এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > লক্ষীর ভান্ডারে সম্মান নেই, মমতাকে টাটাবাই! বিস্ফোরক তৃণমূল সাংসদ!

লক্ষীর ভান্ডারে সম্মান নেই, মমতাকে টাটাবাই! বিস্ফোরক তৃণমূল সাংসদ!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এমন একটা ভাব দেখান, যেন তিনি মা-বোনেদের কিনে নিয়েছেন। সামান্য 500-1000 টাকা দিয়ে লক্ষীর ভান্ডার চালু করে ভোটের রাজনীতি করার চেষ্টা করছেন এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। এমনটাই অভিযোগ করে বিরোধীরা। তবে 500-1000 টাকা দিয়ে যে কোনো সংসার চলে না, মুখ্যমন্ত্রী যে শুধুমাত্র দেখানোর রাজনীতি করেন, সেই নিয়ে সাধারণ মানুষের তরফেও বিভিন্ন সময় বিভিন্ন প্রশ্ন তোলা হয়। আর এই পরিস্থিতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করে আজ বিজেপিতে যুক্ত হলেন অধিকারী পরিবারের অন্যতম সদস্য দিব্যেন্দু অধিকারী। তবে এটা হওয়ারই ছিল। তাই এই নিয়ে নতুন করে খবর করার প্রয়োজন নেই। কিন্তু তিনি বিজেপিতে যুক্ত হওয়ার পর যে সমস্ত কথা বলেছেন, তা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ন। যে লক্ষীর ভান্ডার নিয়ে তৃণমূলের নেতারা এত বড়াই করেন, এত বড় বড় কথা বলেন, তাদের রাতের ঘুম কেড়ে নিলেন দিব্যেন্দু অধিকারী। বিরোধী নেতারা যে ভাষায় লক্ষীর ভাণ্ডারকে আক্রমণ করেন, সেই একই ভাষায় তিনি আজকে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং এই রাজ্যের শাসক দলকে আক্রমণ করলেন। কিন্তু কি বললেন দিব্যেন্দুবাবু?

প্রসঙ্গত, এদিন দিল্লিতে বিজেপির দপ্তরে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেন অর্জুন সিংহ এবং দিব্যেন্দু অধিকারী। এতদিন দিব্যেন্দু অধিকারী তৃণমূলের সাংসদ ছিলেন। শুভেন্দু অধিকারী দল পরিবর্তন করলেও, দিব্যেন্দুবাবু এবং তার বাবা শিশির অধিকারী দল পরিবর্তন করেননি। তবে লোকসভা ভোটের মুখে দিব্যেন্দু অধিকারী তৃণমূলের সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করে বিজেপিতে যুক্ত হয়ে নিজের অভিব্যক্তি প্রকাশ করার সুযোগ পেলেন। বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর দিব্যেন্দু অধিকারী বলেন, 500-1000টাকা দিয়ে মহিলাদের সম্মান জানানো যায় না।” একাংশের মতে, সত্যিই তো তাই। মহিলারা যদি এই রাজ্য সরকারের আমলে সম্মান পেত, তাহলে তো সন্দেশখালি হত না। দিকে দিকে মা-বোনেরা অত্যাচারের সাক্ষী থাকতেন না। তাই এরা যে পরিমাণ অত্যাচার করছে, তাতে 500-1000 টাকা নিয়ে মহিলাদের আরও বেশি করে অসম্মান করা হচ্ছে বলেই দাবি একাংশের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, কতদিন আর মুখ বুজে, যারা একটু ভালো, মানুষ যাদের মেরুদন্ড, শিড়দাড়া বলে কিছু আছে, তারা তৃণমূলে থাকবেন বলুন তো? তৃণমূল তো কোনো রাজনৈতিক দল নয়। সেখানে তো নিজের মতামতটুকু জানানো যায় না। যা সিদ্ধান্ত সবটাই পিসি এবং ভাইপো মিলে নেবেন। সেই কারণেই আজকে বাংলার এই জরাজীর্ণ পরিস্থিতি। মা-বোনেরা যেমন এখানে নিরাপদ নয়, ঠিক তেমনই গণতন্ত্র এখানে ধ্বংস। তাই সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে মুক্ত হাওয়ায় নিঃশ্বাস নেওয়ার জন্যই বিজেপির মত বড় দল খুঁজে নিলেন দিব্যেন্দু অধিকারী। তার বিজেপিতে যোগদান শুধু সময়ের অপেক্ষা ছিল। তবে লোকসভা নির্বাচনের আগে যে লক্ষীর ভান্ডার নিয়ে তৃণমূল ঘরে ঘরে প্রচার করে মা-বোনেদের ভোট পাওয়ার চেষ্টা করছে, সেই লক্ষীর ভান্ডারের প্রকল্পের দিকেই বড় প্রশ্ন ছুড়ে দিলেন তৃণমূলের এই বিদায়ী সাংসদ। যার ফলে লক্ষ্মীর ভান্ডার নিয়ে তৃণমূলের বড় বড় ডায়লগ অন্তঃসারশূন্য হয়ে গেল। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!