এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > মমতার রাজ্যে ভয়ের পরিবেশ! শিল্প না ছাই হবে, ঘুম উড়িয়ে বড় দাবি বিজেপির!

মমতার রাজ্যে ভয়ের পরিবেশ! শিল্প না ছাই হবে, ঘুম উড়িয়ে বড় দাবি বিজেপির!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-কোটি কোটি টাকা খরচ করে রাজ্যে দুদিন ব্যাপী আয়োজিত হয়েছে বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন। সেখানে নামিদামি অনেক মানুষ এসেছেন। তারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে, আগামী জানিয়ে তারা কোটি কোটি টাকায় পশ্চিমবঙ্গে বিনিয়োগ করবেন। কিন্তু এটা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় রয়েছে বিরোধীদের মধ্যে। কারন বিরোধীরা জানে যে, এর আগেও এরকম বহু ব্যক্তি বহু প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু লাভের লাভ কিছুই হয়নি। এই রাজ্যে কেউ এক ছটাক বিনিয়োগ করার সাহস দেখাচ্ছে না। কিন্তু এর পেছনে কি কারণ রয়েছে? এবার তার ব্যাখ্যা করতে গিয়ে সরকারের ঘুম উড়িয়ে দিলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক না থাকলে বিনিয়োগ তো দূরের কথা, কোনো কিছুই ঠিক মত সম্ভব হবে না। তাই বর্তমানে যে পরিস্থিতিতে রয়েছে রাজ্য, তা নিয়ে চিন্তা রয়েছে সকলের মধ্যেই।

প্রসঙ্গত, এদিন আবার একটি শুট আউটের ঘটনা সামনে আসে। জগদ্দলের এই শুট আউট নিয়ে বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষকে প্রশ্ন করা হয়। আর সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “এই যে কোটি কোটি টাকা খরচ করে বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন হলো, তাহলে তার লাভ কি হল? রাজ্যের যে এই আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি, এসব দেখে কে এই রাজ্যে বিনিয়োগ করতে আসবে? কেউ তাদের মান, সম্পত্তির ভরসা পাবে না। তাই এই রাজ্যের সরকারের ওপর, এই রাজ্যের আইন শৃঙ্খলার ওপর কারওর ভরসা নেই। তাই এই রাজ্যে লাভ কিছু হবে না।” সত্যিই তো তাই! একটি রাজ্যে যদি আইনশৃঙ্খলা ঠিক মতো না থাকে, তাহলে যে সমস্ত শিল্পপতিরা সেখানে আসবেন, তারা তো লুট হয়ে যেতে পারেন দুষ্কৃতীদের কাছে। তাই উত্তরপ্রদেশের মত রাজ্যে, গুজরাটের মত রাজ্যে ব্যাপক শিল্প হচ্ছে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের মাটিতে শিল্প হচ্ছে না। কারণ, শিল্পপতিরা এই সরকারের কাছ থেকে গ্যারান্টি পাচ্ছেন না। এই সরকার নিশ্চিত করতে পারছে না যেহ এখানে সন্ত্রাস নেই। ফলে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভেঙে যাওয়ার কারণেই আজকে মুখ্যমন্ত্রীর সামনে বড় বড় শিল্পপতিরা হয়ত প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। কিন্তু বাস্তবে তারা এই রাজ্য থেকে বাইরে পা রাখার পরেই বাংলার কথা ভুলে যাচ্ছেন। তাই আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক মত পরিচালনার না করলে আরও ধ্বংসের মুখে এগিয়ে যাবে বাংলা বলেই দাবি করছেন একাংশ।

ইতিমধ্যেই গোটা বিষয় নিয়ে তৃণমূল এবং রাজ্যকে কটাক্ষ করছে বিজেপি। তাদের দাবি, রাজ্যের পুলিশ মন্ত্রী হিসেবে অবিলম্বে ইস্তফা দেওয়া উচিত মুখ্যমন্ত্রীর। তিনি কোনো দিক সামলাতে পারছেন না। তার নেতা-মন্ত্রীরা জেলে যাচ্ছে। দুর্নীতিতে সিদ্ধহস্ত হয়ে গিয়েছে এই রাজ্যের শাসক দল। তার মধ্যে বিভিন্ন জায়গায় বিরোধীরা তো বটেই, এখন শাসক দলের নেতারাও শুট আউট হচ্ছেন। মুখ্যমন্ত্রী পুলিশ মন্ত্রী হিসেবে পরিস্থিতির সামাল না দিয়ে উৎসবে মজে রয়েছেন। তাই বড় বড় বিনিয়োগকারীরা এই রাজ্যে ভরসার জায়গা পাচ্ছেন না। অবিলম্বে এই সরকারকে বিদায় না জানালে এই রাজ্য আরও বিপদের মুখে পড়বে বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, মুখ্যমন্ত্রী তো পুলিশ মন্ত্রী। তিনি না হয় বিরোধীদের দিকে নজর দেবেন না। কিন্তু তার দলের দিকে তো নজর দেবেন। তার দলের অনেক নেতাও তো শুট আউটের জন্য খুন হচ্ছেন। দিকে দিকে গুলি চলছে, বোমাবাজি হচ্ছে। ফলে নিজের দলকে সামাল দিতে না পেরেও কি বিন্দুমাত্র বিবেক জাগ্রত হচ্ছে না মুখ্যমন্ত্রীর? এই সরকারের বিদায়ের সময় তো চলে এসেছে। বিরোধীদের বক্তব্য অবশ্য তেমনটাই। কিন্তু শেষ মুহূর্তে নিজের তৈরি করে রেখে যাওয়া কিছু সৃষ্টিশীল কাজ করার দিকেও কেন মনোযোগ নেই মাননীয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের? দিলীপ ঘোষের বক্তব্যের পর তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!