প্রতিপক্ষ মোদী ফোন না করায় খুশি নন মমতা? বাড়ছে জল্পনা! তৃণমূল রাজনীতি রাজ্য May 4, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – প্রতিপক্ষ মোদী ফোন না করায় খুশি নন মমতা? বাড়ছে জল্পনা!বাংলা দখল করতে বারবার বিজেপির পক্ষ থেকে নরেন্দ্র মোদীকে প্রচারে নিয়ে আসা হয়েছে। আর প্রচারে এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নানা ইস্যুতে কটাক্ষ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। পাল্টা নির্বাচনী জনসভা থেকে সেই প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যুযুধান দু’পক্ষের লড়াই যখন তুঙ্গে, তখন তৃণমূল বনাম বিজেপির লড়াই অপেক্ষা বাংলার বিধানসভা নির্বাচনে এই লড়াই নরেন্দ্র মোদী বনাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বলেই দাবি করতে শুরু করেছিলেন বিশেষজ্ঞরা। আর এই পরিস্থিতিতে শেষ পর্যন্ত ব্যক্তিগত লড়াই হোক বা দলগত, সেই লড়াইয়ে নরেন্দ্র মোদী বা বিজেপিকে পেছনে ফেলে দিয়ে জয়লাভ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার দল তৃণমূল কংগ্রেস। বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে বিজেপির দুশো আসনের স্বপ্নকে বাস্তবে পরিণত হতে না দিয়ে তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী পদে বুধবার শপথ নিতে চলেছেন তৃণমূল নেত্রী। আর বিজেপি বাংলার ক্ষমতা দখলের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বাংলার মাটিতে নিয়ে এসে প্রচার করালেও, শেষ পর্যন্ত তারা কুপোকাত হয়। দেশের নানা বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতা-নেত্রীরা শুভেচ্ছা জানাতে শুরু করেছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তবে প্রতিপক্ষ তথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পক্ষ থেকে কোনো ফোন না আসায় এবার কি কিছুটা হতাশা প্রকাশ করলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? তার একটি মন্তব্য নিয়ে এখন ব্যাপক চর্চা শুরু হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। বাংলা দখল করতে বারবার বিজেপির পক্ষ থেকে নরেন্দ্র মোদীকে প্রচারে নিয়ে আসা হয়েছে। আর প্রচারে এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নানা ইস্যুতে কটাক্ষ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। পাল্টা নির্বাচনী জনসভা থেকে সেই প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যুযুধান দু’পক্ষের লড়াই যখন তুঙ্গে, তখন তৃণমূল বনাম বিজেপির লড়াই অপেক্ষা বাংলার বিধানসভা নির্বাচনে এই লড়াই নরেন্দ্র মোদী বনাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বলেই দাবি করতে শুরু করেছিলেন বিশেষজ্ঞরা। আর এই পরিস্থিতিতে শেষ পর্যন্ত ব্যক্তিগত লড়াই হোক বা দলগত, সেই লড়াইয়ে নরেন্দ্র মোদী বা বিজেপিকে পেছনে ফেলে দিয়ে জয়লাভ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার দল তৃণমূল কংগ্রেস। বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে বিজেপির দুশো আসনের স্বপ্নকে বাস্তবে পরিণত হতে না দিয়ে তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী পদে বুধবার শপথ নিতে চলেছেন তৃণমূল নেত্রী। আর বিজেপি বাংলার ক্ষমতা দখলের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বাংলার মাটিতে নিয়ে এসে প্রচার করালেও, শেষ পর্যন্ত তারা কুপোকাত হয়। দেশের নানা বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতা-নেত্রীরা শুভেচ্ছা জানাতে শুরু করেছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তবে প্রতিপক্ষ তথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পক্ষ থেকে কোনো ফোন না আসায় এবার কি কিছুটা হতাশা প্রকাশ করলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? তার একটি মন্তব্য নিয়ে এখন ব্যাপক চর্চা শুরু হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। সূত্রের খবর, সোমবার কালীঘাটে সাংবাদিক বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “এই প্রথম দেখলাম, প্রধানমন্ত্রী ফোন করলেন না। ঠিক আছে, উনি হয়ত ব্যস্ত। কোনো সেন্টিমেন্ট নিইনি।” আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই বক্তব্য নিয়ে এখন নানা মহলে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। একাংশ বলছেন, তাহলে কি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নরেন্দ্র মোদীর কাছ থেকে শুভেচ্ছা জ্ঞাপন বা ফোনের আশা করেছিলেন? আর সেই কারণে এই রকম বক্তব্য দিতে দেখা গেল তাকে? তাহলে মুখে যতই তিনি নরেন্দ্র মোদী বা ভারতীয় জনতা পার্টিকে কটাক্ষ করুন না কেন, বিজেপির প্রধান নেতার কাছ থেকে ফোন এবং শুভেচ্ছা পাওয়া যে তার অন্যতম মনোবাসনা ছিল, তা বলার অপেক্ষা রাখে না বলেই দাবি করছেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উঠতে-বসতে নির্বাচনী প্রচারে নরেন্দ্র মোদীকে কটাক্ষ করতেন, সেই নরেন্দ্র মোদীর দল ভারতীয় জনতা পার্টি বাংলায় ক্ষমতা দখলের কথা বলেও, যেভাবে পর্যুদস্ত হয়েছে, তাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এখনও পর্যন্ত বিজেপির প্রধান নেতার কাছ থেকে এই আশা কেন? একাংশ বলছেন, রাজ্যে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু বর্তমানে কেন্দ্র এবং রাজ্যের মধ্যে যদি সমন্বয় রক্ষা করা না যায়, তাহলে রাজ্যের বিরোধীদলের আসনে বসা বিজেপির পক্ষ থেকে প্রশ্ন তোলা হবে। পাশাপাশি কেন্দ্র ও রাজ্যের সমন্বয় রক্ষা না হলে করোনা মহামারীর মত পরিস্থিতিতে আটকাতে পারবে না রাজ্য সরকার। তাই বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় আসার পর এই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ফোন না করায় তিনি কিছুটা যে হতবাক, তা স্পষ্ট মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই মন্তব্য থেকেই বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - বিরোধীদের একাংশের মতে, বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় আসার পরেও কেন প্রধানমন্ত্রীর ফোনের অপেক্ষা করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? তিনি তো কোনকিছুর ধার ধারেন না! এর নিশ্চয়ই কোনও কারণ রয়েছে! বামেদের একাংশ বলেছেন, বাংলায় তৃণমূল এবং বিজেপি একই মুদ্রার এপিঠ আর ওপিঠ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিপুল আসনে জয়লাভের পরেও মোদীর ফোন পাওয়ার আশা থেকেই তা পরিষ্কার হয়ে গেল। অন্যদিকে বিজেপির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, তৃণমূল নেত্রী বিপুল আসনে জয়লাভ করে যতই সরকার গঠন করুন না কেন, বিজেপির যে সমর্থন বেড়েছে, তা বিরোধী দলের আসনে ভারতীয় জনতা পার্টি বসাতেই কার্যত অনুভব করতে শুরু করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেই কারণেই একদিকে রাজ্যের বিরোধী দল এবং অন্যদিকে কেন্দ্রের শাসক দলের ক্ষমতায় থাকা ভারতীয় জনতা পার্টিকে কিছুটা প্রসন্ন করতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ধরনের মন্তব্য করলেন। বারবার নির্বাচনী প্রচারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে বিভিন্ন ভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কটাক্ষ করলেও, জয়লাভের পর সেই প্রধানমন্ত্রীর ফোন কেন তার কাছে এত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠল! এখন সেটাই বড় রহস্যের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে রাজ্য রাজনীতির বিশেষজ্ঞদের কাছে। আপনার মতামত জানান -