফায় নির্বাচনের ঘোষণা করেছে।

আর সেই বিষয় নিয়েই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “আমাদের নেতারা গিয়ে বারবার বলেছেন যে, বাংলাতে সুষ্ঠু নির্বাচন করা প্রয়োজন। এক দফায় নির্বাচন করলে সব ভোট লুট হয়ে যেত।” স্বাভাবিকভাবেই এটা গণতন্ত্রের ক্ষেত্রে বড় জয়। হয়ত বিজেপি নেতারা দাবি করেছেন জন্যেই কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন সব দিকে খোঁজখবর নিয়ে বাংলার পরিস্থিতি ভালো না এজন্য এখানে দফা বাড়িয়েছে। কিন্তু দিনের শেষে তৃণমূল কংগ্রেস কিন্তু এর ফলে যথেষ্ট চাপে পড়ে গেল। তারা যে পরিকল্পনা করেছিল, তাতে কার্যত ছাই ফেলে দিল কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন।

পর্যবেক্ষকদের মতে, বাংলায় গণতন্ত্র বলে আজকে আর কিছু নেই। পঞ্চায়েত থেকে শুরু করে পৌরসভা, এমনকি বিধানসভার মতো ভোটেও তৃণমূল কংগ্রেস কারচুপি করার চেষ্টা করে। তাদের নেতাদের নাম জড়ায় ভোট লুটের কারণে। কিন্তু এত কিছুর পরেও তারা আবার দাবি করে, তারা নাকি উন্নয়ন করেছে। মানুষ নাকি তাদের পাশে আছে। আজকে সব জায়গায় তৃণমূল মানুষের টুটি চিপে ধরে গণতন্ত্রকে হত্যা করে ক্ষমতায় বসে রয়েছে। সঠিকভাবে ভোট হলে তৃণমূল রাজ্যের ক্ষমতায় থাকবে না বলেই দাবি বিরোধীদের। তাই এই পরিস্থিতিতে লোকসভা নির্বাচনে সকলেই বাংলার মানুষের মন পরখ করতে চায়। তৃণমূল অন্য পদ্ধতি অনুসরণ করলেও তাতে কাজ হলো না। তাই শেষ পর্যন্ত সাত দফায় বাংলার লোকসভা নির্বাচন হওয়ার কারণে এই রাজ্যের শাসক দল অত্যন্ত চাপে পড়েছে। তারা বুঝতে পেরেছে যে, এবার আর কারচুপি করা সম্ভব হবে না। কারণ সেখানে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন থেকে শুরু করে সন্দেশখালীর ঘটনার পর মানুষের সমবেত প্রতিবাদ এবং বিরোধীদের সূক্ষ্ম নজর থাকবে। আর মানুষ যদি দিনের শেষে নিজের ভোট নিজে দিতে পারে, তাহলে এবার অন্তত লোকসভা ভোটের গণনার বাক্স খোলার পর দেখা যাবে যে, এই রাজ্যে তৃণমূলের নাম নিশান বলে কিছু থাকবে না। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!