এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > সংঘাত আরও তীব্র, ফের অন্তর্বর্তী উপাচার্যদের নিয়ে পদক্ষেপ রাজ্যপালের! হিমশিম খাচ্ছে নবান্ন!

সংঘাত আরও তীব্র, ফের অন্তর্বর্তী উপাচার্যদের নিয়ে পদক্ষেপ রাজ্যপালের! হিমশিম খাচ্ছে নবান্ন!


 

 

 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-রাজ্যপাল সরকারের সঙ্গে কথা না বলেই অন্তর্বর্তী উপাচার্য নিয়োগ করে দেওয়ায় রীতিমত অসন্তুষ্ট নবান্ন। শিক্ষামন্ত্রী থেকে শুরু করে তৃণমূল সরকারের একের পর এক নেতারা বিভিন্ন ভাষায় রাজ্যপালকে আক্রমণ করেছেন। ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়টি আদালতের দরজায় পৌঁছে গিয়েছে। সার্চ কমিটির জন্য তিন পক্ষের কাছে নাম চেয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত। আর তার মাঝেই সরকারের পক্ষ থেকে একের পর এক আক্রমণ এলেও তাকে পাত্তাই দিলেন না রাজ্যপাল। নিজের নিয়োগ করা অন্তর্বর্তী উপাচার্যদের সঙ্গে ভার্চুয়ালি বৈঠক করে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজ নিলেন তিনি। দিলেন অভয় বানী এবং আশ্বাস।

প্রসঙ্গত, এদিন নিজের নিয়োগ করা অন্তর্বর্তী উপাচার্যদের সঙ্গে ভার্চুয়ালি বৈঠক করেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। আর সেখানেই সেই উপাচার্যদের উদ্দেশ্যে রাজ্যপাল বলেন, “নিজেদের কাজ করে যান, অন্যদিকে দেখার দরকার নেই।” পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকাঠামো গত সুবিধা, অসুবিধা নিয়েও তাদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। তবে রাজ্যপাল হঠাৎ এই অন্তর্বর্তী উপাচার্যদের “অন্যদিকে দেখার দরকার নেই” বলে কি বোঝাতে চাইলেন? অনেকে বলছেন, সরকারের পক্ষ থেকে একের পর এক আক্রমণ আসছে রাজ্যপালের নিয়োগ করা উপাচার্যদের দিকে। পরোক্ষ ভাবে হুশিয়ারি দিতেও দেখা যাচ্ছে শাসক শিবিরের একপক্ষকে। তাই সেই সমস্ত কিছুতে কান না দিয়ে তারা যাতে নিজের কাজ ঠিকমতো করতে পারেন, তার জন্যই রাজ্যপালের পক্ষ থেকে এই আশ্বাস বাণী বলেই মনে করছেন একাংশ।

বলা বাহুল্য, এই উপাচার্য নিয়োগকে কেন্দ্র করে সরকারের সঙ্গে রাজভবনের সংঘাত চরম পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী একের পর এক শব্দ প্রয়োগ করে রাজ্যপালকে যে ভাষায় আক্রমণ করছেন, তা কার্যত নজিরবিহীন। তিনি আদৌ এই সমস্ত শব্দ প্রয়োগ করতে পারেন কিনা, সেটাই একটা বড় প্রশ্ন। কিন্তু তারপরেও রাজ্যপাল তাতে কোনো গুরুত্ব দিচ্ছেন না। তিনি নিজের মতো করে বিশ্ববিদ্যালয় যাতে শিক্ষার পরিবেশের মধ্যে দিয়ে পরিচালিত হতে পারে, তার চেষ্টা করছেন। তার প্রমাণ তিনি এদিনের ভার্চুয়াল বৈঠকের মধ্যে দিয়ে আরও একবার দিয়ে দিলেন। তবে রাজ্যপালের এই বার্তা নিয়ে আবার চাপে পড়তে পারে রাজ্য সরকার।

পর্যবেক্ষকদের মতে, উপাচার্য কিভাবে নিয়োগ হবে, তার জন্য সার্চ কমিটি গঠনের বিষয়টি আদালতের দরজায় রয়েছে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ তো থেমে থাকবে না। তাই নিজের নিয়োগ করা উপাচার্যদের সেই ব্যাপারে নির্দেশ দিয়ে সরকারকে আবার চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন রাজ্যপাল। এর ফলে সরকারপক্ষ আরও অস্বস্তিতে পড়ে গেল। ইতিমধ্যেই শিক্ষামন্ত্রী শিক্ষাসেলের সভা থেকে রাজ্যপাল এবং তার নিযুক্ত উপাচার্যদের উদ্দেশ্যে নানা কথা বলেছেন। আর তারপরেই রাজ্যপালের সেই উপাচার্যদের নিয়ে বৈঠক নবান্নকে হিমশিম খাওয়ানোর জন্য যথেষ্ট। দিনের শেষে তেমনটাই দাবি রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!