এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > বাম-কংগ্রেস জোট ও বাম শরিকি সমীকরণ – ঠিক কোথায় গিয়ে আটকে বহু প্রত্যাশিত জোট? জানুন বিস্তারিত

বাম-কংগ্রেস জোট ও বাম শরিকি সমীকরণ – ঠিক কোথায় গিয়ে আটকে বহু প্রত্যাশিত জোট? জানুন বিস্তারিত


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া এক্সক্লুসিভ – আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে ২০১৬-এর মতোই কংগ্রেস ও বামফ্রন্টের আসন সমঝোতা হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা তৈরী হচ্ছে। একদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের ৪২ এ ৪২ করার ডাক ও অন্যদিকে বিজেপির রাজ্য থেকে ২২-২৩ টি আসন জেতার প্রবল হুঙ্কারের মাঝে দাঁড়িয়ে আলাদা আলাদা নয়, একযোগে লড়াই করার মধ্যেই স্বার্থকতা দেখছেন বামফ্রন্ট ও কংগ্রেসের নেতৃত্ব। কেননা, রাজ্যে বিজেপির প্রবল উত্থান ও তৃণমূলের দল ভাঙানোর খেলায় – ২০১৪-এর জেতা ৬ টি আসনও আর নিরাপদ নয় কংগ্রেস ও বামফ্রন্টের কাছে।

কিন্তু, জোটের ব্যাপারে কথাবার্তা অনেক দূর এগোলেও কোথাও গিয়ে জোট প্রক্রিয়া যেন থমকে যাচ্ছে। আর এর প্রধান কারণ বামফ্রন্টের আভ্যন্তরীন শরিকি সমীকরণ। রাজ্যের ৪২ টি আসনের মধ্যে এতদিন সব থেকে বড় শরিক লড়ত ৩২ টি আসনে, সিপিআই ও ফরোয়ার্ড ব্লক লড়ত ৩ টি করে আসনে আর আরএসপি লড়ত ৪ টি আসনে। কিন্তু, বামফ্রন্ট ও কংগ্রেসের জোটের ফলে কংগ্রেস দাবি করেছে ১৩ টি আসন – ফলে বামফ্রন্ট লড়বে ২৯ টি আসনে। এই ২৯ টি আসনের মধ্যে বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসুর কথা অনুযায়ী সিপিএম লড়বে ২০ টি আসনে আর বাকি ৩ শরিক লড়বে ৩ টি করে আসনে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অর্থাৎ, মোটা চোখে দেখতে গেলে বাম শরিকদের মধ্যে আরএসপিকে একটি আসন কম লড়তে হবে, সবথেকে বড় শরিক নিজেদের ভাগ থেকে ১২ টি আসন কংগ্রেসকে ছাড়ছে। সিপিএম যদি রাজি থাকে তাহলে তো এই জোট প্রক্রিয়া খুব সহজেই হতে পারে – কিন্তু তাহলে গোলমালটা কোথায়? আসলে গোলমালটা হচ্ছে – কংগ্রেস যে আসনগুলি দাবি করছে, সেই আসন গুলির বেশিরভাগই পড়ছে শরিকদের মধ্যে। সিপিআইয়ের আসনগুলি (বসিরহাট, ঘাটাল ও মেদিনীপুর) একটিও চাইছে না কংগ্রেস। আরএসপির হাতে থাকা আলিপুরদুয়ার ও জয়নগর নিয়ে মাথাব্যথা না থাকলেও কংগ্রেস চাইছে বালুরঘাট ও বহরমপুর।

সবথেকে মুশকিল হয়েছে ফরোয়ার্ড ব্লককে নিয়ে – তাদের হাতে থাকা তিনটি আসনের (কুচবিহার, বারাসত ও পুরুলিয়া) নজর কংগ্রেসের। ফলে এই জোট প্রক্রিয়ায় সবথেকে বেশি ক্ষুব্ধ ফরোয়ার্ড ব্লকই। ৪ টির মধ্যে ২ টি আসন হারিয়ে আরএসপিও যে এই জোট নিয়ে খুব একটা সন্তুষ্ট – এমন নয়। এই অবস্থায়, বামফ্রন্টের তরফে চেষ্টা চলছে – অন্তত দার্জিলিং আসনটি কংগ্রেসকে দিয়ে কুচবিহার আসনটি ফরোয়ার্ড ব্লকের জন্য রেখে দিতে। অন্যদিকে, ডায়মন্ড হারবার বা কাঁথি আসনের বদলে বালুরঘাট আসনটি আরএসপির জন্য ছেড়ে দিতে। কিন্তু, কংগ্রেস নেতৃত্ব এই সমাধানে খুব একটা রাজি নয়।

ফলে, সিপিএম এখন আসরে নেমেছে নিজেদের ভাগ থেকে আসন ছেড়ে শরিকদের মানভঞ্জনের। শরিকরা (ফরোয়ার্ড ব্লক ও আরএসপি) এখনও পর্যন্ত অনমনীয় মনোভাব দেখালেও, নির্বাচন ঘোষণা হয়ে গেলে কি করে, সেদিকেই আপাতত নজর সকলের। কেননা ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনেই প্রমাণিত, জোটের বাইরে গিয়ে যেখানে যেখানে পৃথক লড়ার চেষ্টা করেছে বাম-শরিকরা, সেখানে সেখানেই কিন্তু ভরাডুবি হয়েছে। ভোট কাটাকাটিতে আসনটি জোটের হাত ছাড়া হয়েছে এবং তা খুব অল্প ব্যবধানে। আর তাই – এবারও নিজের নাক কেটে পরের যাত্রাভঙ্গ নাকি শরিকি ঐক্য বজায় রাখতে মাথা ঝোঁকানো – শেষপর্যন্ত কোন রাস্তায় ফয়সালা হয় বাম-কংগ্রেস জোটের সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!