এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > মমতার সব চেষ্টা ব্যার্থ? ধর্মতলায় বঞ্চিতদের নিয়ে সভা করবে বিজেপি! উজ্জীবিত কর্মীরা!

মমতার সব চেষ্টা ব্যার্থ? ধর্মতলায় বঞ্চিতদের নিয়ে সভা করবে বিজেপি! উজ্জীবিত কর্মীরা!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-বিজেপিকে আটকাতে সব চেষ্টা করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুলিশকে দিয়ে যেখানেই বিজেপি সভা করছে, সেখানেই তাদের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। আর এই সব কিছুই যে পুলিশ মন্ত্রীর ইন্ধনে হচ্ছে, তা বুঝতে বাকি নেই গেরুয়া শিবিরের। তবে বিজেপির অনেকদিন আগেই পরিকল্পনার মধ্যে ছিল যে, নভেম্বর মাসে তারা রাজ্য সরকারের প্রকল্প থেকে যারা প্রকৃত বঞ্চিত, তাদের নিয়ে একটি সভা করবে। সেই মত তারা সব প্রস্তুতি নিয়েছিল। তবে পুলিশ অনুমতি না দেওয়ায় সিঙ্গেল বেঞ্চ থেকে রায় নিয়ে আসে গেরুয়া শিবির। কিন্তু বিজেপিকে আটকানোর জন্য এবং তারা যাতে সভা করতে না পারে, তার জন্য সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে আবার ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছে রাজ্য। অনেকে বলছেন, এখানেও কানমোলা খাবে রাজ্য প্রশাসন। তবে তৃণমূল অবশ্য আশায় রয়েছে যে, বিজেপি শেষ পর্যন্ত সভা করতে পারবে না। আদালত রাজ্যের পক্ষেই রায় দেবে। কিন্তু এসবের মাঝেই বড় দাবি করে বসলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। আর তার বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে যথেষ্ট উজ্জীবিত এবং ধর্মতলার এই সভা নিয়ে আশাবাদী হয়ে পড়েছেন গেরুয়া শিবিরের কর্মীরা।

প্রসঙ্গত, এদিন সিঙ্গেল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বিজেপির সভা আটকাতে ডিভিশন বেঞ্চে যাওয়া নিয়ে দিলীপবাবুকে প্রশ্ন করা হয়। আর সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে রাজ্যকে রীতিমত তুলোধোনা করেন এই বিজেপি নেতা। তিনি বলেন, “বিজেপিকে এর আগেও আটকাতে পারেনি। এবারেও আটকাতে পারবে না। ধর্মতলায় আমাদের সভা হবে। ওরা আগে নিজেদের ঘর সামলাক। তারপরে বিজেপিকে আটকাবে।” অর্থাৎ বিজেপি একপ্রকার নিশ্চিত যে, তারা অন্যায় তো কোনো দাবি পুলিশের কাছে করেনি। তারা শুধু একটা সভা করার জন্য অনুমতি চেয়েছে। ফলে রাজ্য সরকার সেই সভাকে আটকে দেওয়ার জন্য আবার আদালতে গেলেও, তারা সেখানেও ঠাস ঠাস করে থাপ্পড় খাবে। তাই কার্যত নিশ্চিত হয়েই দিলীপ ঘোষ সেই সভা হবে বলেই জানিয়ে দিয়েছেন।

গেরুয়া শিবিরের দাবি, এই রাজ্যে পুলিশের কাছে অনুমতি পাওয়া যাবে না, এটা একটা ছোট বাচ্চাও জানে। পুলিশ কতটা নির্লজ্জ হতে পারে তা এই রাজ্যে না দেখলে বোঝা যাবে না। সামান্য একটা সভার অনুমতি এই পুলিশের কাছ থেকে পাওয়া যায় না আদালতে যেতে হয় বিরোধী দলকে। এবারেও তারা আদালতে গিয়েছে। তবে শেষ পর্যন্ত বিরোধী কণ্ঠস্বরকে দমন করার সব চেষ্টা এই রাজ্য করছে। শেষ পর্যন্ত আদালতে আবার এই রাজ্য সরকার উচিত শিক্ষা পাবে। প্রমাণ হয়ে যাবে যে, গণতন্ত্রের অন্যতম স্তম্ভ বিরোধীরাও এই রাজ্যে সভা করতে পারবে। এটা তৃণমূলের কেনা জমিদারি নয়। আর এর ফলেই মুখ পুড়বে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশের বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, বিজেপি তো এই সভা করার অনুমতি চেয়ে আইন ভঙ্গ করছে না। তারা শুধুমাত্র নিজেদের বক্তব্য, যেটা তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার, সেটা জানানোর মত অনুমতি চাইছে। কিন্তু পুলিশ সেটা না দেওয়ার কারণেই সংঘাত। বিরোধীরা ইচ্ছে করে তো আদালতে যায়নি। তারা আদালতে গিয়েছে নিজেদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য। তবে তারপরেও নির্লজ্জ সরকার বিজেপিকে আটকানোর কম চেষ্টা করছে না। তবে সময় শেষ কথা বলে। খুব তাড়াতাড়ি আদালতে আবার রাজ্য হোঁচট খাবে এবং বিজেপি ধর্মতলায় এই সভা করবে। অতীতেও যেমন বিজেপিকে এই রাজ্য প্রশাসন পুলিশ দিয়ে আটকাতে পারেনি, এবারও তারা সব চেষ্টা করেও শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হবে। মানুষের মনে পৌঁছে যাবে মানুষের কথা বলা বিরোধী দল। দিলীপ ঘোষের বক্তব্যের পর তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!