এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > নামেই শিক্ষামন্ত্রী, আদতে কাঠের পুতুল ব্রাত্য? শেষ কথা সেই মমতাই!

নামেই শিক্ষামন্ত্রী, আদতে কাঠের পুতুল ব্রাত্য? শেষ কথা সেই মমতাই!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- এতদিন বিরোধীরা কটাক্ষের সুরে বলত, তৃণমূলে একটাই পোস্ট, বাকি সব ল্যাম্পপোস্ট। প্রচুর মন্ত্রী রাজ্য মন্ত্রিসভায় রয়েছে। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে সেই মন্ত্রীরা নন, শেষ কথা বলবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এই সরল সত্যটা কি বুঝতে পেরেছেন রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান সিভি আনন্দ বোসও? তাই শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু যখন সাদা হাতি সহ একাধিক শব্দ প্রয়োগ করে রাজ্যপালকে আক্রমণ করছেন, তখন রাজ্যপাল তার গুরুত্বই দিলেন না। পাল্টা মন্তব্য করে তিনি বললেন, মুখ্যমন্ত্রীর তরফে যদি কোনো কথা আসে, তাহলে তিনি তার জবাব দেবেন।

প্রসঙ্গত, উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে যে সংঘাত রাজ্য বনাম রাজ্যপালের মধ্যে তৈরি হয়েছে, তা ভয়াবহ জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে। পরিস্থিতি এমন যে, রাজ্যপালকে বিভিন্ন ভাষায় আক্রমণ করতে দেখা যাচ্ছে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে। সম্প্রতি তিনি আবারও রাজ্যপাল পদটি তুলে দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করে তাকে “সাদা হাতি” বলে সম্বোধন করেছেন। আর সেই ব্যাপারেই প্রশ্ন করা হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গের সাংবিধানিক প্রধানকে। যার প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে সিভি আনন্দ বোস বলেন, “আমি এই সমস্ত আলটপকা, বেলাগাম মন্তব্যের জবাব দেব না। যদি কোনো অভিযোগ আমার প্রশাসনিক প্রধানের পক্ষ থেকে আসে, তাহলে তার জবাব দিতে পারি।” অর্থাৎ এতদিন শিক্ষামন্ত্রীর তরফে একের পর এক আক্রমণ আসা সত্ত্বেও, কেন রাজ্যপাল তা নিয়ে কিছু বলছেন না! সেই বিষয়টি নিয়ে বহু আলোচনা হয়েছে।

অনেকেই বলেছেন যে, রাজ্যপাল শিক্ষামন্ত্রীকে নিয়ে ভাবিতই নয়, তাই তিনি এই ধরনের প্রতিক্রিয়া দিতে নারাজ। আর এবার রাজ্যপালও বুঝিয়ে দিলেন যে, সত্যি সত্যিই তিনি শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্যকে একেবারেই গুরুত্ব দিচ্ছেন না।বিরোধীদের দাবি, রাজ্যপাল এই সরকারের গোপন বিষয়টি ধরে ফেলেছেন। রাজ্যের মন্ত্রীদের বিন্দুমাত্র সম্মান নেই। কোন মন্ত্রী কি করবে, কতটা তাদের কাজের সীমা পরিসীমা রয়েছে, তার সবটাই ঠিক করে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধুমাত্র ল্যাম্পপোস্ট হয়ে বসে আছেন এই মন্ত্রীরা। তাই তাদের কথার উত্তর দেওয়া একজন সাংবিধানিক প্রধানের পদকে ছোট করার সামিল। রাজ্যপাল যা বলেছেন, একদম ঠিক বলেছেন। ব্রাত্য বসুর মতো মন্ত্রীরা নিজেদের বড় করে মিডিয়ার সামনে দেখাতে পারেন। কিন্তু তাদের গ্রহণযোগ্যতা যে সাংবিধানিক প্রধানের কাছে একেবারেই নেই, তা স্পষ্ট বলেই দাবি বিরোধীদের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, নিজের একটি ছোট মন্তব্য। আর সেই মন্তব্যের মধ্যে দিয়ে ব্রাত্য বসুকে কার্যত লজ্জায় ফেলে দিলেন রাজ্যপাল। এতদিন কতই না কড়া ভাষায় রাজ্যপালকে আক্রমণ করেছেন শিক্ষামন্ত্রী। মিডিয়াতে বহু প্রচার পেয়েছেন তিনি। কিন্তু এবার সেই মিডিয়ার একটি প্রশ্নেই রাজ্যপাল বুঝিয়ে দিলেন যে, শিক্ষামন্ত্রীর এই সমস্ত বক্তব্যে তিনি গুরুত্ব দিচ্ছেন না। ফলে রাজ্যপালের মনেও এই ধারণা বসে গিয়েছে যে, মুখ্যমন্ত্রী ছাড়া এই সরকারের কারও সঙ্গে আলোচনা করে কোনো লাভ নেই। শিক্ষামন্ত্রী এতদিন একতরফা আক্রমণ করলেও, রাজ্যপালের কাছে তার নিট ফল জিরো বলেই দাবি একাংশের। আর তার পাশাপাশি আর একটা বিষয়ও স্পষ্ট যে, এই রাজ্যে ব্রাত্য বসুর মতো মন্ত্রীরা কার্যত কাঠের পুতুল। যা করছেন সবটাই মুখ্যমন্ত্রী। দিনের শেষে তেমনটাই দাবি সমালোচক মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!