এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > 7 পদের জন্য আবেদন 4 হাজার, নিয়োগ তালিকায় প্রাক্তন ও বর্তমান পুরপ্রধানের ছেলে – বিতর্ক চরমে

7 পদের জন্য আবেদন 4 হাজার, নিয়োগ তালিকায় প্রাক্তন ও বর্তমান পুরপ্রধানের ছেলে – বিতর্ক চরমে

এবার পুরসভায় চাকরি প্রার্থীদের তালিকায় শাসক দলের বর্তমান এবং প্রাক্তন চেয়ারম্যানের ছেলের নাম থাকায় প্রবল চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ল রাজ্য রাজনীতিতে। সূত্রের খবর, উত্তর দমদম পুরসভার বাছাইপর্বে চার হাজারের বেশি চাকরি প্রার্থী থাকলেও ইন্টারভিউয়ে ডাক পাওয়া 1500 র জন চাকরি প্রার্থীর মধ্যে মোট 7 জন ব্যক্তি করণিক পদে চাকরি পেলেন। কিন্তু এই চাকরি পাওয়া ব্যক্তিদের তালিকা নিয়েই এখন উঠতে শুরু করেছে বিস্তর প্রশ্ন।

যেখানে দুই নম্বরে নাম রয়েছে তৃণমূল পরিচালিত এই পৌরসভার বর্তমান চেয়ারম্যান সুবোধ চক্রবর্তীর ছেলে সুমন চক্রবর্তীর এবং তিন নম্বরে নাম রয়েছে এই পুরসভারই প্রাক্তন চেয়ারম্যান কল্যাণ করের ছেলে কুনাল করের। যা নিয়ে বিরোধীরা এখন থেকেই স্বজনপোষণের অভিযোগ তুলে সরব হয়েছে।

তবে শুধু বিরোধীদের তরফেই নয়, বিরাটির বাসিন্দা তথা আইনজীবী বিপ্লব রায়চৌধুরীও নিজে একটি চিঠি দিয়ে তথ্যের অধিকার আইনে কিভাবে এই পুরসভার প্রাক্তন এবং বর্তমান চেয়ারম্যানের ছেলে চাকরি পেলেন তা নিয়ে জানতে চেয়েছেন। এদিন তিনি বলেন, “পুর প্রধান ও প্রাক্তন পুর প্রধানের ছেলে চাকরি পেতেই পারেন। কিন্তু তৃণমূলের দুই প্রভাবশালী ব্যক্তির সন্তানরা চাকরি পেলে এই প্রশ্নটা ওঠাই স্বাভাবিক। তাই তথ্য জানার আবেদন করেছি।”

 

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে বিরোধীদের তরফেও এই ব্যাপারে প্রবল হৈচৈ করা শুরু হয়েছে। এদিন এই প্রসঙ্গে এই পৌরসভার এক সিপিএম কাউন্সিলর বলেন, “বোর্ড অব কাউন্সিলের মিটিংয়ে চাকরি পাওয়ার 7 জনের নাম নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। আইনের ফাঁক গলে স্বজনপোষণ করা হয়েছে।”

এদিকে এই ব্যাপারে তৃণমূল পরিচালিত পৌরসভার বিরুদ্ধে স্বজনপোষণের অভিযোগ তুলে সরব হয়ে উত্তর দমদম বিধানসভা কেন্দ্রের সিপিআইএম বিধায়ক তন্ময় ভট্টাচার্য বলেন, “চেয়ারম্যানের হাতেই অফিস রয়েছে। তাই তিনি কাগজপত্র তৈরি করে দেখাতেই পারেন যে সব নিয়মমাফিক হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে সবাইকে অন্ধকারে রেখেই এই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে।”

এমনকি এই নিয়োগ প্রক্রিয়ার ব্যাপারে তৃণমূলের সমস্ত কাউন্সিলররাও জানতেন কি না সেই নিয়ে তীব্র প্রশংসায় প্রকাশ করেছেন তিনি। যদিও বা বিতর্কে ইতি টানতে পৌরসভার পক্ষ থেকে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, নিয়মমাফিকই এই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। অন্যদিকে মৌখিক পরীক্ষার কমিটিতে তৃণমূল কাউন্সিলর বিধান বিশ্বাস থাকলেও তিনি সেই সম্পর্কে ওয়াকিবহালই নন বলে এদিন জানিয়ে দেন তিনি।

এদিকে এই বিষয়টি যাতে খুব তাড়াতাড়ি সমাধান করা যায় সেই ব্যাপারে ইতিমধ্যেই উত্তর 24 পরগনা জেলা তৃণমূলের সভাপতি তথা রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক উত্তর দমদম পৌরসভার পৌর প্রধান এবং প্রাক্তন পৌর প্রধানের কাছে একটি জবাব তলব করেছেন। এদিন এই প্রসঙ্গে খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, “উত্তর দমদমের তৃণমূলের বিধানসভা কমিটির চেয়ারম্যান চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ও সাংসদ সৌগত রায়কে বিষয়টি খতিয়ে দেখে রিপোর্ট জমা করতে বলা হয়েছে।”

কিন্তু যাদের নিয়ে এত বিতর্ক সেই উত্তর দমদম পৌরসভার পৌর প্রধান ও প্রাক্তন পৌর প্রধান ঠিক কি বলছেন? এদিন এই ব্যাপারে বেআইনি কিছুই হয়নি বলে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন এই পৌরসভার বর্তমান পুরপ্রধান সুবোধ চক্রবর্তী। অন্যদিকে প্রাক্তন পুরপ্রধান কল্যান করের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তিনি এর কোনো প্রতিক্রিয়া দেয়নি। সব মিলিয়ে এবার তৃণমূল পরিচালিত পুরসভার বিরুদ্ধে স্বজনপোষণের অভিযোগ ওঠায় সরগরম রাজ্য রাজনীতি।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!