এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > মুখ্যমন্ত্রীকে অশালীন আক্রমণ করে গ্রেফতার প্রাক্তন তৃণমূল মন্ত্রীর “ভাইপো”

মুখ্যমন্ত্রীকে অশালীন আক্রমণ করে গ্রেফতার প্রাক্তন তৃণমূল মন্ত্রীর “ভাইপো”

 

বঙ্গ রাজনীতিতে শালীনতার মাত্রা প্রতিমুহূর্তে ছাড়িয়ে গেছে। রাজনৈতিক কৌশলে একে অপরকে চাপে রাখার পরিবর্তে বিভিন্ন ব্যক্তি সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে হাতিয়ার করেছেন বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতা-নেত্রীদেরকে। যেখানে তাদের প্রধান অস্ত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য।

আর এবার তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে অশালীন মন্তব্য করে গ্রেফতার হতে হল চন্দন ভট্টাচার্য নামে এক যুবককে। আর আশ্চর্যজনকভাবে চন্দনবাবু সিঙ্গুরের তৃণমূল বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যের ভাইপো বলে জানা গেছে। যা নিয়েই এখন তোলপাড় হয়ে উঠেছে রাজ্য রাজনীতি।

বস্তুত, কালীপুজোর দিন নিজের বাড়িতে কালীপুজোর ভোগ রান্না করার একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। আর সেইখানেই মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে কুরুচিকর মন্তব্য করেন চন্দন ভট্টাচার্য। যার পরেই হুগলি জেলা যুব তৃনমূলের সভাপতি শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় সিঙ্গুর থানায় চন্দন ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। আর এরপরই সেই অভিযুক্ত চন্দনবাবুকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

জানা যায়, এদিন সেই চন্দন ভট্টাচার্যকে চন্দননগর আদালতে তোলা হলে তার পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। আর মুখ্যমন্ত্রীর ছবিতে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করার অভিযোগে যে চন্দন ভট্টাচার্যকে পুলিশ গ্রেফতার করল, সেই চন্দন ভট্টাচার্য রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা বর্তমান তৃণমূল বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যের ভাইপো বলে এখন বিভিন্ন মহলে গুঞ্জন ছড়াতে শুরু করেছে।

যদিও বা অভিযুক্ত ব্যক্তির সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক নেই বলে জানিয়ে দিয়েছেন রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য। এদিন তিনি বলেন, “আমার পরিবারের মাত্র 10 জন সদস্য। এভাবে যদি পাড়ার কাউকে আমার পরিবারের সদস্য বলে দাবি করা হয়, সেটা খুবই দুঃখের। ওই যুবক ফেসবুকে যে মন্তব্য করেছে, তাতে আইন অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার, তা নেওয়া হোক।”

এদিকে রবীন্দ্রনাথবাবু চন্দনবাবুর সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক নেই বলে দাবি করলেও বিজেপির তরফে ধৃত যুবক রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যের আত্মীয় বলেই দাবি করা হচ্ছে। কিন্তু ধৃত চন্দন ভট্টাচার্য্য তো বিজেপির সঙ্গেও জড়িত! এদিন এই প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা সঞ্জয় পান্ডেকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “চন্দন ভট্টাচার্য্য বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সদস্য। সে বিজেপি করত না। তবে সে যে কাজ করেছে তা নিন্দনীয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে এরকম অনেক অশালীন মন্তব্য করা হয়। কিন্তু সেক্ষেত্রে পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নেয় না।”

তবে এতকিছুর মধ্যেও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যে দলের যে রাজনীতিবিদই হোক না কেন, কারও বিরুদ্ধেই এই রকম অশালীন মন্তব্য করা অনুচিত। রাজনীতি হোক সুস্থ এবং সঠিক। তাই রাজনীতির নাগপাশ থেকে অশালীন শব্দকে দূরীভূত করতে রাজনৈতিক নেতাকর্মীদেরই এগিয়ে আসতে হবে বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!