এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম > উলটপুরান, অধীরের হাত ধরে হাত শিবিরে শাসকদলের কয়েকশো কর্মী সমর্থক

উলটপুরান, অধীরের হাত ধরে হাত শিবিরে শাসকদলের কয়েকশো কর্মী সমর্থক


একদা কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত মুর্শিদাবাদ জেলায় প্রদেশ কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি তথা বর্তমান কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরীর দাপটে একসময় বাঘে গরুতে একঘাটে জল খেত। কিন্তু সেই মুর্শিদাবাদ জেলায় ঘাসফুল ফোটানোর জন্য তৃনমূল সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দায়িত্ব জেলা পর্যবেক্ষক হিসেবে দায়িত্ব দেন রাজ্যের পরিবহন এবং পরিবেশ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীকে।

আর তারপর থেকেই এই মুর্শিদাবাদ জেলায় কংগ্রেসের অধীর চৌধুরীর দাপট কিছুটা হলেও হালকা হতে থাকে। একের পর এক কংগ্রেস এবং সিপিএম সমর্থকদের ঘাসফুলের পতাকা ধরিয়ে তৃণমূলে আনতে সক্ষম হন শুভেন্দু বাবু। আর খোদ প্রদেশ কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি অধীর চৌধুরীর গড়ে কংগ্রেসের এই ভাবে দুর্বল হয়ে যাওয়া হতাশা সৃষ্টি করে হাত শিবিরের কর্মী সমর্থকদের মধ্যেও।

কিন্তু এবারে লোকসভা নির্বাচনের আগে উলটপুরান হতে শুরু করল সেই মুর্শিদাবাদ জেলায়। একসময় নিজেদের দখলে থাকা দুর্গ ফিরে পেতে মরিয়া হয়ে উঠল কংগ্রেস তবে শুধু মরিয়া চেষ্টায় নয়, হাতেনাতে তার প্রমানও দিলেন সেই মুর্শিদাবাদ জেলার কংগ্রেসের শাহেনশা অধীর রঞ্জন চৌধুরী।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর, রবিবার দুপুরে বহরমপুর জেলার কংগ্রেস কার্যালয়ে কংগ্রেস সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরীর হাত ধরে মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সহ-সভাপতি অর্পণ সিনহার নেতৃত্বে প্রায় শতাধিক শাসকদলের ছাত্র সংগঠনের সদস্যরা কংগ্রেসে যোগদান করেন। পাশাপাশি বহরমপুর ভাকুড়ি 2 গ্রাম পঞ্চায়েতের 70 জন কর্মী এবং রাঙামাটি চাঁদপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রায় 60 জন কর্মী নিজেদের হাতে হাত শিবিরের পতাকা তুলে নেন। আর এই ঘটনাতেই লোকসভা নির্বাচনের আগে মুর্শিদাবাদ জেলার রাজনৈতিক মানচিত্রের যে আমূল পরিবর্তন হতে চলেছে তা নিঃসন্দেহে বলাই যায়

কিন্তু যেখানে শুভেন্দু অধিকারীর মত শাসক দলের দাপুটে নেতার হাত ধরে কংগ্রেসের গড় ভেঙে গিয়েছিল সেখানে সেই কংগ্রেস থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়া কর্মী-সমর্থকরা ফের কিভাবে কংগ্রেসে ফিরলেন? এদিন এই প্রসঙ্গে কংগ্রেসের অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেন, “সারা মুর্শিদাবাদ জেলা জুড়ে এক সময় যারা কংগ্রেস ছেড়ে শাসক দলে যোগ দিয়েছিলেন। তাদের আজ মোহভঙ্গ হয়েছে। আজ তারা বুঝতে পেরেছেন যে কংগ্রেস দলে বিশ্বাসযোগ্যতা ও গ্রহণযোগ্যতা আছে। যেমন ভিত ভেঙে গেলে অট্টালিকা পড়ে যায়, তেমনি আজ তৃণমূলের ভিত ভেঙে গেছে। আগামী দিনে এই মুর্শিদাবাদ জেলায় তৃণমূলের আর কোনো অস্তিত্ব থাকবে না।”

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, লোকসভা নির্বাচনের আগে এবার মুর্শিদাবাদ জেলায় কংগ্রেসের এই বাড়বাড়ন্ত নিয়ে শাসকদলের কপালে নতুন চিন্তার ভাঁজ ফুটে উঠতে শুরু করল। এখন শুভেন্দু অধিকারীকে দিয়ে সেই মুর্শিদাবাদ জেলাকে কতটা কংগ্রেস মুক্ত করা যায় এবং সেই চেষ্টায় কতটা সফল হন তৃণমূল সুপ্রিমো এখন সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!