এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > অযথা সেলিব্রিটি চমক নয়, অনুগত ও অভিজ্ঞতার মিশেলে রাজনৈতিক মন্ত্রীসভা নিয়ে উন্নয়নের ভাবনা

অযথা সেলিব্রিটি চমক নয়, অনুগত ও অভিজ্ঞতার মিশেলে রাজনৈতিক মন্ত্রীসভা নিয়ে উন্নয়নের ভাবনা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজ্য রাজনীতিতে তারকা প্রার্থীর আনাগোনা কোনো নতুন ব্যাপার নয়, গত এক দশক থেকেই রাজ্য রাজনীতিতে উজ্জ্বল একাধিক তারকা প্রার্থী। ইতিপূর্বে রাজ্য রাজনীতির অঙ্গনে দেখা গেছে কবীর সুমনকে, তাপস পালকে, শতাব্দী রায়কে, সন্ধ্যা রায়কে। পরবর্তীকালে দেখা গেছে মিমি,নুসরত, চিরঞ্জিত, দেবশ্রী প্রমুখদের। তবে এবারের নির্বাচনে তারকা প্রার্থীদের যোগদান ছিল পূর্বের তুলনায় অনেক বেশি। তৃণমূল-বিজেপি দু দলেই ছিলেন বহু তারকা প্রার্থী।

তৃণমূলের তারকা প্রার্থীদের মধ্যে ছিলেন কাঞ্চন মল্লিক, অদিতি মুন্সি, জুন মালিয়া, রাজ চক্রবর্তী, সোহমের মতো ব্যক্তিত্ব। বিজেপিতে দেখা গেছে হিরণ চট্টোপাধ্যায়, রুদ্রনীল ঘোষ, শ্রাবন্তী, পায়েল, পার্নো প্রমুখদের। তবে নির্বাচনে বিজেপির তারকা প্রার্থীদের তেমন একটা সফলতা আসে নি, কিন্তু তৃণমূলের বহু তারকা প্রার্থী নির্বাচনে জয়লাভ করেছেন। অনেকেই মনে করেছিলেন, এবারের মন্ত্রিসভায় স্থান পাবেন বহু তারকা প্রার্থী, যা নিয়ে জল্পনাও যথেষ্ট ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। একমাত্র ক্রিকেটার মনোজ তিওয়ারিকে বাদ দিলে আর কোনো তারকাকেই মন্ত্রিসভায় স্থান দেয়া হয়নি।

ক্রিকেটার মনোজ তিওয়ারিকে ক্রীড়া দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী করা হয়েছে। ইতিপূর্বে এই পদে ছিলেন লক্ষ্মীরতন শুক্লা। অন্য কোনো তারকা প্রার্থীকে মন্ত্রিসভায় স্থান দেওয়া হয়নি। অনেকে মনে করেছিলেন, এবার মন্ত্রিসভায় স্থান পাবেন অভিনেতা সোহম। পূর্ব মেদিনীপুরের চন্ডিপুর থেকে জয়ী হলেও শেষ পর্যন্ত মন্ত্রিসভায় স্থান দেওয়া হয়নি তাঁকে। তবে তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন যে, দল তাঁকে যে দায়িত্ব দেবে, সে দায়িত্ব তিনি পালন করবেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

পরিচালক রাজ চক্রবর্তীকে নিয়ে জল্পনা চলছিল, অনেকে মনে করেছিলেন মন্ত্রিসভায় স্থান পাবেন তিনি। কারণ অর্জুন সিং এর গড় থেকে জয় ছিনিয়ে এনেছেন তিনি। রাজনীতিবিদ হিসেবে নতুন জীবন শুরু করেছেন তিনি। তবে, মন্ত্রিসভায় তাকে স্থান দেওয়া হয়নি। আবার হুগলি উত্তরপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিককে নিয়ে জল্পনা ছিল। কারণ, পোড়খাওয়া রাজনীতিবিদ প্রবীর ঘোষালকে তিনি পরাজিত করেছেন। তবে মন্ত্রিত্ব নেবার ব্যাপারে তেমন উৎসাহ ছিল না তাঁর।

আবার গায়িকা তথা কীর্তন শিল্পী অদিতি মুন্সিকে নিয়েও যথেষ্ট রকম জল্পনা ছিল। কারণ, পোড়খাওয়া রাজনীতিবিদ শমীক ভট্টাচার্যকে তিনি পরাজিত করেছেন রাজারহাট গোপালপুর কেন্দ্র থেকে। তবে, তাঁকে মন্ত্রিসভায় আনা হয়নি। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন যে, মন্ত্রিসভায় তারকা প্রার্থীদের ভিড় বাড়িয়ে চমকের রাজনীতিতে যেতে চায়নি রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল। দলের প্রতি আনুগত্য ও অভিজ্ঞতাকে অধিক পরিমাণে গুরুত্ব দিতে চেয়েছে তৃণমূল। এ জন্যেই একজন মাত্র তারকা রেখে মন্ত্রীসভার বাকি সদস্যদের আনা হয়েছে দীর্ঘ সময়ের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে। যা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!