এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > মন্ত্রীর অজান্তেই বেতন বেড়ে গেল দপ্তরের কর্মীদের! পিছনে কি ছাঁটার প্রক্রিয়া শুরু? জল্পনা তুঙ্গে

মন্ত্রীর অজান্তেই বেতন বেড়ে গেল দপ্তরের কর্মীদের! পিছনে কি ছাঁটার প্রক্রিয়া শুরু? জল্পনা তুঙ্গে

রাজ্যের বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনে 10 হাজার অস্থায়ী কর্মী রয়েছেন। যাদের মধ্যে পুরোটাই 100 দিনের কাজের সাদে যুক্ত থাকেন এবং এসটিপি বা ভিএলই পদে প্রায় প্রায় সাড়ে 6 হাজার কর্মী রয়েছেন। জানা যায়, এই এসটিপিরা প্রত্যেকে ১৩,২০০ হাজার টাকা এবং ভিএলইরা ৭,৫০০হাজার টাকা পর্যন্ত ভাতা পান।

পঞ্চায়েত দপ্তর সূত্রের খবর,  গত জুলাই মাসে এই 100 দিনের কাজের সাথে যুক্ত সকল অস্থায়ী কর্মীদের ভাতা 3% করে বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে দপ্তরের কর্মীদের বেতন বাড়ার কথা নাকি জানেনই না পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। জানলেন, কিন্তু যখন জানলেন ততদিনে মন্ত্রীর আগেই এই খবর সবার নজড়ে চলে এসেছে এমনটাই দাবি কলকাতার এক সংবাদমাধ্যমের। 

এখানেই সুব্ত মুখোপাধ্যায়ের একাংশ অনুগামীদের অভিযোগ,  কিছুদিন আগে  জনস্বাস্থ্য কারিগরী দপ্তর থেকে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এবার এই পঞ্চায়েত দপ্তরে বেতন বাড়ালো হলেও তা মন্ত্রীর নজড়ে না আনার জন্য হতবাক তাঁরা। তবে এই ভাতা বৃদ্ধি প্রসঙ্গে মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে প্রশ্ন করা হলে তিনি ওই সংবাদমাধ্যম -কে বলেন, “অস্থায়ী কর্মীদের বাতা বেড়েছে কি না, জানি না! আমাকে এব্যাপারে কেউ কিছু জানায়নি।”  তবে মন্ত্রীর অনুমতি না নিয়ে কে ঘটাল এরকম ঘটনা?

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

——————————————————————————————-

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে।

জানা গেছে, দপ্তরের প্রধান সচিব অনিল বর্ধনই এব্যাপারে সিলমোহর দিয়েছেন। তবে এনিয়ে অনিল বর্ধনকে ফোন করা হলেও তিনি কোনোও ফোন ধরেননি। তবে প্রতি বছরই এই 100 দিনের কাজে যুক্ত অস্থায়ী কর্মীদের 3% করে ভাতা বাড়ানো হলেও এর জন্য মন্ত্রীর অনুমতি লাগে না। এব্যাপারে অর্থদপ্তরের স্ট্যান্ডিং কমিটির অর্ডার আছে বলে জানান 100 দিনের কাজে দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান আধিকারিক দিব্যেন্দু সরকার। তবে যে যাই বলুক না কেন! কর্মীদের বেতন বাড়ল, অথচ মন্ত্রী হিসাবে এব্যাপারে বিন্দুমাত্র কিছু না জানায় ক্ষুদ্ধ পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ও। যা নিয়ে তীব্র আলোড়নেরও সৃষ্টি হয়েছে প্রশাসনিক মহলে।

এদিকে এই নিয়ে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়ে গেছে জল্পনা। কেননা প্রশ্ন উঠেছে তবে কি এবার সুব্রত মুখার্জি-কে এবার কোনঠাসা করা হচ্ছে ? যদিও এই নিয়ে দুই ভাগ রাজনৈতিকমহল। একাংশের মতে এমন কিছু নয়.তিনি বরাবরের কর্মী মুখ্যন্ত্রী ঘনিষ্ঠও বটে,তাছাড়া অন্য কোনো দলে যেতে চান এমন কথাও শোনা যায়নি ফলে ওসব কিছু নয়। অন্যদিকে আরেকাংশের মত যে যদি তা নাই হবে তবে কিছুদিন আগে তো জনস্বাস্থ্য কারিগরী দপ্তর থেকে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে,আর এবার তাঁর বিনা অনুমতিতে বেতন বেড়ে গেলো এটা কি করে সম্ভব। তাঁর কাছে যদি ওপরওয়ালার নির্দেশ না থাকে তবে কি করে একজন দপ্তরের প্রধান সচিব কারুর বেতন বাড়াতে পারেন। এই সব কিছু তো খারাপ দিকই ইঙ্গিত করছে মত আরেকাংশের। যদিও এখনো পর্যন্ত এই বিষয়ে খোলসা হয়নি কিছুই। তবুও জল্পনা থেকেই যাচ্চে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!