মমতার মাস্টারস্ট্রোক? বিজেপি বাংলার দিকে নজর দিতেই একচালেই মোদী-শাহের ওড়াতে চলেছেন ঘুম? কলকাতা জাতীয় তৃণমূল বিজেপি বিশেষ খবর রাজনীতি রাজ্য January 28, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – দিল্লিতে কৃষক বিক্ষোভ মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। আর এই পরিস্থিতিতে কৃষকদের স্বার্থ সুরক্ষিত রাখছে না কেন্দ্রীয় সরকার বলে বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো অভিযোগ করতে শুরু করেছে। সামনেই পশ্চিমবঙ্গ সহ একাধিক রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন। যেখানে ভালো ফল করতে তৎপর কেন্দ্রের শাসকদল ভারতীয় জনতা পার্টি। আর এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের তৃণমূল সরকারের উপর যখন চাপ বাড়াচ্ছে বিজেপি, তখন পাল্টা কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের উপর চাপ বাড়ানোর কৌশল নিলেন তৃণমূল নেত্রী তথা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত লোকসভা নির্বাচনের মতই এবার কৃষি আইন নিয়ে অবিলম্বে কেন্দ্রকে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকার দাবি জানালেন তিনি। স্বাভাবিক ভাবেই তার এই রাজনৈতিক কৌশল বিধানসভা নির্বাচনের আগে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে যে চাপে রাখার অন্যতম উদ্দেশ্য, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সূত্রের খবর, বুধবার এই প্রসঙ্গে তৃণমূল নেত্রী তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “একগুঁয়ে অবস্থান এবং অহংসর্বস্বতা ছেড়ে কেন্দ্রের উচিত বাকিদের বক্তব্যকে মান্যতা দেওয়া। এটা সংখ্যাগরিষ্ঠতার ব্যাপার নয়। নম্বর রয়েছে বলেই গায়ের জোরে দেখানোটা গণতন্ত্রের শর্ত হতে পারে না। অন্যদের কথাও শুনতে হবে। যত দ্রুত সম্ভব, সব বিরোধী দলের সঙ্গে কথা বলা উচিত কেন্দ্রের।” একাংশ বলছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই কৌশল করে কেন্দ্রকে চাপে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করলেন। কেননা বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো কখনই কৃষি আইনের পক্ষে কথা বলবেন না। সেদিক থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই দাবি মেনে যদি কেন্দ্র সমস্ত বিরোধীদলকে বৈঠকে ডাকে, তাহলে সেই কৃষি আইন বাতিলের দাবি উঠতে পারে। যার ফলে চাপে পড়ে যেতে পারে কেন্দ্রীয় সরকার। তাই এই পরিস্থিতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই ধরনের উদ্যোগ যে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত বিশেষজ্ঞরা। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - অনেকে বলতে শুরু করেছেন, নিজের গড় রক্ষা করতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখন কেন্দ্রের অস্বস্তি বাড়িয়ে দিচ্ছেন। কেননা বাংলার বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপির পক্ষ থেকে ক্রমাগত বাংলা দখলের জন্য নানা ব্লু-প্রিন্ট নেওয়া হচ্ছে। দিনকে দিন প্রভাব বাড়ছে ভারতীয় জনতা পার্টির। তাই এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে নিজেদের সমস্যার মধ্যে দিয়ে বেঁধে রাখতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই ধরনের দাবি বলে মনে করছেন একাংশ। কেননা যদি সমস্ত বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে কেন্দ্রের বৈঠক ডাকা এবং তার ফলে কৃষি আইন বাতিলের দাবি উঠতে শুরু করে, তাহলে বিজেপি সরকার অত্যন্ত চাপে পড়ে যাবে। পাশাপাশি কৃষকদের বিক্ষোভ তো রয়েছেই। সব মিলিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই ধরনের বক্তব্য বিরোধীদের যে বাড়তি হাতিয়ার তুলে দিল, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত বিশেষজ্ঞরা। এখন এই ব্যাপারে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে কি প্রতিক্রিয়া আসে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -