এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > মমতা ছুটে গেলেও নিজের অবস্থানেই অনড় ধনকর? জল্পনা-অস্বস্তি বাড়িয়ে আবারো দিলেন কড়া পরামর্শ!

মমতা ছুটে গেলেও নিজের অবস্থানেই অনড় ধনকর? জল্পনা-অস্বস্তি বাড়িয়ে আবারো দিলেন কড়া পরামর্শ!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বারবার রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে মন্তব্য করতে দেখা গেছে তাকে। এমনকি পুলিশ প্রশাসন যাতে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত না হয়ে পড়েন, তার জন্য বারবার সতর্কবার্তা দিয়েছেন তিনি। যার পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্য বনাম রাজ্যপালের সম্পর্কে তিক্ততা বারবার সামনে এসেছে। আর এবার প্রজাতন্ত্র দিবসের পরের দিন সরকারি আধিকারিকদের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত না থাকার বার্তা দিলেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জাগদীপ ধনকার। জানা গেছে, বুধবার সকালে তেহট্টের শহীদ সুবোধ ঘোষের বাড়ি গিয়ে তার স্ত্রী এবং পরিবারের হাতে সাহায্য তুলে দেন। আর এরপরই পুলিশ প্রশাসনের কাছে এই আর্জি করেন পশ্চিমবঙ্গের সাংবিধানিক প্রধান।

সূত্রের খবর, আজ সকাল 11 টা নাগাদ তেহট্টে যান রাজ্যপাল জাগদীপ ধনকার। যেখানে প্রথমেই শহীদ সুবোধ ঘোষের বাড়িতে গিয়ে তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। আর তারপরেই শহীদের স্ত্রীর হাতে সাড়ে 5 লক্ষ টাকার চেক তুলে দিতে দেখা যায় তাকে। আর তারপরই রাজ্যের পুলিশ প্রশাসনকে বার্তা দেন তিনি। সরকারি আধিকারিকদের উদ্দেশ্যে রাজ্যপাল বলেন, “সরকারি আধিকারিকদের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হওয়া অপরাধ, বেআইনি‌। যে সমস্ত আমলারা রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়ছেন, আবেদন করছি, আপনারা সরে আসুন।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর রাজ্যপালের এই মন্তব্যকে কেন্দ্র করে এবার ব্যাপক জল্পনা ছড়িয়ে পড়েছে গোটা রাজ্য জুড়ে। একাংশ বলছেন, প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন রাজ্যপালের সঙ্গে প্রথামাফিক চা-চক্রে বসেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের প্রশাসনিক প্রধান। যার মাধ্যমে রাজ্য বনাম রাজ্যপালের তিক্ত সম্পর্কের অনেকটাই মধুর দিকে এগোবে বলে মনে করা হয়েছিল। কিন্তু প্রজাতন্ত্র দিবসের পরের দিন তেহট্টে শহীদ পরিবারের সঙ্গে দেখা করে যেভাবে পুলিশ প্রশাসনকে রাজনীতি মুক্ত হওয়ার বার্তা দিলেন রাজ্যপাল, তাতে তিনি প্রশাসনের শীর্ষ মহলকেই বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করলেন বলে দাবি করছেন একাংশ।

অনেকে বলছেন, সামনেই বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে বিরোধীদের পক্ষ থেকে বারবার সরকারি আধিকারিকদের শাসক দলের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার অভিযোগ করতে দেখা গেছে‌। আর এবার সেই সরকারি আধিকারিকদের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হওয়া অপরাধ বলে বিরোধীদের অভিযোগকেই সীলমোহর দিতে দেখা গেল পশ্চিমবঙ্গের সাংবিধানিক প্রধানকে। যার ফলে রাজ্য প্রশাসন এবং তৃণমূল কংগ্রেসের সরকার অত্যন্ত চাপে পড়ে গেল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সব মিলিয়ে রাজ্যপালের এই মন্তব্যকে কেন্দ্র করে এবার নবান্ন বনাম রাজভবনের দ্বৈরথ আরও বৃদ্ধি পায় কিনা, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!