এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > রাজ্যপালকে অমান্য, খেসারতের ভয়ে তটস্থ মমতা সরকার! মন্ত্রীর চিঠি ঘিরে চর্চা!

রাজ্যপালকে অমান্য, খেসারতের ভয়ে তটস্থ মমতা সরকার! মন্ত্রীর চিঠি ঘিরে চর্চা!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- রাজ্যপালের সঙ্গে রাজ্যের সরকারের সম্পর্ক খুব একটা ভালো নয়। উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে সংঘাত চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। আর তার মাঝেই ধুপগুড়ির বিধায়কের শপথ নিয়ে তৈরি হয়েছে জটিলতা। রাজভবনের পক্ষ থেকে সেই বিধায়ককে ফোন করে ডাকা হলেও তিনি শপথ নিতে যাননি বলে খবর। যেখানে রাজ্যের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে যে, বিধানসভাকে না জানিয়ে, পরিষদীয় মন্ত্রীকে না জানিয়ে এই ধরনের কাজ করেছে রাজভবন। তাই বিধায়ক সেখানে যাননি। তবে রাজ্যপালের ডাকে ধুপগুড়ির বিধায়ক শপথ নিতে না যাওয়ার কারণে কি তার বিরুদ্ধে এবার কড়া পদক্ষেপ নিতে চলেছে রাজভবন? আদৌ কি তার শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হবে? রাজ্যপালকে অমান্য করার খেসারত কি দিতে হবে ধুপগুড়িতে জয়ী নির্মলচন্দ্র রায়কে? ইতিমধ্যেই সেই আশঙ্কা তৃণমূলের মধ্যে পৌঁছে গিয়েছে। যার কারণে এবার কার্যত চাপে পড়েই রাজভবনকে এই শপথের জন্য চিঠি দিচ্ছেন রাজ্যের পরিষদীয় মন্ত্রী বলেই দাবি বিশেষজ্ঞদের।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি রাজভবনের পক্ষ থেকে শপথ নেওয়ার জন্য ধুপগুড়ির বিধায়ককে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। কিন্তু তিনি সেখানে যাননি। পরিষদীয় মন্ত্রী যুক্তি দিয়েছেন যে, রাজভবন বিধানসভাকে বাইপাস করে এই ধরনের কাজ করতে পারে না। তবে রাজ্যপাল যখন আমন্ত্রণ জানালেন, তখন সেখানে শপথ নিতে না গিয়ে ধুপগুড়ির বিধায়ক যে ভুল করেছেন, তা তো কার্যত রাজ্যপালকে অমান্য করা। তাহলে এবার যদি রাজ্যপাল আর শপথ গ্রহণ করানোর জন্য কোনো পদক্ষেপ না নেন, তখন কি করবে শাসক শিবির? একাংশের যুক্তি, এই ভয় তৃণমূলের মধ্যেও ঢুকে গিয়েছে। আর সেই কারণেই এবার বাধ্য হয়েই নতুন বিধায়কের শপথ গ্রহণের জন্য রাজভবনকে চিঠি দিচ্ছেন রাজ্যের পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়।

তবে নতুন বিধায়কের শপথ নিয়ে রাজ্য বনাম রাজভবনের মধ্যে এই জটিলতার মাঝেই তৃণমূলকে কটাক্ষ করছে বিরোধীরা। পদ্ম শিবিরের ঘনিষ্ঠ মহলের দাবি, রাজ্যপাল যখন আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন, তখন কেন সেখানে যাননি নির্মলচন্দ্র রায়? তিনি কি সংবিধানের ঊর্ধ্বে উঠে গিয়েছেন? তিনি কি রাজ্যপালকেও মানবেন না? সদ্য জিতেও তার এই ঔদ্ধত্য কেন? তখন যদি তিনি শপথ নিয়ে নিতেন, তাহলে আজকে এই জটিলতা তৈরি হত না। তবে নিজের দলের কথা শুনতে গিয়ে রাজ্যপালকে অমান্য করার খেসারত এবার তাকে দিতে হচ্ছে বলেই দাবি বিরোধী শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের দাবি, কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে গোটা পরিস্থিতি, তা কেউ জানে না। তবে জটিলতাকে দূর করতে যদি আগে ভাগেই পদক্ষেপ নিতে রাজ্যের শাসক দল, তাহলে এই পরিস্থিতি তৈরি হত না। রাজ্যপাল যখন আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন, তখন সমস্ত ইগো ভুলে সেই আমন্ত্রণ রক্ষা করে শপথ নেওয়া উচিত ছিল ধুপগুড়ির বিধায়কের। কিন্তু তিনি তা করেননি। আর সাংবিধানিক প্রধানের ডাককে উপেক্ষা করার এই খেসারত যদি এবার তাকে দিতে হয়, তাহলে মারাত্মক পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে রাজ্য রাজনীতিতে। তাই পরিষদীয় মন্ত্রী এখন নতুন বিধায়কের শপথের জন্য রাজভবনকে চিঠি দিলেও তাতে রাজভবন গলবে কিনা, সেটাই বড় প্রশ্ন। তবে গোটা ঘটনায় যদি রাজভবন কড়া পদক্ষেপ নেয় এবং নিজেদের সিদ্ধান্তে অনড় থাকে, তাহলে ব্যাপক চাপে পড়ে যাবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দিনের শেষে তেমনটাই মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!