এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > ফের ভয়াবহ করোনা, তৃতীয় ঢেউ নিয়ে জারি সর্তকতা!

ফের ভয়াবহ করোনা, তৃতীয় ঢেউ নিয়ে জারি সর্তকতা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –   প্রথম ঢেউয়ের পর ধীরে ধীরে লকডাউন বিধি-নিষেধ এবং ভ্যাকসিনেশনের মধ্যে দিয়ে করোনা ভাইরাসকে দূরীভূত করার চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু এক বছরের মধ্যেই আবার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ে। বর্তমানে সেই দ্বিতীয় ঢেউয়ের সঙ্গে লড়াই করতে হচ্ছে গোটা দেশবাসীকে। তবে ভ্যাক্সিনেশন প্রক্রিয়া বা বিধি-নিষেধের জন্য ধীরে ধীরে নিচের দিকে নামতে শুরু করেছে করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় দফার আক্রান্ত এবং মৃত্যু সংখ্যা ধীরে ধীরে দ্বিতীয় দফাকে পরাজিত করা সম্ভব হবে বলে মনে করছেন সকলে। কিন্তু তার মাঝেই এবার তৃতীয় ঢেউ নিয়ে জারি করা হলো সতর্কবার্তা।

চিকিৎসকদের পরামর্শ খুব দ্রুত করোনা ভাইরাসের তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়তে পারে। তবে প্রথম এবং দ্বিতীয় ঢেউয়ের থেকে তৃতীয় ঢেউ অনেকটাই সহজলভ্য বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। এক্ষেত্রে বেশ কিছু নিয়ম পালন করলে অতি সহজেই তৃতীয় ঢেউকে দূরীভূত করা সম্ভব হবে বলে দাবি চিকিৎসকদের। স্বাভাবিক ভাবেই দীর্ঘদিন ধরে করোনা ভাইরাসের জন্য বিধিনিষেধ রয়েছে গোটা দেশে।

অর্থনৈতিক মেরুদণ্ড এমনিতেই ভেঙ্গে পড়ার যোগাড়। তার মধ্যে যদি আবার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ে, তাহলে আবার কতদিন করোনা ভাইরাসের তৃতীয় দফার সঙ্গে লড়াই করতে হবে, তা জানেন না কেউ। ফলে যতই চিকিৎসক থেকে বিশেষজ্ঞরা এই তৃতীয় ঢেউ নিয়ে চিন্তা না করার পরামর্শ দিন না কেন, জনতার মনে চিন্তা ক্রমশ গ্রাস করতে শুরু করেছে।

তবে টিকাকরণ ঠিকমত হলে, তৃতীয় ঢেউ নিয়ে চিন্তার কোনো কারণ নেই বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। এদিন এই প্রসঙ্গে দেবি শেঠি বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকার ভারতীয় টিকা উৎপাদকের কাছ থেকে 75 শতাংশ টিকা কিনছে। কেন্দ্রের উচিত শতাংশ টিকা নিজেদের অর্থে কিনে নেওয়া এবং পরে বেসরকারি হাসপাতালগুলোর কাছে নির্ধারিত মূল্যে বিক্রি করা। এতে রাজ্য সরকার ও বেসরকারি হাসপাতালগুলো টিকার সমস্যায় পড়বেন। একই সঙ্গে সরকারের উচিত দ্রুত দ্রুত বিদেশ থেকে ভ্যাকসিন আনার ব্যবস্থা করা। কেননা শুধুমাত্র ভারতীয় দুটি ভ্যাকসিনের ওপর নির্ভর করে টিকাকরন প্রক্রিয়া চালানো সম্ভব নয়।”

অর্থাৎ বিশিষ্ট চিকিৎসক এর কথা থেকে স্পষ্ট যে, ভ্যাকসিনেশন হল করোনা ভাইরাস থেকে মুক্তির প্রধান উপায়। অনেকে বলছেন, প্রথম ঢেউয়ের পর করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ থেকে আরও অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছেন সাধারণ মানুষ। কিভাবে পথ চলতে হবে, কিভাবে করোনা ভাইরাস থেকে রক্ষা পেতে হবে, তা মানুষের কাছে এখন পরিষ্কার।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তাই তো প্রথম পর্যায়ে লকডাউন হওয়ার পর মানুষের মধ্যে রাস্তায় বেরোনোর প্রবণতা দেখা গেলেও, দ্বিতীয় দফায় যখন বিধি-নিষেধ জারি করেছিল বিভিন্ন রাজ্য সরকারগুলো, তখন সাধারণ মানুষ তাকে মান্যতা দিয়ে খুব দ্রুত করোনা ভাইরাসের আক্রান্ত এবং মৃত্যু সংখ্যাকে নিচের দিকে নামিয়ে এনেছিলেন। স্বাভাবিক ভাবেই তৃতীয় ঢেউ যদি ভয়াবহতা লাভ করে, তাহলে তাকে আটকানো খুব একটা সহজ হবে না বলেই আশাবাদী বিশেষজ্ঞরা।

তবে সমস্তটাই নির্ভর করছে সাধারণ মানুষের সচেতনতার ওপর। কেননা সাধারণ মানুষ যদি সচেতন না থাকেন, তাহলে তৃতীয় ঢেউ হালকা হলেও তা ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে। যার জেরে চিন্তা ক্রমশ বাড়ছে জনসাধারণের মধ্যে। তবে পরপর করোনা ভাইরাসের বিভিন্ন রূপ আসার কারণে রীতিমত বিরক্ত হয়ে উঠছেন সাধারন মানুষ।

এভাবেই যদি চলতে থাকে, তবে কবে জনজীবন সচল হবে, এখন সেটাই বড় প্রশ্নের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর সেই কারণেই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলছেন, সাধারণ মানুষকে আরও সচেতন হতে হবে। এখন তৃতীয় ঢেউ যদি আছড়ে পড়ে, তাহলে তাকে দমন করতে জনসাধারণ কতটা সচেতন হন এবং কিভাবে বিলীন করেন করোনা ভাইরাসকে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!