এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > বিশ্বভারতীকে ঘিরে বিজেপি ও তৃণমূলের রাজনৈতিক দাপট, সমালোচনা অব্যাহত

বিশ্বভারতীকে ঘিরে বিজেপি ও তৃণমূলের রাজনৈতিক দাপট, সমালোচনা অব্যাহত


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বরাবরই বিরোধীরা অভিযোগ করে থাকেন শিক্ষাঙ্গণ বর্তমানে পরিণত হয়েছে রাজনৈতিক আখড়ায়। কিছুদিন আগেই বিশ্বভারতী নিয়ে শুরু হয়েছিল তৃণমূল এবং বিজেপির দু’দলের তরজা। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বিশ্বভারতীতে আগমনের কারণে বিশ্বভারতীর অঙ্গনে পাওয়া গিয়েছিল গেরুয়া পতাকা। তাই নিয়েই সুর চড়িয়েছিলেন বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তিনি রীতিমতো হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন, বিশ্বভারতীর অঙ্গনে তিনি এবার তৃণমূলের ঝান্ডা গাড়বেন।

আর সে কথাই তিনি এদিন অক্ষরে অক্ষরে পালন করলেন বলে দাবী বিরোধীদের। মঙ্গলবার বোলপুরে ছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিশাল রোড শো। আর এই রোড শো নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। এই রোড শোয়ের আগেই দেখা গেল বিশ্বভারতীর ক্যাম্পাসের পাঁচিলে একের পর এক লাগানো রয়েছে তৃণমূলের দলীয় পতাকা। এমনকি উপাসনা গৃহের সামনের রাস্তাসহ বিভিন্ন এলাকা মুড়ে দেওয়া হয়েছে তৃণমূলের পতাকায়। খুব স্বাভাবিকভাবেই এই নিয়ে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে ব্যাপক চাপানউতোর।

পাশাপাশি শিক্ষা মহলেও শুরু হয়েছে গুঞ্জন। স্বাভাবিকভাবেই বিশ্বভারতী হলো একটি বিখ্যাত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। আর সেখানে একের পর এক রাজনৈতিক দলের প্রভাব বিস্তার করার ঘটনায় শুরু হয়েছে তীব্র বিতর্ক। সম্প্রতি অমিত শাহের বিশ্বভারতীতে আসা নিয়েও একই ভাবে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছিল বিজেপি। বিশ্বভারতীর গেটের মুখে অমিত শাহ এবং অনুপম হাজরার ছবি দেওয়া পোস্টার থেকে শুরু হয় বিতর্ক। এই পোস্টারে অমিত শাহের নিচে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছবি দেওয়ায় অভিযোগ ওঠে কবিগুরুকে অবমাননা করা হচ্ছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে বিশ্বভারতীর শতবর্ষ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বক্তব্য রাখায় এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমন্ত্রণ না জানানোর অভিযোগ ঘিরে শুরু হয়েছে কেন্দ্র-রাজ্য তীব্র সঙ্ঘাত। পাশাপাশি এই নিয়ে রাজ্যেও চলছে তৃণমূল বিজেপির চাপানউতোর। তার মধ্যেই বিজেপি ও তৃণমূল যেভাবে বিশ্বভারতী মুড়ে দিল তৃণমূলের পতাকায়, তা নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই বিরোধিতার সুর চড়িয়েছে রাজ্যের গেরুয়া শিবির। বর্তমানে শিক্ষাঙ্গনে রাজনীতির প্রবেশ ঘিরে ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করতে থাকেন রাজ্যের বিদ্বজ্জনেরা।

একুশের বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে এসে বিশ্বভারতীকে নিয়ে রাজনৈতিক টানাপোড়েন যে আরও বেড়ে চলেছে সে কথা এক বাক্যে মেনে নিচ্ছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। তবে শিক্ষা মহলের অনেকেই দাবি করছেন, রাজনীতি থেকে কবিগুরুকে আলাদা রাখাই একমাত্র কাম্য। তাই কবিগুরুর সৃষ্টির থেকেও যাতে রাজনীতি আলাদা থাকে সে দিকেই নজর দেওয়া উচিত সবার। তবে রাজনৈতিক মহলের অনেকেই স্বীকার করে নিচ্ছেন বিজেপি ও তৃণমূল বিশ্বভারতীকে নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করার অন্যতম ক্ষেত্র বানিয়েছে।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!