এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > যোগ্যতা বৃদ্ধির পরীক্ষায় কি হবে অনুত্তীর্ণ শিক্ষকদের ভবিষ্যৎ? কি ভাবছে শিক্ষা দপ্তর? জানুন বিস্তারিত

যোগ্যতা বৃদ্ধির পরীক্ষায় কি হবে অনুত্তীর্ণ শিক্ষকদের ভবিষ্যৎ? কি ভাবছে শিক্ষা দপ্তর? জানুন বিস্তারিত

এখনো অনিশ্চিত যোগ্যতা বৃদ্ধির পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ এবং কমপক্ষে ৫০% নম্বর পাওয়া শিক্ষকদের ভবিষ্যৎ। প্রায় এক বছর সময় পেরিয়ে গেলেও এ ব্যাপারে এখনো কোনো সিদ্ধান্তে আসতে পারল না শিক্ষা দপ্তর। এই গড়িমসির জন্যে দায়ী কারা?

এ নিয়ে দফায় দফায় প্রশ্ন উঠছে শিক্ষকমহলে। স্পষ্ট উত্তর না পাওয়ায় দপ্তরের আধিকারিকদের এ ব্যাপারের গা ঢিলেমি ভাবকে এই সমস্যার প্রধান কারণ হিসাবে ধরা হচ্ছে। যুক্তি,রবীন্দ্র মুক্ত বিদ্যালয় সংসদের তরফে এ নিয়ে বারবার তদ্বির করা হলেও বিষয়টিতে সবুজ সংকেত মেলেনি এখনো।

এনসিটিই’র নিয়ম মোতাবেক,কর্মরত শিক্ষকদের উচ্চ মাধ্যমিকে ৫০% নম্বর পাওয়া বাঞ্ছনীয়। আর যাঁদের সেই নম্বর নেই,তাদের ফের নতুন করে পরীক্ষা দিয়ে সেটা অর্জন করতে হবে। তা না হলে চাকরি সংকটে পড়বে। সেটা মাথায় রেখেই রবীন্দ্র মুক্ত বিদ্যালয় সংসদের মাধ্যমে ওই শিক্ষকদের উচ্চ মাধ্যমিকে বসার সুযোগ করে দেওয়া হয়। সেই মতো গত চার বছরে (২০১৪-১৭) মোট ৫৬ হাজার ৩৩৩ জন কর্মরত শিক্ষক তাঁদের যোগ্যতা বাড়ানোর জন্যে এখানে ভর্তি হয়েছিলেন।

এঁদের মধ্যে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে অসমর্থ হয়েছেন প্রায় সাড়ে আট হাজার শিক্ষক। এঁরা হলেন প্রাথমিক,পার্শ্ব এবং এসএসকে শিক্ষক। পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ্যে আসতেই মাথায় হাত পড়ে এসব অনুত্তীর্ণ শিক্ষকদের। এদের ভবিষ্যত কী হবে তা নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়। সরকার যদি আরো একবার এদের পরীক্ষায় বসার সুযোগ না দেয় তাহলে চাকরি চলে যেতে পারে।

এই ইস্যুর প্রেক্ষিতে শিক্ষকরা প্রায়ই তাঁদের সমস্যার সমাধানে দপ্তরের সামনে জমায়েত হচ্ছেন দফায় দফায়। অবস্থান বিক্ষোভও করেছেন তাঁদের দাবীদাওয়া গুলোকে সামনে রেখে। কিন্তু পরিনামে মেলেনি কিছুই। পূর্বতন স্কুল শিক্ষা সচিব দুষ্মন্ত নারিয়ালের কাছেও এই সংক্রান্ত একটি ফাইল পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু তখনও কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি এ ব্যাপারে।

আর অধুনা সময়েও এই ইস্যু নিয়ে শিক্ষা দপ্তরের বেশ কয়েকজন আধিকারিকের কাছে দরবার করা হলেও তাঁদের গয়ংগচ্ছ ভাবটাই প্রকট হয়েছে। এদিকে,২০১৮ পেরিয়ে ২০১৯ আসাতে মাসখানেক বাকি। এনসিটিই’র নিয়ম মোতাবেক ২০১৯ এর মার্চের মধ্যে প্রশিক্ষণ পর্ব কিংবা যোগ্যতামান বৃদ্ধির মতো প্রক্রিয়া শেষ করতে না পারলে চাকরির উপর খাড়া নেবে আসবে। তাই একটার পর একটা দিন যতো পেরোচ্ছে ততোটা উদ্বেগ বাড়ছে শিক্ষকদের।

 

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

 

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

উল্লেখ্য,লোকসভা ভোটের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে এইসব শিক্ষকরা তাঁদের ইস্যুটিকে নিয়ে সোচ্চার হতে চাইছে প্রশাসনের নজরে আনার জন্যে। তাঁদের বিশ্বাস এই সময়ে প্রশাসন তাঁদের নারাজ করতে পারবে না। ভোটব্যাঙ্কের দিকে গুরুত্ত্ব দিয়ে প্রশাসন কখনো চাইবে না শিক্ষকমহলের একাংশের ক্ষোভের কারণ হতে। তাই এবার হয়তো শিক্ষা দপ্তর এ ব্যাপারে ইতিবাচক পদক্ষেপ নেবে,এমনটাই মনে করছে অভিজ্ঞমহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!