এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > শিক্ষিত মেধাদের চরম অপমান মমতার? চেষ্টা করেও নিয়োগ হবে না, চ্যালেঞ্জ ছুড়লো বিজেপি!

শিক্ষিত মেধাদের চরম অপমান মমতার? চেষ্টা করেও নিয়োগ হবে না, চ্যালেঞ্জ ছুড়লো বিজেপি!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- রাজ্যে শিক্ষিত বেকার চাকরি প্রার্থীদের একটাই দাবি, যে সমস্ত পরীক্ষা হয়েছে, সেখানে যারা সফল হয়েছেন, তাদের নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করুক রাজ্য সরকার। কিন্তু রাজ্যের এই ব্যাপারে কোনো হেলদোল নেই। বুধবার গোটা রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় আপার প্রাইমারি চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভ হয়েছে। বিক্ষোভে বসেছেন 2022 এর সফল টেট উত্তীর্ণরাও। তবে নিজেদের দাবি সরকারের কাছে পৌঁছে দিতে গিয়ে তাদের কপালে জুটেছে পুলিশের লাঠির আঘাত। তারা যাতে কথা বলতে না পারে, তার জন্য পুলিশ সর্বতোভাবে তাদের গ্রেপ্তার করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। এটাই তো এই রাজ্যের প্রশাসন। অন্তত তেমনটাই বলছে বিরোধীরা। তবে এই সরকার যদি মানবিকভাবেও চেষ্টা করে, এই নিয়োগ প্রক্রিয়াকে শুরু করতে, তাহলেও তারা সেই কাজে ব্যর্থ হবে। আর কোনোমতেই এই রাজ্যে স্বচ্ছ ভাবে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করা সম্ভব নয়। বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্যের মন্তব্যে রীতিমত চাপে পড়ে গিয়েছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস।

প্রসঙ্গত, এদিন দিকে দিকে শিক্ষিত চাকরি প্রার্থীদের বিক্ষোভ নিয়ে বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্যকে প্রশ্ন করা হয়। আর সেই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “এই সরকার মেধাকে মান্যতা দিতে চায় না। স্বচ্ছ ভাবে মেধা হোক, এই সরকার এটা চায় না। কারণ এই সরকার একটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে গোটা পরিস্থিতিকে তৈরি করতে পারেনি। তাই আজকেও যদি তারা সকালবেলা উঠে ভাবে যে, না, একটু আন্তরিকভাবে আমরা ভেবে দেখি। তবুও তারা এই নিয়োগ প্রক্রিয়াকে সফলভাবে সম্পন্ন করতে পারবে না।” একাংশের মতে, বিজেপি নেতার এই বক্তব্য যদি গভীরভাবে ভেবে দেখা যায়, তাহলে তিনি একদম ঠিক কথাই বলেছেন। কারণ একটা ব্যাড প্র্যাকটিস এই রাজ্যে শুরু হয়েছে। এই সরকার যখন প্রথম দুর্নীতি হয়েছে, তখন তা না আটকে তাকে প্রশ্রয় দিয়েছে বলেই অভিযোগ। যার কারণে আজকে সাধারণ মানুষের মনে একটা ধারণা বসে গিয়েছে যে, এই রাজ্যে সফলভাবে পড়াশুনা করে চাকরি পাওয়া যায় না। দুর্নীতি করেই তৃণমূল নেতাদের কাছ থেকে চাকরি নিতে হয়।

ফলে অনেক নেতা, যারা রাজনীতিকে ব্যবসায় পরিণত করেছেন, তারাও এই সফল চাকরি প্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে মেধাকে অপমান করবেন। তাই সরকার আন্তরিক ভাবে চেষ্টা করলেও এই ব্যাড প্র্যাকটিসকে তারা সম্পূর্ণভাবে মুছে ফেলতে পারবে না বলেই দাবি বিরোধীদের।বিজেপির দাবি, সরকার যদি সত্যিই মানবিক হতেন, তাহলে চাকরি প্রার্থীদের এইভাবে রাস্তায় পড়ে থাকতে হত না। দীর্ঘদিন ধরে তারা আন্দোলন করছেন। কেন প্যানেলভুক্ত হওয়ার পরেও তাদের চাকরি দেওয়া হচ্ছে না? তাহলে কি সরকার কর্ম সংস্থানকে পুরো ধ্বংস করে দিতে চাইছে! নতুন প্রজন্মকে সর্বনাশের দিকে ঠেলে দিতে চাইছে ভাতা এবং ভর্তুকি দিয়ে? সরকারের আন্তরিক ইচ্ছা থাকলে তা সত্যিই সম্ভব হয়। কিন্তু এই সরকার চায় ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সর্বনাশের দিকে নিয়ে যেতে। তাই এই রাজ্যে নিয়োগ হয় না। সফল চাকরিপ্রার্থীরা মশার কামড়ের মধ্যে রাস্তায় বসে আন্দোলন করে। আর এটাই এই রাজ্যের ভবিতব্য বলেই কটাক্ষ গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের রাজ্যকে এক নম্বর রাজ্য হিসেবে বিদেশের মাটিতে প্রতিষ্ঠিত করে এসেছেন। অনেক বড় বড় কথা বলেছেন। কিন্তু তার রাজ্যে চাকরিপ্রার্থীদের এই দুরবস্থা দেখলে আজকে বিদেশের নামিদামি শিল্পপতিরা এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে লজ্জা পাবেন। এই রাজ্যের সবথেকে বড় করুণ দশা, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সর্বনাশ। আজকে টাকার বিনিময়ে গোটা রাজ্যে চাকরি হওয়ার জন্য সফল চাকরি প্রার্থীরা রাস্তায় বসে রয়েছেন। তারা আন্দোলন করছেন। অথচ রাজ্য সরকার নাকে সর্ষের তেল দিয়ে ঘুমোচ্ছে। তাই যদি সত্যিই এই সরকার আন্তরিক হয়, তাহলে এবার তাদের দুর্নীতিকে সমূলে উৎপাটন করে স্বচ্ছ মেধা ব্যবস্থাকে প্রতিষ্ঠিত করতে অগ্রণী ভূমিকা নেওয়া উচিত। কিন্তু সেই চেষ্টায় কি সত্যিই আন্তরিক হবেন নবান্নের চোদ্দ তলায় বসে থাকা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী? নাকি যেভাবে চলছে, সেভাবেই চলবে! যদি তাই হয়, তাহলে আগামী দিন ভোট ব্যাংকের আশায় দিন গোনা এই রাজ্যের শাসকদলের মুখে ঝামা ঘষে দিতে তৎপর সাধারণ মানুষ। শমীক ভট্টাচার্যের বক্তব্যের পর তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!