এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > কেন্দ্র থেকে এলো বড় নির্দেশ, রাজ্য হবে মোদীময়, চ্যালেঞ্জের মুখে বঙ্গ বিজেপি!

কেন্দ্র থেকে এলো বড় নির্দেশ, রাজ্য হবে মোদীময়, চ্যালেঞ্জের মুখে বঙ্গ বিজেপি!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- বিজেপি গত লোকসভা নির্বাচনে এবং বিগত বিধানসভা নির্বাচনে বাংলা থেকে সাফল্য পেলেও তৃণমূলের থেকে বেশি আসন পায়নি। বহু চেষ্টা করেও তারা রাজ্যের ক্ষমতা দখল করতে পারেনি। এর জন্য বঙ্গ বিজেপির অনেক গাফিলতি রয়েছে বলেই খবর। তবে সবথেকে বড় গাফিলতি, বাংলার আবেগ স্পর্শ না করতে পারা। সব সময় তৃণমূলের পক্ষ থেকে বিজেপিকে বাঙালি বিরোধী দল হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে, প্রচার করা হয়েছে। কিন্তু তাকে খন্ডন করার মত যুক্তি বিজেপির পক্ষ থেকে কোনো নেতা দিতে পারেননি। কিন্তু সামনেই লোকসভা নির্বাচন। তাই বাংলাকে পাখির চোখ করে এগিয়ে চলা বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের এবার টনক নড়েছে। সামনেই শারদ উৎসব। তাই সেই দুর্গাপুজোকে হাতিয়ার করেই এবার নিজেদের প্রচার শুরু করতে চাইছে গেরুয়া শিবির।

সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের পক্ষ থেকে রাজ্য বিজেপিকে বেশ কিছু নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যেখানে জানানো হয়েছে যে, বাংলায় বড় উৎসব শারদ উৎসব। তাই সেই দুর্গাপুজোতে কেন্দ্রীয় সরকারের যে সমস্ত প্রকল্প রয়েছে তা হোর্ডিং আকারে তুলে ধরতে হবে। প্রত্যেকটি হোর্ডিংয়ে রাখতে হবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মুখ। শুধু তাই নয়, এমন জায়গায় এই সমস্ত হোর্ডিং লাগাতে হবে, যাতে তা সাধারণ মানুষের নজরে আসে। অর্থাৎ বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব অবশেষে বুঝতে পেরেছে যে, বাঙালির মন এবং প্রাণ পেতে গেলে বাঙালির আবেগকে ছুঁতে হবে। তাই এখন দুর্গাপুজোকে নিয়ে তাদের এই তৎপরতা।

বিশেষজ্ঞদের মতে, লোকসভা ভোট সারা দেশের ক্ষমতা দখলের ভোট। তাই সেখানে বিজেপি নেতৃত্ব বাড়তি জোর দেয়। কত রাজ্য থেকে কত আসন পাওয়া যাবে, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই তাদের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব কাটাছেঁড়া শুরু করে দিয়েছে। কিন্তু বাংলার বিধানসভা ভোট, বাংলার স্থানীয় ভোট নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহদের নিজের ভোট নয়। তাই সেখানে তারা জোর দেন না। বিপদের সময় সেভাবে কড়া স্টেপ নিতে দেখা যায় না বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে। নীচু তলায় কর্মীরা মার খায়, তাদের দিকে বছরের আর পাঁচটা সময় কোনো নজর নেই। কিন্তু নিজেদের লোকসভা ভোটের কথা মাথায় রেখে, নিজেদের ক্ষমতা দখলের কথা মাথায় রেখে বাংলার কর্মীদের দিয়ে পরিশ্রম করানোর চিন্তা ভাবনা শুরু করে দিয়েছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।

তবে কর্মী মহলের পক্ষ থেকেও একটা দাবি উঠছে যে, তারা অবশ্যই দলের জন্য পরিশ্রম করবে এবং এটা তাদের কর্তব্য ও দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। তবে রাজ্যের তৃণমূল সরকারকে বিদায় জানাতে সেটিংয়ের যে অভিযোগ উঠছে, তাকে নস্যাৎ করে দিয়ে আরও শক্তিশালী হতে হবে কেন্দ্রীয় বিজেপিকে। সঠিক লোকের হাতে রাজ্যের সংগঠনের দায়িত্ব দিতে হবে। তা না হলে যতই মোদীর মুখ লাগিয়ে প্রচার হোক না কেন, দিনের শেষে বাংলা থেকে লোকসভাতেও বিজেপির কপালে শূন্য জুটবে বলেই দাবি সমালোচক মহলের।

গেরুয়া শিবিরের ঘনিষ্ঠ মহলের দাবি, বাঙালির আবেগ শারদ উৎসব। ফলে সেই শারদ উৎসবকে কেন্দ্র করে মানুষের কাছে পৌঁছানোতে জনসংযোগ একটা বাড়তি মাধ্যম। তাই কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে এখন থেকেই সেই প্রচারে জোর দিতে চাইছে। তবে শুধু প্রচার করলে হবে না। সংগঠনকে আরও অনেক বেশি শক্তিশালী করতে হবে। তৃণমূলের বিরুদ্ধে চোখে চোখ রেখে লড়াই করার মত নেতা চাই রাজ্য বিজেপির। তাই সেই দুর্বলতার জায়গাটা যদি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব অনুসন্ধান না করে, তাহলে লাভের লাভ কিছুই হবে না। হয়ত প্রচার হবে, হয়ত অনেক টাকার খরচ করে হোডিং লাগানোর পালা চলবে। কিন্তু দিনের শেষে বাংলা থেকে প্রাপ্য আসনের হিসেব করতে গিয়ে মাথায় হাত দেওয়া ছাড়া গতি থাকবে না নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহদের। দিনের শেষে তেমনটাই দাবি ওয়াকিবহাল মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!