এখন পড়ছেন
হোম > বিশেষ খবর > নোয়াপাড়া উপনির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থী হচ্ছেন কে?

নোয়াপাড়া উপনির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থী হচ্ছেন কে?

২০১৬ তে রাজ্য জুড়ে প্রবল মমতা-হাওয়াতে যখন নাভিশ্বাস উঠেছে বাম-কংগ্রেস জোটের তখন তারই মধ্যে বাম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী হিসাবে নোয়াপাড়া তে যেতেন জীবনে একটিও নির্বাচনে না হারা মধুসূদন ঘোষ। আর এই জয় আরো গুরুত্ত্বপূর্ন, কেনা তিনি যেতেন তৃণমূলের যেটা বিধায়ক মঞ্জু ঘোষকে। কিন্তু কিছুদিন আগেই দেহত্যাগ করেন মধুসূদন বাবু, ফলে নোয়াপাড়া আসনটিতে উপনির্বাচন আসন্ন। সূত্রের খবর অনুযায়ী এখানে উপনির্বাচন হতে পারে আগামী জানুয়ারী মাসে আর এই মাসের মধ্যেই ঘোষণা হয়ে যেতে পারে নির্বাচনের দিনক্ষণ। বলায় বাহুল্য নিজেদের যেটা আসন এইভাবে হারিয়ে আবারো তা ফিরে পেতে মরিয়া শাসকদল। কিন্তু লক্ষ টাকার প্রশ্ন এই উপনির্বাচনে কে পাচ্ছেন ঘাসফুলের টিকিট? সূত্রের খবর, আপাতত ভেসে উঠেছে চারটি নাম
১. মদন মিত্র – মদনবাবুকে এই কেন্দ্র থেকে জিতিয়ে আবারো মন্ত্রী করে বিজেপির রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জবাব দেবেন মুখ্যমন্ত্রী আর তাই মদনবাবুকে এখানে টিকিট দেওয়া হবে, এমনটা প্রথমে শোনা গেলেও, সূত্রের খবর মদনবাবু নিজে খুব একটা আগ্রহী নন। দুটি কারণে, এক – তিনি এখন জিতে মন্ত্রী হলে আবার সিবিআই প্রভাবশালী তকমা লাগিয়ে জেলে টেনে নিয়ে যেতে পারে। দুই – তিনি কামারহাটিতেই মাটি কামড়ে পরে থেকে লড়াইটা চালিয়ে যেতে চান, এমনকি দলনেত্রীরও নাকি তেমনই ইচ্ছা।
২. উপেন বিশ্বাস – উপেনবাবুর নাম এই নির্বাচনে প্রার্থী হিসাবে প্রবলভাবে উঠে এসেছে দুটি কারণে। এক – কিছুদিন আগে তিনিই প্রথম দলের মধ্যে কথা তোলেন যে মুকুল রায় দলবিরোধী কাজ করছেন। আর তাই তাঁর নম্বর হঠাৎ করে খুব বেড়ে গেছে। দুই – উপেনবাবু যে বিধানসভা থেকে বিধায়ক হয়েছিলেন তা আজ তৃণমূল ত্যাগী কংগ্রেস নেতা দুলাল বরের হস্তগত। দুলালবাবু মুকুলবাবুর ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত, বর্তমানে মুকুল রায়ের হাত ধরে বিজেপিতে যাওয়ার একটা রাজনৈতিক সম্ভাবনার কথা শোনা যাচ্ছে। কিন্তু তৃণমূল ঘরের ছেলে দুলাল বাবুকে আবার ঘরেই ফিরিয়ে আনতে চায়, কোনোমতেই বিজেপিতে তিনি যোগদান করুন চান না। সেক্ষত্রে ২০২১ এ বাগদা থেকে উপেন বিশ্বাস নয় টিকিট পাবেন দুলাল বরই। কিন্তু দলনেত্রী প্রাক্তন এই সিবিআই অফিসারকে যথেষ্ট ভরসা করেন, আর তাই নোয়াপাড়া থেকে উপেনবাবুর টিকিট পাওয়ার সম্ভাবনা বেশ উজ্জ্বল হয়ে উঠছে।
৩. মঞ্জু ঘোষ – নোয়াপাড়াতে হেরে প্রাথমিক ভাবে পিছিয়ে ছিলেন। কিন্তু নোয়াপাড়ায় সংগঠন এখনো তাঁর হাতে, তাই তাঁকে টিকিট না দিলে যদি দলত্যাগী মুকুল রায় তাঁকে বিজেপিতে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন? আর তাই তাঁর নাম বেশ উপরের দিকেই রয়েছে।
৪. সুনীল সিং – ভাটপাড়ার বিধায়ক অর্জুন সিংয়ের আত্মীয়। শোনা যাচ্ছে, অর্জুনবাবু নিজে চান সুনীলবাবুই টিকিট পান। ইদানিং মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে একটার পর একটা ‘বোমা বর্ষণ’ দলে পদোন্নতি হয়েছে, এমনকি জনশ্রুতি, মুকুল রায়কে ‘কথা শুনিয়ে’ পুরস্কারও পাচ্ছেন তিনি। আর পুরস্কার হলো নোয়াপাড়ার প্রার্থী বাছাইয়ের সরকারি দায়িত্ত্ব। যদিও অর্জুন বাবু নিজে তা উড়িয়ে দিয়েছেন, কিন্তু যদি জনশ্রুতি সত্যি হয়, তাহলে অবশ্যই দৌড়ে এগিয়ে সুনীল সিং।
কিন্তু যথারীতি তৃণমূল কংগ্রেসের রীতি মেনে সরকারি বক্তব্য, প্রার্থী নিয়ে শেষ কথা বলবেন দিদিই।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!