ফের মন্তব্য করে বিতর্কে দিলীপ ঘোষ!জেনে নিন কলকাতা রাজ্য December 29, 2019 বিগত বেশ কিছু সপ্তাহ ধরেই সংশোধিত নাগরিক আইন নিয়ে উত্তাল দেশের এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্ত। ব্যাতিক্রম নয় পশ্চিমবঙ্গও। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নানান রকমের আন্দোলন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হচ্ছে সংশোধিত নাগরিক আইন এবং এনআরসির বিরুদ্ধে। আবার কখনও বা ভারতীয় জনতা পার্টির পক্ষ থেকে সংশোধিত নাগরিক আইন এবং জাতীয় নাগরিকপঞ্জীর স্বপক্ষে প্রচার করা হচ্ছে। সবকিছু মিলিয়ে ভারত সরকারের সাম্প্রতিক তম সংশোধিত আইন রীতিমতো উত্তেজনার সৃষ্টি করেছে রাজ্য রাজনীতির অন্দরে। আর এই উত্তেজনার মরশুমে বহুবারের মত এবারও রীতিমত অন্যরকম মন্তব্য করে বিতর্ক সৃষ্টি করলেন ভারতীয় জনতা পার্টির পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সভাপতি সাংসদ দিলীপ ঘোষ। বস্তুত, বিগত দিনেও দিলীপ ঘোষ নানান সময় নানান রকম বিতর্কিত মন্তব্য করে নিজের এবং পার্টির অস্বস্তি বাড়িয়েছেন। কিন্তু কোনোবারই নিজের বক্তব্য থেকে পিছু হটতে দেখা যায়নি বঙ্গ বিজেপির সভাপতিকে। আর এবার সংশোধিত নাগরিক আইন নিয়ে অভিনন্দন যাত্রায় শামিল হয়ে কাঁথিতে পুনরায় সেই রকম মন্তব্য করতে দেখা যায় দিলীপবাবুকে। এদিন তিনি বলেন, “ঝামেলা না হলে রাজনীতি হয় নাকি! ওরা করবে, না হয় আমরা করব।” রাজনৈতিক মহলের মতে, তমলুক, কাঁথি সহ পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এই এলাকাগুলি তৃণমূল কংগ্রেসের এবং তৃণমূল কংগ্রেসের অন্যতম খ্যাতনামা পরিবার অধিকারী পরিবারের গড় হিসেবে পরিচিত। ভারতীয় জনতা পার্টির কাছে সেজন্য এই এলাকায় নিজেদের প্রতিষ্ঠাতা একটা বড় চ্যালেঞ্জ। তাই সেখানে জনগণের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখতে গিয়ে কিছুটা উত্তেজক বক্তব্য দিয়ে ফেললেন বিজেপি সাংসদ তথা রাজ্য সভাপতি। তিনি বলেন, “ঝামেলা ছাড়া রাজনীতি হয় নাকি! হয় ওরা করবে, না হয় আমরা করব। এটাই তো বাংলার রাজনীতি। পুরভোট চলে আসছেছে পুরশক্তি লাগিয়ে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি আমরা।” কার্যত তৃণমূল কংগ্রেসের ঘাড়ে দায় চাপিয়ে এদিন দীলিপবাবু আরও বলেন, “জানি বাংলায় ভোট হলে ঝুট ঝামেলা হবে। মারপিট না করলে তৃণমূল জিততে পারবে না। মারপিট করলেও তৃণমূল জিততে পারবে না। সেরকম প্রস্তুতি নিচ্ছি।” আর দীলিপবাবুর এহেন বক্তব্যকে ঘিরেই রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বঙ্গ রাজনীতির অন্দরে। একাধিক রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞের পক্ষ থেকে দীলিপবাবুর এই বক্তব্যকে খন্ডন করা হয়েছে। তবে অনেকে আবার বলছেন, তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যে অনেক সময় ছোট থেকে বড় এবং মাঝারি নেতাদের উত্তেজনাময় বক্তব্য রাখতে শোনা যায়।সেক্ষেত্রে তাদেরকে পরবর্তীতে রোল মডেল করে এগিয়ে আনতেও দেখা গেছে রাজ্যের শাসক দলকে। তাই দীলিপবাবুর মন্তব্যের মধ্যে নতুন কিছু দেখতে পাচ্ছেন না অনেকে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - অবশ্য এদিন ঝামেলা এবং ঝামেলার কথা বলার পাশাপাশি ভারতীয় জনতা পার্টিতে বেনোজল ঢুকে পড়ছে একমত সেকথাও স্বীকার করে নিতে দেখা গেছে বঙ্গ বিজেপি রাজ্য সভাপতিকে। এই বিষয়ে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, “আবর্জনা পরিষ্কার করার প্রক্রিয়া চলছে। অনেক লোককে আমরা দলে নিয়েছি। আবার নতুন লোক আসছে। তবে যারা দলের নিয়ম-শৃঙ্খলা মেনে চলবেন, তারাই দলে থাকবেন। আর যারা মানবে না, তারা আলাদা হয়ে যাবেন।” রাজনৈতিক মহলের মতে, 2019 সালে পশ্চিমবঙ্গ থেকে 18 টি আসন লাভ করার পরেই তৃণমূল কংগ্রেসের নেতাদের ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগদানের হিড়িক পড়ে যায়। এর মধ্যে ছোট থেকে শুরু করে বড়, মেজো নানান ধরনের তৃণমূল নেতারা ভিড় বাড়তে থাকে বিজেপিতে। কিন্তু পরবর্তীতে সব নেতারা বিজেপিতে স্থায়ী হয়নি। অনেক নেতারা পুনরায় ঘর ওয়াপসি করেছেন। যাতে করে অস্বস্তি বেড়েছে ভারতীয় জনতা পার্টির। আবার পার্টির ভিতর সেই পার্টির তথ্য জেনে পুনরায় বিরোধী দলে চলে যাওয়াতে রাজনৈতিকভাবে কিছুটা চাপ বেড়েছে ভারতীয় জনতা পার্টির। তাই আগামী দিনে যেন সেরকম ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে, সেদিকে নজর রেখে ভারতীয় জনতা পার্টি চলবে। একথাই নেপথ্যে স্বীকার করেছেন দিলীপ ঘোষ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। সব কিছু মিলিয়ে দিলীপবাবুর উত্তেজক বক্তব্য এবং দলে স্বচ্ছতা ফেরানোর কথা আগামী দিনে বিজেপির রাজনীতিকে কোন দিকে নিয়ে যায়! সেদিকেই তাকিয়ে থাকবে সকলে। আপনার মতামত জানান -