এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > বিজেপি নেতাদের ঘর থেকে বার করার জন্য এবার দিলীপ ঘোষের কড়া দাওয়াই, লক্ষ্য কাজের দিকে

বিজেপি নেতাদের ঘর থেকে বার করার জন্য এবার দিলীপ ঘোষের কড়া দাওয়াই, লক্ষ্য কাজের দিকে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিধানসভা নির্বাচনের আগের লড়াইটা ছিল অন্যরকম। গেরুয়া শিবির প্রায় নিশ্চিত ছিল রাজ্যে ক্ষমতায় আসতে চলেছে বিজেপি সরকার এবং তাঁরা 200 আসনে জয় পেয়ে ক্ষমতায় আসবে বলে। কিন্তু ভোটের পর দেখা যাচ্ছে পুরোপুরি উল্টো ছবি। বিজেপি আটকে গিয়েছে মাত্র 77 আসনেই। কিন্তু আশার কথা হলো রাজ্যে এই মুহূর্তে একটি মাত্র বিরোধী দল এবং সেটি হলো বিজেপি। কিন্তু প্রধান বিরোধী দল হওয়া সত্বেও গেরুয়া শিবিরের বেশকিছু নেতা এই মুহূর্তে হয় দলে থেকে নিষ্ক্রিয়, না হলে দলের বিরুদ্ধে মতামত প্রদান করছেন, না হলে অনেকেই দল ভেঙে চলে যাচ্ছেন তৃণমূল শিবিরে। এই অবস্থায় দলের সাংগঠনিক পরিস্থিতি সামলানোর জন্য আসরে নামলেন দিলীপ ঘোষ।

তিনি দলের একাংশ নেতাদের প্রতি তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে অভিযোগ করেছেন, যখন দলের কর্মীরা আক্রান্ত হচ্ছে, তখন একশ্রেণীর রাজ্য বিজেপি নেতারা ঘরে বসে রয়েছেন। তাঁদেরকে বারবার বলেও কাজ হচ্ছেনা। পাশাপাশি দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন, কয়েক বছর আগে যে বিজেপি শুধুমাত্র সাইন বোর্ডে আটকেছিল, সেই বিজেপি আজকে রাজ্যে আঠারোটি লোকসভা এবং সাতাত্তরটি বিধানসভার দখল করতে পেরেছে। এই ভাবে লেগে থাকলে আগামী দিনে বড় লক্ষ্য নিশ্চয়ই সফল হবে। কিন্তু গেরুয়া শিবিরের একাংশের অভিযোগ, দিলীপ ঘোষ যাই বলুক না কেন, একটি অংশের বিজেপি নেতারা এখনও পর্যন্ত জেলা সফর করছেন না।

ভোটের পর থেকে বিভিন্ন জেলায় কর্মীরা আক্রান্ত এবং ঘরছাড়া বলে নিয়মিত অভিযোগ করে চলেছে বিজেপি নেতারা এবং পাশাপাশি কর্মীরাও পাল্টা অভিযোগ জানিয়েছেন বিভিন্ন এলাকা থেকে নেতারা তাঁদের পাশে নেই বলে। নেতাদের অনেকে অবশ্য এরই পরিপ্রেক্ষিতে জানিয়েছেন, লকডাউন পরিস্থিতিতে বহু জায়গায় যাওয়া যায়নি। তবে বিধি-নিষেধ শিথিল হওয়ার পর অনেকেই বেরিয়ে পড়েছেন দায়িত্ব পালনে। অন্যদিকে দিলীপ ঘোষ পাল্টা প্রশ্ন তুলেছেন, বিধিনিষেধ থাকা সত্বেও তিনি রাজ্যের সর্বত্র যখন পৌঁছাতে পারছেন, সেক্ষেত্রে অন্যান্যরাও দায়িত্ব পালন করতে পারছেন না কেন? এবং শেষ পর্যন্ত দিলীপ ঘোষের ধমক যে কিছুটা হলেও কাজ করেছে তা অন্যান্য নেতাদের কর্ম তৎপরতা দেখলে স্পষ্ট হচ্ছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

রাজ্য মহিলা মোর্চার সভানেত্রী তথা বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল বৃহস্পতিবার পূর্ব মেদিনীপুরের বিভিন্ন এলাকায় গিয়েছেন। পাশাপাশি বাঁকুড়ার সংসদ রাজ্য সহ-সভাপতি সুভাষ সরকারকেও এলাকার কর্মীদের পাশে থাকতে দেখা যাচ্ছে। এরকম অনেক নেতাকেই দেখা যাচ্ছে তাঁরা কাজে বেরিয়ে পড়েছেন। অন্যদিকে দিলীপ অনুগামীদের কথায় নিয়মিত দায়িত্ব পালন করেছেন দিলীপ ঘোষ সহ গুটিকতক নেতা। বাড়ির কাছে কর্মীরা আক্রান্ত হলেও বেশ কিছু নেতা কেন্দ্রীয় সরকারের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন। এবং এক্ষেত্রে দিলীপ ঘোষের বক্তব্য, ঘরে বসে নেতা হওয়া যায়না। অনেকেই মনে করছেন এখনও পর্যন্ত রাজ্যে বিজেপি যতটা সাফল্য পেয়েছে, তার সিংহভাগ একমাত্র রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষের কঠোর পরিশ্রমের ফল।

অন্যদিকে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের অনেকেই মনে করছেন, গেরুয়া শিবিরের হারের পর দলের অনেক নেতাকর্মী কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন। যে পাঁচ বছরের স্বপ্ন তাঁরা দেখছিলেন, তা যে অচিরেই এভাবে ভেঙে পড়বে তা তারা হয়ত স্বপ্নেও ভাবেননি। বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের আশ্বাস পাবার পরেও এই ফলাফল কার্যত রাজ্য বিজেপির অনেক নেতাই মানতে পারছেননা বলেই মনে করা হচ্ছে।  সেক্ষেত্রে এখন দেখার রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ অন্যান্য বিজেপি নেতা এবং কর্মীদের কতটা উজ্জীবিত করতে পারেন।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!