এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > নদীয়া-২৪ পরগনা > নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে ধর্ণা কর্মসূচিতে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রাকাশ্যে

নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে ধর্ণা কর্মসূচিতে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রাকাশ্যে

লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে যে দলের খারাপ ফলাফল হয়েছে, তা ফলাফল পর্যালোচনায় উঠে এসেছিল। যার ফলে বিভিন্ন কর্মসূচিতে সকল নেতা, নেত্রীদের মধ্যে সমতা বজায় রেখে কর্মসূচি করার কথা বলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তারপরেও শনিবার তৃণমূলের নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে ধর্ণা কর্মসূচিতে এক হতে দেখা গেল না দলের নেতা নেত্রীদের। যেমন, নদীয়ার চাপড়া এলাকা।

জানা যায়, এখানে স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক রুকবানুর রহমান ধর্না কর্মসূচি করেন। কিন্তু সেখানে অনুপস্থিত থাকতে দেখা যায়, ব্লক তৃণমূল সভাপতি জেবের শেখকে। যা নিয়ে দলের এই দুই নেতার দূরত্ব ক্রমশ বাড়ছে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু দল সবাইকে এক হয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে এই ধরনের কর্মসূচি করতে বললেও, কেন তৃণমূল বিধায়ক এবং এক হেভিওয়েট নেতা এক কর্মসূচিতে উপস্থিত থাকবেন না!

কেন তারা পৃথক পৃথক কর্মসূচি করলেন! এদিন এই প্রসঙ্গে চাপড়ার তৃণমূল বিধায়ক রুকবানুর রহমান বলেন, “দলের নির্দেশ মত কর্মসূচি পালন করেছি। জেবের শেখকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তিনি আসেননি কেন, বলতে পারব না।” অন্যদিকে বিধায়কের ধরনা কর্মসূচিতে তাকে ডাকাই হয়নি বলে জানান সেই জেবের শেখ।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

 

অন্যদিকে কালিগঞ্জের প্রাক্তন বিধায়ক এবং কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলার কো-অর্ডিনেটরের বিবাদও লক্ষ করা যায়। যা তৃণমূলের দ্বিধা-বিভক্ত ভাবকেই আরও স্পষ্ট করে তোলে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। জানা যায়, এদিন হরিণঘাটা শহরের অডিটোরিয়ামের সামনেও তৃণমূলের পক্ষ থেকে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়। যেখানে দলের অন্যান্য নেতাদের পাশাপাশি হরিণঘাটা শহর তৃণমূলের সভাপতি দেবাশীষ বসু উপস্থিত থাকলেও, বিকেলে হরিণঘাটা যুব তৃনমূলের মিছিলে দেবাশিসবাবুকে উপস্থিত থাকতে দেখা যায়নি।

যা নিয়ে গুঞ্জন আরও তীব্র থেকে তীব্রতর হয়ে উঠেছে। এদিকে এতদিন হরিণঘাটা শহর তৃণমূলের সভাপতি পদে থাকা উত্তম সাহার নেতৃত্বে বিশাল মিছিল সংঘটিত হতে দেখা যায়। এদিন বর্তমান সভাপতি দেবাশিসবাবু এবং প্রাক্তন সভাপতি উত্তমবাবুর গলায় ভেসে ওঠে সেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের সুর। এদিন উত্তম সাহা বলেন, “আমাকে কেউ কিছু জানায়নি। বলে এখনও আমি দলের সভাপতি হিসেবে মিছিল ডেকেছি।”

অন্যদিকে বর্তমান সভাপতি দেবাশিসবাবু বলেন, “আমি তো বিধানসভায় এলাকার মূল মিটিংয়ে ছিলাম। জাগুলির মিছিলের ব্যাপারে আমাকে কেউ কিছু জানাননি। ফলে যেতে পারিনি।” তবে আশ্চর্যজনকভাবে এদিনের এই তৃণমূলের ধরনা কর্মসূচিতে একসাথে দেখা গেছে দুই বিপরীত মেরুর নেতা অরিন্দম ভট্টাচার্য এবং অজয় দেকে। যা দেখে সকলে বলছেন, দলের অরিন্দমবাবু এবং অজয়বাবু একসাথে দলের কর্মসূচি করতে পারলেও, নদীয়া জেলার অন্যান্য নেতারা নিজেদের আচরণের মধ্যে দিয়ে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকে জিইয়ে রাখলেন।

যা নিঃসন্দেহে দলকে প্রবল অস্বস্তিতে ফেলল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে বিজেপির বিরুদ্ধে তৃণমূলের এই রাজনৈতিক কর্মসূচিতে কেন তৃণমূল নেতারা আলাদা আলাদা করে কর্মসূচি করলেন! তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে দলের অন্দরেই।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!