এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > একুশের যুদ্ধে অমিত শাহের প্রধান সেনাপতি হচ্ছেন দিলীপ ঘোষই? দিল্লি বৈঠকেই পরে গেল সিলমোহর?

একুশের যুদ্ধে অমিত শাহের প্রধান সেনাপতি হচ্ছেন দিলীপ ঘোষই? দিল্লি বৈঠকেই পরে গেল সিলমোহর?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আর এক বছরও বাকি নেই বাংলায় পরবর্তী বিধানসভা নির্বাচনের জন্য। ফলে বিভিন্ন রাজনৈতিক শিবির ক্রমশ সুর চড়াতে শুরু করেছে। বাংলায় যত দিন গড়াচ্ছে, ততই টানটান হচ্ছে রাজনৈতিক উত্তেজনা। ইতিমধ্যেই, শহীদ দিবস উপলক্ষে ২১ শে জুলাই তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন। অপরপক্ষে বঙ্গ বিজেপি কার নেতৃত্বে ২০২১-এর বিধানসভার নির্বাচন লড়বে তা নিয়ে ইতিমধ্যে বঙ্গ বিজেপির মধ্যে গুঞ্জন শুরু হয়েছিল।

বিজেপির অন্দর মহলে কান পাতলে শোনা যাচ্ছিল যে বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষের বিকল্প মুখ এনে সামনের ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচন লড়া হতে পারে। তবে শেষ পর্যন্ত গতিপ্রকৃতি যেদিকে যাচ্ছে তাতে, বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ও সঙ্ঘের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে যুক্ত তথা বিজেপির সাংসদ তথা লড়াকু সৈনিক বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষের প্রতি আস্থা রেখে সামনের ২০২১ এর বিধানসভার নির্বাচনে তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়তে চায় বলে সম্ভাবনা প্রবল হচ্ছে। দিলীপ ঘোষ-ঘনিষ্ঠ শিবিরের দাবি, এই কথা নাকি বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব, সম্প্রতি দিল্লিতে অনুষ্ঠিত রাজ্য বিজেপির নেতৃত্বদের নিয়ে বৈঠকে জানিয়ে দিয়েছেন।

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই দাবি যদি সত্যি হয়, তাহলে স্বভাবতই রাজ্য বিজেপির বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠীকে কার্যত নিরাশ হতে হবে। যদিও এই বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠীর একাধিক নেতা-নেত্রীকে সাম্প্রতিক বঙ্গ বিজেপি রাজ্য কমিটি শাখা সংগঠনগুলির বিভিন্ন পদে বসানো হয়। এছাড়া নবাগতদের বিভিন্ন মোর্চার নেতৃত্বে এমনকি রাজ্য কমিটিতেও জায়গা দিয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব পরিস্থিতি সামল দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে বিভিন্ন দল থেকে আসা নেতা নেত্রীরা যারা বিভিন্ন কমিটিতে স্থান পেয়েছেন তাঁরা হলেন – সৌমিত্র খাঁ, অর্জুন সিংহ, সব্যসাচী দত্ত, অগ্নিমিত্রা পল, দুলাল বর প্রমুখ।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে,২০২১ সালের বিধানসভার নির্বাচনে লড়ার জন্য ইতিমধ্যে দিল্লিতে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সাথে দফায় দফায় রাজ্য বিজেপির বিভিন্ন নেতা নেত্রী থেকে শুরু করে বিধায়ক, সাংসদ, জেলা সভাপতিদের নিয়ে আলোচনা চলছে। আর বিজেপির একটা মহলের দাবি অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব নাকি ইতিমধ্যেই স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে দিলীপ ঘোষের নেতৃত্বেই সামনের ২০২১ এর বিধানসভার নির্বাচন লড়তে হবে। আর এখানেই প্রশ্ন উঠছে, তবে কেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব সভাপতি দিলীপ ঘোষের প্রতি আস্থা রাখলেন?

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বিজেপি রাজ্য সভাপতি ঘনিষ্ঠ শিবিরের দাবি, দিলীপ ঘোষ দীর্ঘদিন ধরেই সঙ্ঘের সাথে যুক্ত ছিলেন। তার পরবর্তী কালে দিলীপ ঘোষ যেই দিন থেকে সভাপতি পদ পেয়েছেন তাঁকে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে লড়াই করেতে দেখা গিয়েছে। তিনি বিধায়ক হয়েছেন, সাংসদ হিসেবেও জয়লাভ করেছেন – জীবনের প্রথম দুই নির্বাচনেই। এছাড়া লোকসভা ভোটের দিলীপ ঘোষের নেতৃত্বে বিজেপি ব্যাপক সাফল্য লাভ করে। লোকসভায় বিজেপি ১৮ টি আসনে জয়লাভ করে রাজনৈতিক মহলের নজর কেড়ে।

বঙ্গ বিজেপির কোনো সভাপতির এই কৃতিত্ব নেই। তার থেকেও বড় কথা তপন শিকদারের পর এত জনপ্রিয় রাজ্য সভাপতি বিজেপি পায় নি। এমতাবস্থায় বিজেপির বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠীকে নাকি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বুঝিয়ে দিয়েছেন, যে তাঁদেরকে দিলীপ ঘোষের নেতৃত্বে ২০২১ এর বিধানসভার নির্বাচন লড়তে হবে। প্রসঙ্গত, একুশের মহাযুদ্ধের জন্য, গেরুয়া শিবিরের মুখ হিসাবে উঠে এসেছিল অনেক নাম। সেখানে স্বপন দাশগুপ্ত থেকে অনির্বান গাঙ্গুলি, সৌরভ গাঙ্গুলি থেকে শুভেন্দু অধিকারী, বাবুল সুপ্রিয় থেকে মুকুল রায় – ব্যাড ছিল না কোনো নাম নিয়েই জল্পনা হতে।

এদিকে, গত ২১ শে জুলাই শহীদ দিবস উপলক্ষে বক্তব্য দিতে দিয়ে তৃণমূল নেত্রী বলেন, যে সমস্ত নেতা-নেত্রীরা ‘ভুল বুঝে’ অন্য দলে চলে গিয়েছেন তাঁদের জন্য তৃণমূলের দরজা খোলা আছে। এর পাশাপাশি তিনি আরও বলেন যে – সিপিএম, কংগ্রেস, বিজেপিতে যে সব নেতা নেত্রী আছেন তাঁদেরকেও তিনি তাঁর দলে যোগদান করার জন্য আহ্বান জানান। এখন দেখার বিষয় বিজেপির বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠীর নেতা-নেত্রীরা সভাপতি দিলীপ ঘোষের নেতৃত্বের প্রতি আস্থা রেখে সামনের ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে লড়বেন। নাকি তৃণমূল নেত্রীর আহ্বানে সাড়া দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করবেন। এখন, সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছে রাজনৈতিক মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!