এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > বিশ্বকাপ নিয়েও নোংরা রাজনীতি, মমতার মুখে পাপের কথা! সোচ্চার বিজেপি!‌

বিশ্বকাপ নিয়েও নোংরা রাজনীতি, মমতার মুখে পাপের কথা! সোচ্চার বিজেপি!‌


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-অসম্ভব সুন্দর ব্যাটিং এবং ফিল্ডিংয়ের পরেও এবারের বিশ্বকাপ হাতছাড়া হয়েছে ভারতের। দেশবাসী সত্যিই মনমরা। কিন্তু সেই সময়ও নোংরা রাজনীতি করতে ছাড়ছে না তৃণমূল কংগ্রেস এবং তাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিশ্বকাপে দেশ পরাজিত হওয়ার পরেই তৃণমূলের যারা নেতা-নেত্রী ছিলেন, তারা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করতে শুরু করেছিলেন যে, সেখানে নাকি অপয়া গিয়েছে, অর্থ্যাৎ অপয়া বলতে তারা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহকে কটাক্ষ করেছিলেন। কিন্তু রাজনৈতিক ভাবে যতই বিরোধিতা থাক, একজন দেশের প্রধানমন্ত্রী এবং গৃহমন্ত্রীকে কি এই ভাষায় অপমান করা যায়? তবে বাঁশ যেরকম হবে, সেই বাঁশ থেকে তো ঝাড়ু সেরকমই হবে। কোথায় একটি দলের নেত্রী এবং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হয়ে নিজের দলের নেতাকর্মীদের এই বক্তব্যের জন্য ধমক দেবেন। কিন্তু তা না করে আজ নেতাজি ইন্ডোরে দলের কর্মসূচি থেকে সেই কর্মীদের বক্তব্যের সঙ্গেই সহমত পোষণ করে নাম না করে প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে পাপিষ্ঠ বলে আক্রমণ করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। শুধু তাই নয়, তিনি এটাও দাবি করলেন, যদি ইডেন বা ওয়াংখেড়েতে এই ম্যাচ অনুষ্ঠিত হত, তাহলে দেশ জিতে যেত। অর্থাৎ ইন্ডিয়া যে ওয়ার্ল্ড কাপ পেল না, তার পেছনে কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যর্থতায় দায়ী, এটাই বোঝাতে চাইলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।

প্রসঙ্গত, আজ নেতাজি ইন্ডোরে দলের একটি বিশেষ অধিবেশন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আর সেখানেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে একেবারে শুরুতেই চাঁচাছোলা আক্রমণ করে বসেন মুখ্যমন্ত্রী। কেন্দ্রীয় সরকারকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, “পাপীষ্টরা যেখানে যাবে, সেখানেই সর্বনাশ। এত সুন্দর খেলেছে প্লেয়ারগুলো, কিন্তু তা সত্ত্বেও আমাদের দেশ হেরে গেল। এটা যদি কলকাতায় ইডেনে বা ওয়াংখেরেতে হত, তাহলে হয়ত আমাদের দেশ জিতে যেত।” অর্থাৎ সব জায়গায় বিরোধিতা করতে হবে। দেশকে অপমান করতে হবে, দেশের প্রধানমন্ত্রীকে অপমান করতে হবে, এটাই যেন মুখ্যমন্ত্রীর টার্গেট হয়ে গিয়েছে। কিন্তু তিনি যেভাবে সংবিধানকে দেশের গণতন্ত্র প্রেমী মানুষকে অপমান করছেন, সেটা কি ভুলে যাচ্ছেন? তার এই ধরনের বক্তব্য যে দেশের মানুষ গ্রহণ করছে না, তা কেন বুঝতে পারছেন না তৃণমূল নেত্রী! তিনি তো এই কথা বলে ধীরে ধীরে নিজেকে দেশবিরোধী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করছেন।

ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়ে তৃণমূল নেত্রীকে কটাক্ষ করতে শুরু করেছে রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপি। তাদের দাবি, মুখ্যমন্ত্রী ভেবেছিলেন, ভারতবর্ষে বিজেপির বিরুদ্ধে তৈরি হওয়া ইন্ডিয়া জোট তৈরি করে তিনি বিজেপিকে আটকে দেবেন। এই খেলায় যদি ভারতবর্ষ জয়লাভ করত, যেটা সকলেই চেয়েছিলেন, দুর্ভাগ্যবশত সেটা হয়নি, সেটা সকলের কাছেই দুঃখের খবর। কিন্তু যদি এই দেশ জিতে যেত, তাহলে মুখ্যমন্ত্রী বড়াই করে বলতেন যে, তাদের জোটের নাম রাখা হয়েছে ইন্ডিয়া। আগামী দিনে এই ইন্ডিয়াকেই মানুষ রাজনৈতিকভাবে ভোটাধিকারের মধ্যে দিয়েও সমর্থন করবেন। নিজের দেশ জিতেছে, এটার থেকেও বেশি তারা যেহেতু ইন্ডিয়া নামে একটা জোট গঠন করেছে। তাই বিশ্বকাপ জিতলে তার ক্রেডিট নেওয়া শুরু করতেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। আর যখন দুর্ভাগ্যবশত দেশ হেরে গেছে, যখন সকলেই দুঃখের মধ্যে তখন মুখ্যমন্ত্রী সেখানেও নোংরা রাজনীতি করা শুরু করে দিলেন। দেশকে অপমান করে তিনি নিজেকে প্রশ্নের মুখে ফেলে দিলেন বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, এই প্রথম তো নয়। এর আগেও প্রধানমন্ত্রীকে যা ইচ্ছে তাই বলে আক্রমণ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তার যেমন রুচি, তিনি সেই শব্দই প্রয়োগ করেন। এক্ষেত্রেও দেশের মানুষ যখন কষ্টের মধ্যে রয়েছে, দেশের মানুষ যখন ভাবছেন, কি করে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে বদলা নেওয়া যায়, তখন মুখ্যমন্ত্রী বিশ্বকাপ নিয়েও রাজনীতি শুরু করে দিলেন। প্রধানমন্ত্রী গিয়ে প্লেয়ারদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন, তাদের উজ্জীবিত করার চেষ্টা করছেন, আর মুখ্যমন্ত্রী সকলকে হতাশ করছেন। বিপদের দিনে দেশের সকলের এককাট্টা হয়ে থাকা উচিত। কিন্তু এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী চান, তিনি বিভাজনের রাজনীতি করবেন। তাই বিশ্বকাপ নিয়েও তার এই ধরনের বক্তব্য নোংরা রাজনীতির সমতুল্য। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!