এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতে প্রধানের হাত ধরেই চরম আর্থিক দুর্নীতি, ক্ষোভে ফেটে পড়ছেন সদস্যরাই

তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতে প্রধানের হাত ধরেই চরম আর্থিক দুর্নীতি, ক্ষোভে ফেটে পড়ছেন সদস্যরাই

লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পর থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন পঞ্চায়েত, পৌরসভায় শাসকদলের প্রতি অনাস্থা দেখিয়ে গেরুয়া শিবিরে নাম লেখাচ্ছেন শাসকদলের জনপ্রতিনিধিরা। যা নিয়ে তীব্র চাঞ্চল্যেরও সৃষ্টি হয় বঙ্গ রাজনীতিতে। কিন্তু এই ট্র্যাডিশন যে সমানে চলতেই থাকবে তা আন্দাজ করতে পারেননি কেউই।

সূত্রের খবর, বুধবার রানাঘাট পরিচালিত কামালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বীথিকা বিশ্বাসের কাজকর্মের বিরুদ্ধে প্রবল বিক্ষোভ দেখান এখানকার শাসক দলের সদস্যরা। প্রসঙ্গত, 29 আসন বিশিষ্ট এই কামালপুর পঞ্চায়েতে বিগত পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল 13, বিজেপি 13 এবং নির্দল প্রার্থীরা তিনটি আসনে জয়লাভ করেছিলেন। আর এরপরই নির্দল প্রার্থীরা তৃণমূলকে সমর্থন করলে শাসক দলের পক্ষ থেকে এই পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন করা হয়। ত

বে সদ্যসমাপ্ত লোকসভা ভোটে এই পঞ্চায়েতে তৃণমূলের ভরাডুবি অস্বস্তিতে ফেলে শাসকদলকে। আর লোকসভায় এই পঞ্চায়েতে দলের খারাপ ফলাফলের জন্য পঞ্চায়েতের প্রধানের অনিয়মই দায়ী বলে মনে করছে তৃণমূলের একাংশ। আর তা নিয়েই এদিন এখানকার প্রধান বীথিকা বিশ্বাসের বিরুদ্ধে সরব হন সদস্যরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে কামালপুর পঞ্চায়েতের তৃণমূলের সদস্য প্রিয়া ঘোষ বলেন, “বর্তমানে আমাদের পঞ্চায়েতে যে সমস্ত উন্নয়নমূলক কাজ হয় তার হিসেব বা পরিকল্পনা সম্পর্কে পঞ্চায়েত সদস্যদের জানানো হয় না। প্রধান একাধিক আর্থিক অনিয়মের সঙ্গে যুক্ত। আমরা এই প্রধানকে চাই না। বিষয়টি নিয়ে আমরা বিডিও এবং এসডিওর কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছি।”

একইভাবে আরেক সদস্য গৌরী বিশ্বাস বলেন, “আমরা স্বচ্ছভাবে দল করতে চাই। কিন্তু দলের প্রধান সাধারণ মানুষের প্রতি যে ব্যবহার এবং আচরণ করেন, তাতে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। তাই আমরা এই প্রধানকে অপসারণের দাবি তুলেছি।” অন্যদিকে তার বিরুদ্ধে দলের একাংশ অভিযোগ তুললেও তাকে গুরুত্ব দিতে নারাজ পঞ্চায়েত প্রধান বিথীকা বিশ্বাস। এদিন তিনি বলেন, “যারা আমার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখিয়েছে তারা নিজেরাই উন্নয়নমূলক কাজে অংশ নেয় না। তাই এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা। বিডিও বিষয়টির তদন্ত করলেই সত্য ঘটনা সামনে আসবে।”

এদিকে তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে দলের একাংশ বিদ্রোহ ঘোষণা করায় এই ব্যাপারে সুর চড়াতে শুরু করেছে বিরোধীরা। বিজেপির দাবি, তৃণমূলের অন্দরে গৃহযুদ্ধ চলছে। উন্নয়নের কাজ অপেক্ষা একে অন্যকে দোষারোপ করতেই এরা ব্যাস্ত। তবে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ মনে করছেন, লোকসভা ভোটের ফলাফলের পর একেই তৃণমূলের সংগঠনের যা অবস্থা, তাতে দলে যদি সবাই এককাট্টা না হয়, তাহলে প্রবল বিপদের সম্মুখীন হতে হবে শাসক দলকে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!