এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > “শুভ দিন” বিজেপিতে যোগ দিয়েই বড় বার্তা দিব্যেন্দুর! জ্বালা শুরু তৃণমূলের!

“শুভ দিন” বিজেপিতে যোগ দিয়েই বড় বার্তা দিব্যেন্দুর! জ্বালা শুরু তৃণমূলের!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিভিন্ন সভা, সমিতি থেকে কোনোরকম নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে যা ইচ্ছে তাই বলে আক্রমণ করেন। কিন্তু দীর্ঘদিন তাঁর দলে থাকলেও, এইসব খারাপ আদর্শ নিয়ে রাজনীতি করেননি অধিকারী পরিবারের সদস্যরা। শুভেন্দু অধিকারী অনেক দিন আগেই তার সংসর্গ ত্যাগ করে ভারতীয় জনতা পার্টির সঙ্গে যুক্ত হয়ে এই রাজ্যের শাসক দলকে হারে হারে বুঝিয়ে দিচ্ছেন, লড়াই কিভাবে করতে হয়।

আর এবার সেই অধিকারী পরিবারের আরও অন্যতম বড় সদস্য দিব্যেন্দু অধিকারীও অসম্পূর্ণ বৃত্তটাকে সম্পূর্ণ করে দিলেন। আজ দিল্লিতে অর্জুন সিংহের সঙ্গে একসাথেই ভারতীয় জনতা পার্টিতে যুক্ত হলেন তিনি। এতদিন তৃণমূলের সাংসদ ছিলেন দিব্যেন্দুবাবু। কিন্তু এখন থেকে বিজেপির একজন কার্যকর্তা হিসেবে তিনি যে নিজের এলাকা জুড়ে গেরুয়া শিবিরের জন্য প্রচার করবেন, তা প্রথম দিনেই স্পষ্ট করে দিলেন দিব্যেন্দু অধিকারী। শুধু তাই নয়, শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকে তৃণমূল তাদের সাংসদ হওয়া সত্ত্বেও শিশির অধিকারী এবং দিব্যেন্দু অধিকারীর সঙ্গে কোনো বিষয়ে আলোচনা পর্যন্ত করেনি। বরঞ্চ তৃণমূলের বিভিন্ন নেতারা মেদিনীপুরে এসে তাদের বিভিন্ন ভাষায় কটাক্ষ করেছেন। তাই আজ তার পাল্টা জবাব দিতে গিয়ে দিল্লি থেকেই তৃণমূলের গায়ে জ্বালা ধরিয়ে দিলেন সেই দিব্যেন্দু অধিকারী।

প্রসঙ্গত, এদিন বিশ্বের সবথেকে বড় রাজনৈতিক দল ভারতীয় জনতা পার্টিতে যুক্ত হয়ে নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহকে কৃতজ্ঞতা জানান শুভেন্দু অধিকারীর ভাই দিব্যেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, “আমি মোদিজীর দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে বিজেপিতে যোগদান করছি। আমি অমিত শাহের কাছে কৃতজ্ঞ। কৃতজ্ঞ সুকান্ত মজুমদার এবং শুভেন্দু অধিকারীর কাছে। আজ আমার জন্য একটা শুভ দিন।” আর এই সামান্য কথার মধ্যে দিয়েই তৃণমূল নেতারা যে জ্বলে পুড়ে ছারখার হয়ে যাবেন, তা নিয়ে কারওর মনে কোনো সন্দেহ নেই। কারণ তারা এমনিতেই অধিকারী পরিবারকে সহ্য করতে পারে না। এই অধিকারী পরিবার যে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘুম কেড়ে নিয়েছে, সেটা নতুন করে বলতে হবে না। এতদিন শুভেন্দু অধিকারী যে সমস্ত কথা বলতেন, তাতে তৃণমূলের মুখ লুকানোর মত জায়গা ছিল না। আর তার মধ্যে এবার দিব্যেন্দু অধিকারীও বিজেপিতে যোগ দিয়ে যোগদান করার দিনটাকে শুভ দিন বলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের কাজকর্ম এবং সেখানে থাকা যে শুভ নয়, সেটা ইঙ্গিত পূর্ণ ভাবে বুঝিয়ে দিলেন।

পর্যবেক্ষকদের মতে, দলে থাকতে বিন্দুমাত্র সম্মান দেওয়া হয়নি অধিকারী পরিবারকে। সব সম্মান পিসি তার ভাইপোকে নিয়ে গিয়ে দিয়েছেন। যার ফলেই শুভেন্দু অধিকারী দল পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছেন। আর যে দলে আদর্শ নেই, সেই দলে থেকে করবেনটাই বা কি! কিন্তু এত কিছুর পরেও শুভেন্দু অধিকারীর ভাই দিব্যেন্দু অধিকারী এবং তার বাবা তৃণমূলের সাংসদ থাকলেও তাদের সঙ্গে কোনো বিষয়ে আলোচনা না করে উল্টে তাদের বাড়ির সামনে গিয়ে তাদের প্রতি বিভিন্ন ভাষায় আক্রমণ করতে দেখা গিয়েছে তৃণমূলের ছোকরা নেতাদের। তাই মনের মধ্যে একটা রাগ ছিলই অধিকারী পরিবারের বাকি সদস্যদের।

আজকে দিল্লিতে বিজেপিতে যোগদান করে সেই রাগকে পুষিয়ে নিলেন দিব্যেন্দু অধিকারী। তৃণমূল ওপরে ওপরে দেখাবে যে, তারা এটাতে মোটেই চিন্তিত নয়, তারা জানতই যে, দিব্যেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগদান করবেন বা অধিকারী পরিবার বিজেপির সঙ্গে আছে। কিন্তু তৃণমূলের এই কথাই যদি সত্যি হয়, তাহলে এতদিন সেটা আড়ালে ছিল। কিন্তু এবার তা সামনাসামনি চলে এলো। আর সামনাসামনি গোটা অধিকারী পরিবার তৃণমূলের বিরুদ্ধে নামলে মেদিনীপুর তো বটেই, গোটা রাজ্যেই তৃণমূলে অস্তিত্বটুকুও আগামী দিনে খুঁজে পাওয়া যাবে না। আর সেটা শাসক দলের নেতারা ভালোই বুঝতে পারছেন। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!