আমপানের টাকা ঢুকছে তৃণমূল নেতাদের অ্যাকাউন্টে! বিস্ফোরক দাবি খোদ তৃণমূল জেলা সভাপতির! নদীয়া-২৪ পরগনা বিশেষ খবর রাজ্য June 6, 2020 করোনার করাল গ্রাস চলছে বাংলা জুড়ে – আর তার মাঝেই আমপানের দাপটে কার্যত ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে বাংলার বহু অংশ। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বহু সাধারণ মানুষ। এর তান্ডব এতটাই ছিল যে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজে পরের দিন এসে সরেজমিনে দেখে ১০০০ কোটি টাকার আগাম প্যাকেজ ঘোষণা করেন। কিন্তু, এরপরেই তৃণমূল নেত্রী রীতিমত ঝড় তোলেন! তিনি জানিয়ে দেন, ক্ষতি হয়েছে ১ লক্ষ কোটি টাকার, আর সেখানে মাত্র ১ হাজার কোটি টাকায় কি হবে! এরপরেই তিনি আমপানে ক্ষতিগ্রস্তদের ২০ হাজার কোটি টাকা করে পাঠানোর কথা ঘোষণা করেন। রাজ্য সরকারের দেওয়া ক্ষতিপূরণ প্রায় ৩০ লক্ষ মানুষ মাত্র ৪ দিনের মধ্যেই পেয়ে গেছেন বলে দাবি করা হয়। কিন্তু, এই ক্ষতিপূরণ নিয়ে এতদিন বিস্ফোরক অভিযোগ শোনা যাচ্ছিল বিজেপি নেতাদের মুখে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - গেরুয়া শিবিরের দাবি ছিল, ২০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণের নামে আসলে তৃণমূল নেতা-কর্মীদের টাকা পাইয়ে দেওয়া হচ্ছে। আর গত দুদিন সংবাদমাধ্যমে এরকম বেশ কিছু ঘটনার কথা উঠে আসায় অস্বস্তি বাড়তে থাকে শাসকদলের। আর এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের অস্বস্তি বহুগুন বাড়িয়ে দিয়ে একই অভিযোগকে কার্যত স্বীকৃতি দিলেন দলের সাংগঠনিক জেলা সভাপতি তথা বিধায়ক শঙ্কর সিংহ। প্রসঙ্গত ২০১৬ সালে বাম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী হিসাবে বিধায়ক নির্বাচিত হলেও, পরে তৃণমূলে নাম লেখান শঙ্কর সিংহ। লোকসভা নির্বাচনের পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে রানাঘাট সাংগঠনিক জেলার তৃণমূলের সভাপতি পদে বসান। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে শঙ্কর সিংহ জানান, ঘূর্ণিঝড় আমপানে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য সরকারি ক্ষতিপূরণের টাকা এলেও তার অনেকটাই প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদের বদলে চলে যাচ্ছে স্থানীয় তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধান কিংবা পঞ্চায়েত সদস্যদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে। শঙ্করবাবু জানান, এই দুর্নীতি কোনোভাবেই রেয়াত করা হবে না, অভিযুক্তদের কোনো ভাবেই রেয়াত করা হবে না। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কঠোর ভাবে এর বিরোধিতা করেছেন। তিনি নির্দেশ দিয়েছেন, যে সব পঞ্চায়েত বা পঞ্চায়েত সদস্য এই দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে হবে। মুখ্যমন্ত্রীর এই নির্দেশ পাওয়ার পর নদীয়া জেলাশাসকের সঙ্গে এই বিষয়ে কথা হয়েছে। আমপানে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণের অর্থ নয়ছয় হলেই তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। আপনার মতামত জানান -