এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > ভাষন দিয়ে বিপাকে মমতা, এফআইআর দায়ের করতে চলেছেন শুভেন্দু ! শোরগোল রাজ্যে!

ভাষন দিয়ে বিপাকে মমতা, এফআইআর দায়ের করতে চলেছেন শুভেন্দু ! শোরগোল রাজ্যে!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- আজ নেতাজি ইন্ডোরে দলের কর্মসূচি থেকে বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রতিহিংসামূলক কথা বলে ফেলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার কথার মধ্য দিয়ে শোনা যায় যে, তার নেতাদের জেলে ঢোকানো হচ্ছে। তাই একজন বিজেপি নেতার বিরুদ্ধেও তিনি যদি কোনো অভিযোগ পান, তাহলে তার দলের 4 জনকে যদি জেলে ঢোকানো হয়, তাহলে তিনি বিজেপির 8 জনকে জেলে ঢোকাবেন। অর্থাৎ মুখ্যমন্ত্রী এই বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে, তার সরকার বদল চাই বলে ক্ষমতায় আসলেও, এখন তিনি বদলা নেওয়ার রাস্তায় পাকাপাকিভাবে হাঁটতে শুরু করবেন। অনেকে বলছেন, এতদিন ধরে তো বদলার রাজনীতিই করে আসছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে ঘোষণা করে সেই কাজ করেননি। আর এবার একেবারে ঘোষণা করে তিনি স্পষ্ট করে দিলেন, তার সরকার কতটা প্রতিহিংসা পরায়ণ। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তো মুখ্যমন্ত্রী অনেক অভিযোগ করেন। কিন্তু আজ দলের কর্মসূচিতে তিনি যা বললেন, তাতে রীতিমত গর্জে উঠলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। পাল্টা মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে এফআইআর করার হুঁশিয়ারি দিলেন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক।

প্রসঙ্গত, এদিন মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য নিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে প্রশ্ন করা হয়। আর সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে শুভেন্দু অধিকারী সাফ জানিয়ে দেন, দুই একদিনের মধ্যেই এই নেতাজি ইন্ডোর যে থানার অন্তর্গত, সেই হেয়ার স্ট্রীট থানায় তিনি মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করবেন। অর্থাৎ রাজ্যের পুলিশ মন্ত্রী হিসেবে কি করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই প্রতিহিংসার আওয়াজ তুলতে পারেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। শুধু তাই নয়, একজন দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবেও কি এই ধরনের কথা বলা যায়? বিরোধীদের কোনো নেতা যদি সামান্য কোনো কথা বলেন, তাহলে তো তার বিরুদ্ধে পুলিশ লাগিয়ে দিতে দুবার ভাবেন না এই রাজ্যের পুলিশ মন্ত্রী! আর তিনি বললে কেন আইন তার ক্ষেত্রে গৌন হবে! কেন ব্যবস্থা নেওয়া হবে না! তাই এবার মুখ্যমন্ত্রীকেও যেভাবে বেকায়দায় ফেলে দিলেন শুভেন্দু অধিকারী, তাতে চরম অস্বস্তিতে রাজ্যের শাসকদল বলেই মনে করছেন একাংশ।

বিজেপির দাবি, এতদিন তলায় তলায় কর্মীদের প্রশ্রয় দিয়ে প্রতিহিংসার রাজনীতি রাজ্যজুড়ে তৈরি করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। আর এবার তার বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে আরও স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে যে, তার নেতারা চুরি করবে, অথচ তার নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না! তার নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে তিনিও এই রাজ্যের পুলিশকে ব্যবহার করে বিজেপি নেতাদের গ্রেফতার করার রাস্তায় হাঁটবেন। কিন্তু পুলিশ মন্ত্রী হিসেবে সংবিধানকে অমান্য করার যে চেষ্টা মুখ্যমন্ত্রী করেছেন, তাতে তার বিরুদ্ধেও এবার পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত। তাই শুভেন্দু অধিকারী যে পদক্ষেপ নিচ্ছেন, তার সঙ্গে গোটা রাজ্যের মানুষ রয়েছে। অবিলম্বে রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের গোটা ঘটনায় ক্ষমা চাওয়া উচিত। শুধু তাই নয়, বিন্দুমাত্র লজ্জা থাকলে নিজের চেয়ার ছেড়ে দেওয়া উচিত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিরোধীদের নিয়ে কিরূপ ধারণা পোষণ করেন, তা তার এই বক্তব্যের মধ্যে দিয়েই স্পষ্ট। পাশাপাশি আরও একটা বিষয় স্পষ্ট যে, তিনি কতটা ফ্যাসিস্ট! তা না হলে প্রকাশ্য মঞ্চে কেউ এই ধরনের কথা বলতে পারেন না। সব সময় প্রতিহিংসার রাজনীতি দিয়ে গোটা বাংলাকে শেষ করে দিয়েছেন তৃণমূলের নেতা, নেত্রীরা। আজকে দলের কর্মসূচি থেকে একজন মুখ্যমন্ত্রী হয়ে সমস্ত সীমাকে লংঘন করে আইন ভাঙতে দেখা গেল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্যের পর তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!