এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > নেই মাস্ক, নেই দূরত্ববিধি! আশঙ্কা বাড়িয়ে চলছে জমজমাট ফুটবল ম্যাচ! উদ্বোধনে তৃণমূল নেতানেত্রী

নেই মাস্ক, নেই দূরত্ববিধি! আশঙ্কা বাড়িয়ে চলছে জমজমাট ফুটবল ম্যাচ! উদ্বোধনে তৃণমূল নেতানেত্রী


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –বর্তমানে করোনা পরিস্থিতি সকলকে তটস্থ করে রেখেছে। কোনোরূপ জমায়েত করতে বারবার বারণ করছেন বিশেষজ্ঞরা। কেননা এখনও পর্যন্ত করোনা ভাইরাসের কোনোরুপ প্রতিষেধক না বেরোনোর কারণে সংক্রমণ দ্রুত ছড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। তাই লকডাউন পরিস্থিতি শিথিল হলেও যাতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সমস্ত কার্যকলাপ করা হয়, তার জন্য বার্তা দিচ্ছেন চিকিৎসক থেকে শুরু করে প্রশাসনিক কর্তা ব্যক্তিরা।

কিন্তু আশ্চর্যজনক ভাবে মানুষের কাছে সেই বার্তা পৌঁছে দেওয়া ব্যক্তিরাই নিয়ম ভাঙতে শুরু করেছেন। বিভিন্ন জায়গায় শাসক থেকে বিরোধী নেতাদের জমায়েত নানা প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে। সমস্ত কিছু জেনে বুঝেও কেন রাজনৈতিক নেতারা এইভাবে সামাজিক দূরত্ব পালন না করে, স্বাস্থ্য বিধি না মেনে জমায়েত করছেন, তা নিয়ে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন।

সূত্রের খবর, এবার স্বাস্থ্যবিধি ভেঙে করোনা ভাইরাসের সংকটকালে ফুটবল ম্যাচের উদ্বোধনে উপস্থিত থাকতে দেখা গেল তৃণমূল নেতাদের। যে ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র বিতর্ক ছড়িয়ে পড়েছে মহিষাদল রাজবাড়ি এলাকায়। জানা গেছে, রবিবার মহিষাদল রাজবাড়ি সংলগ্ন একটি মাঠে স্থানীয় একটি ক্লাবের পক্ষ থেকে ফুটবল প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।

যার উদ্বোধন করেন স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শিউলি দাস এবং ব্লক তৃণমূল সভাপতি তথা পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি তিলক চক্রবর্তী। এদিনের এই খেলা দেখতে প্রচুর দর্শকের ভীড় হলেও বিন্দুমাত্র সামাজিক দূরত্ব পালন করতে দেখা যায়নি কাউকে। স্বাভাবিকভাবেই তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিরা করোনা ভাইরাসের সংকটকালে এইরকম অনুষ্ঠানে উপস্থিত হলেও, সামাজিক দূরত্ব পালন করার ব্যাপারে তাদের মুখ থেকে কোনোরূপ বার্তা দিতে কেন শোনা গেল না! তা নিয়ে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন।

একাংশের মতে, পূর্ব মেদিনীপুরে এখনও পর্যন্ত প্রায় একশোর বেশি করোনা আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে। সংক্রমণের হার ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছে। আর এই পরিস্থিতিতে শাসক দলের নেতারা যেভাবে এই ফুটবল খেলার অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে সামাজিক দূরত্ব পালন না করা সত্বেও তাতে উৎসাহ দিলেন, তার ফলে সেই তৃণমূল নেতাদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠাই স্বাভাবিক। ইতিমধ্যেই এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিরোধীদের পক্ষ থেকে তৃণমূলকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করা হচ্ছে। যার জেরে আরও অস্বস্তিতে পড়েছে শাসকদল। সত্যিই তো তাই! কেন করোনা পরিস্থিতির মধ্যে এইভাবে তারা এই রকম জমায়েতে অংশ নিয়ে সেই খেলায় উৎসাহ দিলেন?

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে মহিষাদল ব্লক তৃণমূল সভাপতি তিলক চক্রবর্তী বলেন, “রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে তো হাজার হাজার লোকের জমায়েত করছে বিজেপি। সম্প্রতি বিভিন্ন দেশের খেলাধুলো শুরু হয়ে গেছে। তা দেখে উদ্বুদ্ধ হয়ে ক্লাবের ছেলেরা ফুটবল প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছিল। তবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখবার জন্য সকলকে বলা হয়েছে।” আর তিলকবাবুর এই কথাতেই এখন নতুন করে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। অনেকে বলছেন, বর্তমান সময়টা সংকটজনক সময়। এই সময় বিজেপি কি করেছে বা তৃণমূল কি করেছে, তা হিসাব করার সময় নয়। মানুষকে বাঁচানোর প্রশ্ন যদি থাকে, তাহলে কেন কে কি করল সে দিকে বেশি নজর দিচ্ছেন শাসক দলের নেতারা! তারা নিজেরা কেন সামাজিক দূরত্ব পালনের উপর জোর দিচ্ছেন না? এখন তা নিয়ে পাল্টা প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি।

এদিন এই প্রসঙ্গে পঞ্চায়েত সমিতির বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি নেতা তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “বিজেপির কর্মসূচি হলে করোনা বিধি কার্যকর করার অজুহাত দেখিয়ে বন্ধ করে দেয়। এক্ষেত্রে ফুটবল প্রতিযোগিতা আটকানোর চেষ্টা করা হয়নি। সবই প্রশাসনের পক্ষপাতমূলক আচরণ।” তবে বিজেপির পক্ষ থেকে শুধু নয়, তৃণমূলের দুই নেতা নেত্রী সামাজিক দূরত্ব বিধি পালন না করা অনুষ্ঠানে যাওয়াতে ক্ষুব্ধ তৃণমূলের রাজ্য নেতৃত্ব বলে খবর। সব মিলিয়ে করোনা পরিস্থিতির মধ্যে জমায়েত করা ফুটবল অনুষ্ঠানে তৃণমূলের দুই নেতা নেত্রীর উপস্থিতি এখন তীব্র বিতর্ক সৃষ্টি করেছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!