দুই মাস পরেই করোনার তৃতীয় ঢেউ, বাংলা নিয়ে চিন্তা বাড়ছে বিশেষজ্ঞদের! জাতীয় রাজ্য June 25, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – প্রথম ঢেউয়ের পর বর্তমানে করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের সঙ্গে লড়াই করতে হচ্ছে ভারতবর্ষ সহ দেশের প্রতিটি রাজ্যকে। তবে বেশ কিছু বিধিনিষেধ জারি করে এবং ভ্যাক্সিনেশন প্রক্রিয়াকে বৃদ্ধি করে অনেকটাই দ্বিতীয় ঢেউকে লাগামে আনতে পেরেছে ভারত এবং পশ্চিমবঙ্গ। দিনকে দিন বাংলায় দ্বিতীয় ঢেউয়ে আক্রান্ত এবং মৃত্যুর সংখ্যা কমতে শুরু করেছে। তবে দ্বিতীয় ঢেউ যখন নিম্নমুখী, তখন আবার চিন্তা বৃদ্ধি পেল করোনা ভাইরাস নিয়ে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ আশঙ্কা করছেন, যদি সঠিক মত করোনা বিধি পালন করা না যায়, তাহলে আগামী আগস্ট মাসের মধ্যে তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়তে পারে। স্বাভাবিক ভাবেই বিশেষজ্ঞদের একাংশ এই আশঙ্কা করার সাথে সাথেই অনেকে বলছেন, কবে শেষ হবে এই মহামারী? যদি একের পর এক ঢেউ আসতে শুরু করে, তাহলে করোনার মধ্যে মানবজীবন তো আরও বিপর্যস্ত হতে শুরু করবে। তাই বর্তমানে এই মহামারী থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় খুঁজছেন সকলে। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য দপ্তরে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল। আর সেখানেই বিশেষজ্ঞ কমিটির চিকিৎসকরা এই ব্যাপারে তাদের আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন। যেখানে বলা হয়েছে, যদি সঠিকভাবে বর্তমান পরিস্থিতিতে যেভাবে করোনা বিধি পালন করা হচ্ছে, তা যদি ভবিষ্যতে পালন করা না হয়, তাহলে ভয়াবহ বিপদ আসতে পারে। এক্ষেত্রে দ্বিতীয় ঢেউয়ের পর খুব তাড়াতাড়ি চলে আসতে পারি তৃতীয় ঢেউ। তাই যাতে চিকিৎসা ব্যবস্থা চাঙ্গা করার পাশাপাশি করোনা বিধি পালন করা যায়, তার জন্য সরকারকে পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - অনেকে বলছেন, তৃতীয় ঢেউয়ে সবথেকে বেশি শিশুরা আক্রান্ত হতে পারে। যদিও তা কতটা সত্য, তার ব্যাপারে যথেষ্ট সংশয় রয়েছে। তবে চিকিৎসা ব্যবস্থা এবং ভ্যাক্সিনেশন প্রক্রিয়া যাতে ঠিক রাখা যায়, তার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। অর্থাৎ কোনোভাবেই দ্বিতীয় ঢেউ নিম্নমুখী হতেই যাতে কেউ উজ্জীবিত হয়ে পড়েন এবং করোনা বিধি ভেঙে না দেন, তার জন্য বারবার সতর্ক করতে দেখা যাচ্ছে চিকিৎসকদের। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, করোনা ভাইরাসের প্রথম ঢেউ নিম্নমুখী হতে না হতেই বাংলা সহ একাধিক রাজ্যের নির্বাচনের দামামা বেজে যায়। আর তারপরেই অবাধে প্রচার প্রক্রিয়া এবং মিটিং-মিছিল চলার কারণে দিনকে দিন বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। আর এই করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা পরবর্তীতে বাংলায় নির্বাচন শেষ হওয়ার পর তা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছিল। গোটা দেশে আক্রান্তের সংখ্যা উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতে পৌঁছে যায়। আর এই বিভিন্ন রাজ্যের তরফে বিধিনিষেধ জারি করতে শুরু করা হয়। পরবর্তীতে সরকার গঠনের পর প্রথম করোনা ভাইরাসের জন্য বৈঠক করে একগুচ্ছ বিধি-নিষেধ জারি করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বর্তমানে বেশ কিছু ক্ষেত্র খুলে দেওয়ার পাশাপাশি সেই বিধি-নিষেধ বহাল রয়েছে। তবে বাংলায় যে করোনা ভাইরাস এখন অনেকটাই নিম্নমুখী, তা বলাই যায়। কিন্তু এই স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে গেলে যে সমস্ত রকম বিধি পালন করতে হবে, তা স্বাস্থ্য দপ্তরের সঙ্গে বৈঠকে পরিষ্কার ভাষায় জানিয়ে দিলেন বিশেষজ্ঞরা। আর যদি তা না হয়, তাহলে করোনা ভাইরাসের তৃতীয় ধাপের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে বাংলাতে বলেও আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। তাই সর্তকতা অবলম্বন করে পশ্চিমবঙ্গ সরকার করোনা-বিধি পালন করতে কি কি পদক্ষেপ গ্রহণ করে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -